আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে
আজ আমরা আলোচনা করব আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়, আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর হেলথ বেনিফিট নিয়ে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এই আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে অনেক গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম। আপেল সিডার ভিনেগারের উপকার ও অপকারিতা ক্ষতিকর দিকগুলো। এছাড়া আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া অনুরোধ রইলো ।
ভুমিকা
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য খুবই জনপ্রিয়। শরীরের ওজন, কোলেস্টর, রক্তের শর্করা কমানো সহ বহু উপকার করে এই ভিনেগার। আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে। আপেলের সাথে ইস্ট দিয়ে সেটিকে গাজন বা ফরমেটেশন করে তৈরি করা হয় ভিনেগার। এই ভিনিগারে পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ অ্যাসিটিক এসিড থাকে যার শরীরের জন্য উপকারী।
আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়
কোন কিছু অতিরিক্ত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না । আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের মেটাবলেজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে । আপেল সিডার ভিনেগার খেলে আমাদের পেটের চর্বি কাটতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায় হয়তো আমরা সবাই কমবেশি এই সম্বন্ধে জানি।
অনেকে হয়তো কিটো ডায়েট করে থাকে তারা হয়তো বেশি বেশি করে আপেল সিডার ভিনেগার খায় । দিনে দুইবার অথবা তিনবার আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যায়। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় সর্বোচ্চ তিন মাস টানা দিনে দুইবার খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আপেল সিডার ভিনেগার অতিরিক্ত ব্যবহার বা খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত যে কোন জিনিসই ভালো না সবকিছু পরিমান মত খেতে হয়। আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অতিরিক্ত মাত্রা খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। অনেকে এই আপেল সিডার ভিনেগার পেস্ট এর সঙ্গে মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করে এতে দাঁতের অনেক ক্ষতি হয় বা এনামেল নষ্ট হয়।
ভরা পেটে কখনো আপেল সিডার ভিনেগার খাবেন না এক্ষেত্রে পাকস্থলী নানা সমস্যা সম্মুখন হতে পারে, আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে খালি পেটে এটি খেলে হজমে সমস্যা হবে না।আপেল সিডার ভিনেগারের কখনো গন্ধ নিবেন না এতে চোখে এবং নাকে সমস্যা হতে পারে ।আপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ করবেন না এতে আপনার দাঁতের এনামেল খেয়ে যেতে পারে ।আপেল সিডার ভিনেগার বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে এজন্য শুরুতে আপেল সিডার ভিনেগার বেশি খাবেন না ।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো খালি পেটে খাওয়া। সকালে একদম খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে আপনি খেতে পারেন। কোন খাবার খাওয়ার আধঘন্টা আগে অথবা খাবারের আধঘন্টা পরে আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগারে অনেক উপকারী দিক রয়েছে । তবে কিছু সাবধানতা দেখানো প্রয়োজন রয়েছে। ভিনেগার শব্দটি এসেছে একটি ফ্রেন্স শব্দ থেকে যেটি সার্বিক অর্থ টক মর বা টক ওয়াইন। এটি টক কেন এটি এক ধরনের অম্ল জাতীয় পদার্থ রয়েছে যার নাম এসিডিক এসিড।
সাধারণত আপেলের মধ্যে যে শর্করা সুগার রয়েছে সেটিকে ছত্রাক বা ইস্ট দিয়ে পচিয়ে বা হজম করে অ্যালকোহল তৈরি করা হয়। এই অ্যালকোহলকে পরে ব্যাকটেরিয়া যেটির নাম এসিডোব্যাগটর । এটিতে প্রচুর প্রবায়োটিক রয়েছে, ভিটামিনস রয়েছে, প্রদাহ নিরব বস্তু রয়েছে, পলিফেলন রয়েছে এইগুলো সবই উপকারী যদি আপনার নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্টভাবে মেনে চলি খাবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে বা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে। সর্দি কাশির জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর সাথে কিছু মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি দ্রুত ভালো হয়। আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের যেমন উপকার আছে তেমনি অনেক অপকারিতা আছে। আমরা যদি অতিরিক্ত গ্যাসে ভোগী বা অতিরিক্ত গ্যাস ফর্ম করে তখন আমরা যদি অ্যাপেল ভিনেগার খাই তাহলে আমাদের পেটের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। খাবারে পর যদি আমাদের পেটে ব্যথা করে বা মুখ টক হয়ে যায় তখন আমরা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারবোনা যদি ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের ক্ষতি হবে।
ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
শরীরের জন্য অতিরিক্ত ওজন মোটেই ভালো নয়। ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খুব দ্রুত কাজ করে এর সঙ্গে এনার্জি ও বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন আপেল ছিটা ভিনেগার খেলে শরীরের ক্ষতি হয় । ক্ষুধা কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার সাহায্য করে । শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর ভিনেগার খেলে দিনের পরবর্তী সময়ের সহজে ক্ষুধা লাগে না। আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে না।
আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়
সংরক্ষণের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে এয়ারটাইট কন্টিনিউ রেখে কোন ঠান্ডা এবং অন্ধকার স্থানে রাখতে হবে। যেখানে সূর্যালো পৌঁছাতে না পারে। ফ্রিজে ভিনেগার রাখা অনর্থক এবং এটা এর সেলফ লাইফ বাড়াতে কোন ভূমিকা রাখেনা। আপেল সিডার ভিনেগার একবার খুললে ফ্রিজে রাখতে হয় না। আপনার যখন এটি ব্যবহার করবেন তখন এটি ব্যবহার করার পর ঢাকনাটি ভালো করে বন্ধ রাখুন ।
প্রাকৃতিকভাবে খাবার সংরক্ষণ করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার এতে খাবারের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জন্মায় না। এছাড়া ব্রণ সহ ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার জনিত বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে এই ভিনেগার খুব কাজে। তাছাড়া এটি স্কিনে সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। চুল পড়া কমাতে এবং গোড়া মজবুত আর সিল্কি করতে সাহায্য করে ।
আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত
দারাজ ওয়েবসাইটে আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম দেওয়া আছে । আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম ৪৭৩এম এল ৪০০ টাকা । 946ml ভিনেগারের দাম ৭৮০ টাকা।
আপেল সিডার ভিনেগার ১০ স্বাস্থ্য উপকারিতা
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে আমরাদের কিছু অসাধারণ উপকারে করে।
- ডাইজেশনঃ ডাইজেশন এটা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় অনেক হেল্প করে কারণ আমাদের শরীরে হজম প্রক্রিয়ার সময় যে এনজাইম থাকে সেই এনজাইম গুলো এক্টিভেট করে এটা আমাদের ইস্টমাক কে ph কে এসটিফাইড করে ph যেটিতে এসিড থাকার কথা সেই এসিডকে মেনটেন করে যে কারণে এঞ্জামগুলো এক্টিভেট হয় এবং আমাদের খাবারগুলোকে হজম করতে সাহায্য করে।
- প্যাথোজেনঃ আমাদের খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ফাঙ্গাস প্রবেশ করে শরীরের সেগুলোকে অ্যাসিড স্ট্রং করার কারণে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এবং মিনারেলঃ আমরা খাবারের মাধ্যমে বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেল গ্রহণ করছে সেগুলোকে অ্যাপজব করতে সাহায্য করে। মিনারের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক এবং ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি টুয়েলভ অ্যাপজব করতে সাহায্য করে।
- গ্যাস এবং ব্লোটিংঃ আমাদের খাওয়ার পর অনেক সময় পেটে গ্যাস হয় সেটা হয় সাধারণত আমাদের পেটে অনেকটা এসিড কমে গেলে বা পি এইচ বেড়ে গেলে। অনেক সময় পিএইচ বেড়ে গেলে প্রোটিন হজম হয় না এতে পেটে গ্যাস হয়। এই জন্য ভিনেগার খেলে সেটি সমাঝোতা ঠিক রাখে।
- অ্যাসিড রিফ্লাক্সঃ এসিড গুলো যদি খাদ্যনালী থেকে ওপরে উঠে আসে তখন বুক জ্বালাপোড়া করে হার্ড বান হয়। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলে এই পি এইচ সমান থাকে
- প্রোটিন ব্রেক ডাউনঃ রক্ত মিশে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা প্রোটিন ব্রেক ডাউন কে কন্ট্রোল করতে পারি এতে আমাদের আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ালে অনেক উপকার আসে।
- ব্লাড সুগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার খেলে রক্তে ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। রক্তে ব্লাড সুগার অতিরিক্ত হয়ে গেলে এটিতে নিয়ন্ত্রণ করে।
- লিপিডঃ অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের লিপিড প্রোফাইল অর্থাৎ আমাদের রক্তে যে অতিরিক্ত কোলেস্টর থাকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের ইনসুলিন সেনসিটিভ বাড়ায় ।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমাদের যখন সর্দি কাশি বা বিভিন্ন ভাইরাল ইনফেকশন হয় তখন অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের যে এসিড এটি এন্টি প্রবীটি হিসেবে কাজ করে। আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে।
আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে
আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে, আপেল সিডার ভিনেগারের কাজ হচ্ছে হজম করা । আপনার পেটের খাবার হজম করা জন্য ফ্রিজ দরকার ২.৫ এভারেজ । ২.৫ ফ্রিজ যদি পার হয়ে যায় তাহলে এসিডি কমে যাচ্ছে এতে আপনার ডায়াজেশন উইক হয়ে যাচ্ছে। যাদের ডায়াজেশনের সমস্যা আছে তারা দুই তিন চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার আগে খাবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যে এসিড থাকে এই এসিড খাবারের সাথে খেলে আপনার এসিডিসি থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারবেন। কারণ এসিড টা কিডনি তে যাচ্ছে না। আপেল সিডার ভিনেগার আপনার পেটে এসে অ্যালকাইন ইন ভেলাবেন তৈরি করবে।
আপেল সিটে ভিনেগার আপনার খাচ্ছেন আপনার ডাইজেস্টিক ইমপ্রুভ করার জন্য আপনাকে বরিক অ্যালকাইন করবে। অ্যালকাইন বড়িক কিডনির জন্য হেলদি। আপেল সিডার ভিনেগার একজন কিডনির পেশেন্ট কিন্তু নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে না তার কারণ এই আপেল সিডের ভিনেগার টোটালি সোডিয়াম ফ্রি, লো ফসফরাস এবং লো পটাশিয়াম যা একটি কিডনি পেশেন্টের কোন ক্ষতি করে না।শরীরের যেকোনো সমস্যা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনাকে খেতে হবে। যাদের ডাইজেশনের সমস্যা আছে তারা তিন চামচ করে খাবেন আর যাদের সাথে সমস্যা নেই তারা এক চামচ করে খাবেন ।
লেখকের শেষ বক্তব্য
সাধারণত যারা প্রতিদিন নিয়মত আপেল সিডার ভিনেগার খান তাদের উদ্দেশ্য আজকে এই আর্টিকেল তৈরি করা। আশা করি আপনারা এখান থেকে আপেল সিডার ভিনেগার কি কিডনির ক্ষতি করে না আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার আমাদের ওয়েবসাইট ফলো এবং কমেন্ট করুন ।