যে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি হাজী সাহেবদের কেউ কেউ হজের সময় করে থাকেন

যে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি হাজী সাহেবদের কেউ কেউ হজের সময় করে থাকেন
যে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি হাজী সাহেবদের কেউ কেউ হজের সময়  করে থাকেন

প্রথমতঃ ইহরাম সম্পর্কিত ত্রুটি-বিচ্যুতি


অনেক হাজী সাহেব ইহরাম না বেঁধে স্বীয় মীকাত অতিক্রম করে জেদ্দার ভেতর অবস্থিত কোন শহর যেমন জেদ্দা বা অন্য কোন স্থানে পৌছে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে থাকেন। এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নির্দেশের বিপরীত। কেননা তিনি বলেছেন: 'প্রত্যেক হাজী ঐ মীকাতে ইহরাম বাঁধবে যে মীকাত দিয়ে সে আগমন করবে। 
অতএব হাজী সাহেব যদি মীকাত অতিক্রম করে চলে যান, তবে তার উপর ওয়াজিব হল মীকাতে ফিরে আসা এবং সেখান থেকে ইহরাম বাঁধা যদি তা সম্ভব হয়। নতুবা মক্কায় পৌঁছে তাকে পশু কোরবানী করে ফিদিয়া দিতে হবে এবং এর সম্পূর্ণ গোশতই গরীব মিসকীনদেরকে খাওয়াতে হবে। এই নির্দেশ আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথের সকল যাত্রীর প্রতি সমানভাবে প্রযোজ্য। যদি কোন হাজী প্রচলিত পাঁচ মীকাতের কোন একটি দিয়েও প্রবেশ না করেন, তবে তিনি প্রথমে যে মীকাতের সমান্তরাল দিয়ে অতিক্রম করবেন, সেখান থেকে ইহরাম বাঁধবেন।

দ্বিতীয়তঃ তাওয়াফ সম্পর্কিত ত্রুটি-বিচ্যুতি


  • (১) হাজারে আসওয়াদ বরাবর পৌছার পূর্বেই তাওয়াফ আরম্ভ করা। অথচ হাজারে আসওয়াদ থেকেই তাওয়াফ শুরু করা ওয়াজিব।
  • (২) হিজরে কা'বার ভেতর দিয়ে তাওয়াফ করা। কেননা, হিজর কা'বার অংশ হওয়ার কারণে এর ভেতর দিয়ে তাওয়াফ করলে পূর্ণ কা'বার তাওয়াফ হবে না। ফলে তাওয়াফের যে চক্কর হিজরের ভেতর দিয়ে করা হয়েছে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
  • (৩) তাওয়াফের পূর্ণ সাত চক্করেই রমল করা (দ্রুত চলা)। অথচ তাওয়াফে কুদুমের প্রথম তিন চক্কর ছাড়া অন্য কোথাও কোন রমল নেই।
  • (৪) হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন করার জন্য অত্যধিক ভীড় করা এবং কখনো কখনো এ নিয়ে আপোষে মারামারি ও গালিগালাজ করা। এটা জায়েয নয়। কেননা এতে মুসলমানদের কষ্ট হয়। তদুপরি কোন মুসলিম অপর মুসলিম ভাইকে গালিগালাজ করাও নাজায়েয। হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করতে না পারলে তাওয়াফের কোন ক্ষতি হয় না। বরং চুম্বন না করলেও তাওয়াফ যথাযথভাবে নির্ভুল হবে। যদি চুম্বন দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে হাজারে আসওয়াদ বরাবর পৌঁছলে দূর হতে সেটাকে ইশারা করতঃ আল্লাহু আকবার বললে যথেষ্ট হবে।
  • (৫) বরকত লাভের উদ্দেশ্যে হাজারে আসওয়াদকে স্পর্শ করা। এটি একটি বেদয়াত, শরীয়তে যার কোন ভিত্তে নেই। এ ব্যাপারে সুন্নাত হচ্ছে শুধুমাত্র আল্লাহ্র ইবাদাতের উদ্দেশ্যেই তা স্পর্শ ও চুম্বন করা।
  • (৬) কা'বা শরীফের সমস্ত আরকান (কোন) এবং সমস্ত দেয়াল চুম্বন করা ও স্পর্শ করা। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ছাড়া আর কোন স্থান স্পর্শ করেননি।
  • (৭)তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করের জন্য পৃথক পৃথক দোয়া নির্দিষ্ট করা। কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম থেকে তা প্রমানিত হয়নি। তিনি শুধু হাজারে আসওয়াদের কাছে পৌঁছলেই তাকবীর দিতেন এবং প্রত্যেক চক্করের শেষে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মধ্যবর্তীস্থানে এই দোয়া পাঠ করতেনঃ
  • হে প্রভু! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান কর এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচাও।
  • (৮) তাওয়াফ করার সময় তাওয়াফকারী অথবা তাওয়াফ পরিচালকের এমন উচ্চস্বরে আওয়াজ করা, যার ফলে অন্য তাওয়াফকারীদের জন বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়।
  • (৯) মাকামে ইবরাহীমের কাছে নামায পড়ার জন্য ভীড় করা। এটা সুন্নাতের বিপরীত। তদুপরি এতে তাওয়াফকারীদেরও কষ্ট হয়। অথচ তাওয়াফের দু' রাকাত নামাযের জন্য মসজিদের যে কোন স্থানই যথেষ্ট।

তৃতীয়তঃ সাফা মারওয়ায় সায়ীকালীন ত্রুটি-বিচ্যুতি


(১) সাফা মারওয়া পাহাড়ে আরোহণকালে কতিপয় হাজী কা'বা শরীফকে সামনে করে তাকবীরের সময় সেদিকে হাত দ্বারা এভাবে ইশারা করতে থাকেন যে, মনে হয় যেন তারা নামাযের জন্য তাকবীর দিচ্ছেন। অথচ সুন্নাত হলো হস্তদ্বয় এমনভাবে উঠানো যেমনভাবে দোয়ার জন্য উঠানো হয়।
(২) কোন কোন হাজী সাহেব সাফা মারওয়ায় সায়ীকালে প্রতি চক্করেই শুরু হতে শেষ পর্যন্ত দ্রুত চলতে থাকেন। অথচ সুন্নাত হলো শুধুমাত্র সবুজ আলোদ্বয়ের মাঝখানে তাড়াতাড়ি চলা আর চক্করের বাকী স্থানে সাধারণভাবে চলা।

চতুর্থতঃ আরাফাত ময়দানে অবস্থানকালীন ত্রুটি-বিচ্যুতি


  • (১) কতিপয় হাজী সাহেব আরাফাতের সীমানার বাইরে অবতরণ করে সেখানেই সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং আরাফায় অকুফ (অবস্থান) না করেই মুযদালিফার দিকে গমন করেন। এটা এমন একটা মারাত্মক ভুল, যার ফলে তার হজ্জই হয় না। কেননা আরাফাতে অবস্থান করাই হচ্ছে হজ্জ এবং আরাফাতে সীমানার ভেতর অবস্থান করা হাজী সাহেবদের উপর ওয়াজিব এর বাইরে নয়। অতএব এ ব্যাপারে তাদের খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি আরাফাতের সীমানায় অবস্থান সম্ভব না হয়, তাহলে সূর্যাস্তের পূর্বে আরাফায় প্রবেশ করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তথায় হাজী সাহেবগণ থাকবেন। কোরবানীর ঈদের রাতে আরাফাতে প্রবেশ করলেও যথেষ্ট হবে।
  • (২) কতিপয় হাজী সাহেব সূর্যাস্তের পূর্বে আরাফাত হতে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন, অথচ এটা জায়েয নয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম পূর্ণভাবে সূর্য অন্ত না যাওয়া পর্যন্ত তথার অবস্থান করেছেন।
  • (৩) আরাফার পর্বত (জাবালে রহমত) এ আরোহণ ও তার চূড়া পর্যন্ত উঠার জন্য ভীড় করা, যার ফলে নানাবিধ ক্ষতি হয়ে থাকে। অথচ আরাফাত প্রান্তর সম্পূর্ণই অবস্থানস্থল। পর্বতে আরোহণ করা এবং তার উপর নামায পড়া শরীয়ত সম্মত নয়।
  • (৪) দোয়ার জন্য অনেক হাজী সাহেব আরাফার পর্বতমুখী হয়ে দাঁড়ান। অথচ এ ব্যাপারে কাবামুখী হওয়াটাই সুন্নাত।
  • (৫) কোন কোন হাজী সাহেব আরাফাতের দিন নির্দিষ্ট স্থানে মাটি ও কঙ্কর জমা করে থাকেন। আল্লাহর বিধানে এর কোনই প্রমাণ নেই।

পঞ্চমতঃ মুযদালিফায় সংঘটিত ত্রুটি-বিচ্যুতি


কতিপয় হাজী সাহেব মুযদালিফায় পৌছে সর্বপ্রথম মাগরিব ও এশার নামায না পড়েই কঙ্কর সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে যান। তারা এ বিশ্বাস পোষণ করেন যে, মুযদালিফায় কঙ্কর সংগ্রহ করা অবশ্যই জরুরী। অথচ এটা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে সঠিক বিধান হলো হারাম এলাকার যে কোন স্থান হতে কঙ্কর সংগ্রহ করা যেতে পারে। 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হতে প্রমানিত আছে যে, তিনি কাউকে মুযদালিফা হতে কঙ্কর সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেননি। বরং তিনি যখন নিজে মুযদালিফা হতে প্রত্যাবর্তন করে মীনায় প্রবেশ করলেন, তখন সকাল বেলায় ফেরার পথে তার জন্য কঙ্কর সংগ্রহ করা হলো। এভাবে অবশিষ্ট সমস্ত কঙ্করই তিনি মীনা হতে সংগ্রহ করেছিলেন। কতিপয় হাজী সাহেব কঙ্করগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে নেন। অথচ তা শরীয়ত সম্মত নয়।

ষষ্ঠতঃ কঙ্কর নিক্ষেপের সময়কালীন ত্রুটি-বিচ্যুতি


  • (১) কতিপয় হাজী সাহেব কঙ্কর নিক্ষেপের সময় ধারণা করেন যে, তারা এর দ্বারা শয়তানকে আঘাত হানছেন। ফলে তারা কঙ্কর নিক্ষেপের সময় বিশেষভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং গালিগালাজ করেন। অথচ কঙ্কর একমাত্র আল্লাহ্ত্র স্মরণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে।
  • (২) কোন কোন হাজী সাহেব জামারাতে কঙ্করের পরিবর্তে বড় পাথর, জুতা কিংবা কাঠ-খড়ি নিক্ষেপ করেন। এটা দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়, যা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। এর মাধ্যমে কঙ্কর নিক্ষেপের হুকুম আদায় হবে না। পুঁতির দানা বা ছাগলের বিষ্টার অনুরূপ ছোট কঙ্কর জামারাতে নিক্ষেপ করাই বিধেয়।
  • (৩) কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য জামারাতের কাছে ভীড় করা ও লাগালাগি করা। অথচ সাধ্যানুযায়ী কাউকে কষ্ট না দিয়ে নম্রভাবে কঙ্কর নিক্ষেপের চেষ্টা করা উচিত।
  • (৪) একবারে একসঙ্গে সমস্ত কঙ্কর নিক্ষেপ করা। অথচ আলেমগণ বলেছেন, এমতাবস্থায় তা একটি কঙ্কর নিক্ষেপেরই নামান্তর হবে। শরীয়তের বিধান হলো একটি একটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করা এবং প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপের সময় আল্লাহু আকবার বলা।
  • (৫) শক্তি থাকা সত্বেও কষ্ট ও ভীড়ের ভয়ে কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য নায়েব বা প্রতিনিধি নিযুক্ত করা। অসুস্থতা বা অনুরূপ কোন কারণ বশতঃ অক্ষম হওয়া ছাড়া প্রতিনিধি নিযুক্ত করা জায়েয নেই।

সপ্তমতঃ বিদায়ী তাওয়াফের সময়কালীন ত্রুটি-বিচ্যুতি


  • (১) কতিপয় হাজী সাহেব যিলহজ্জ মাসের ১২ তারিখে কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে মক্কায় এসে বিদায়ী তাওয়াফ করতঃ মীনায় ফিরে যান। অতঃপর কঙ্কর নিক্ষেপ করে সেখান থেকেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এমতাবস্থায় তার হজ্জের শেষ কর্ম দাঁড়ায় কঙ্কর নিক্ষেপ বায়তুল্লার তাওয়াফ নয়। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
  • তোমাদের কেউ যেন তার সফরের শেষ আল্লাহ্র ঘরের সঙ্গে না করে স্বদেশে ফিরে না যায়। 
  • বিদায়ী তাওয়াফ হচ্ছে ওয়াজিব। এই তাওয়াফ হজ্জের যাবতীয় কর্যাবলী সমাধা করার পর, সফর শুরু করার অব্যবহিত পূর্বে করতে হবে। বিদায়ী তাওয়াফের পর মক্কায় অবস্থান করা সঙ্গত নয়। অবশ্য উদ্ভূত কোন কারণে কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষ করা যেতে পারে।
  • (২) কতিপয় হাজী সাহেব বিদায়ী তাওয়াফো পর মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বায়তুল্লার দিকে মুখ করে উল্টো পায়ে হেঁটে বের হন। এর দ্বারা তারা কা'বা ঘরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে বলে মনে করেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ বেদয়াত। শরীয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।
  • (৩) অনেক হাজী সাহেব বিদায়ী তাওয়াফের পর মসজিদুল হারামের দরজায় দাঁড়িয়ে কা'বার দিকে তাকিয়ে এমনভাবে দোয়া করেন, যা দেখে মনে হয় তিনি যেন কা'বা হতে বিদায় নিচ্ছেন। এটাও অনুরুপ বেদয়াত যা শরীয়ত সম্মত নয়।

অষ্টমতঃ মসজিদে নব্বীর যিয়ারতকালীন ত্রুটি-বিচ্যুতি


  • (১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কবর যিয়ারতকালে বরকত লাভের আশায় কবরের চতুষ্পার্শের দেয়াল বা লোহার রডগুলো স্পর্শ করা এবং জানালায় সুতা বা তদনুরূপ কিছু বন্ধন করা। বরকত তো একমাত্র আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আইন কানুন মেনে চলার মধ্যে নিহিত বেদয়াতের মধ্যে নয়।
  • (২) অহুদ পর্বতের বিভিন্ন গুহায় যাওয়া, অনুরূপ ভাবে মক্কার গারে হেরা ও গারে সাওরে যাওয়া এবং সেখানে ছেঁড়া কাপড় ও নেকড়া বাঁধা আর এমন জাতীয় দোয়া করা যাতে আল্লাহ্র অনুমতি নাই। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কষ্ট করা এগুলো সবই বেদয়াত। শরীয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।
  • (৩) এমন কতিপয় স্থানের যিয়ারত করা এবং সেখানে এ ধারণা পোষণ করা যে, এগুলো রাসূলা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নিদর্শন। যেমন, উষ্ট্রী বসার স্থান, আংটির কূপ বা উসমান (রাঃ) এরা কূপ ইত্যাদি। আর বরকত লাভের আশায় এ সমস্ত স্থান থেকে মাটি নেয়া।
  • (৪) বাকীউল গারকাদ এবং অহুদের শহীদান- দের কবরস্থানে গিয়ে তাদের কবর যিয়ারতকালে কবরে শায়িত ব্যক্তিদের আহ্বান করা এবং তাদের নৈকট্য ও বরকত লাভের আশায় তথায় টাকা পয়সা নিক্ষেপ করা। এগুলো হচ্ছে গুরুতর ভুল। বরং আলেমগণের মতে এগুলো বৃহত্তম শিরক। আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলের সুন্নাতে এর প্রমাণ রয়েছে। কারণ ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর জন্য, অন্য কারো জন্য দোয়া, কোরবানী, মান্নত ইত্যাদি সকল ইবাদাতের কিছুমাত্র আদায় করা জায়েয নেই।
  • তারা তো বিশুদ্ধ চিত্তে একমাত্র আল্লাহ্ত্র অনুগত্য করার জন্যই আদিষ্ট হয়েছে।
  • তিনি আরো বলেনঃ
  • নিশ্চয়ই মসজিদসমূহ আল্লাহ্ত্র। সুতরাং তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে আহ্বান করো না।
আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা জানাই, তিনি যেন মুসলমানদের অবস্থা সংশোধন করে দেন এবং তাদেরকে দ্বীনের সমঝ ও জ্ঞান দান করেন এবং সকল প্রকার ফিতনার ভ্রষ্টতা থেকে আমাদেরকে ও তাদেরকে আশ্রয় দান করেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্ব-শ্রোতা ও আহবানে সাড়াদানকারী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন