শিখনকালীন মূল্যায়নঃ আকাশ কত বড়? নতুন ক্যারিকুলাম বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণি
শিখনকালীন মূল্যায়নঃ পাঠ্যবইয়ের অ্যাক্টিভিটি
এখানে শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য পাঠ্যবইয়ের অ্যাক্টিভিটিগুলো সমাধানের দিকনির্দেশনাসহ নমুনা উত্তর দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক/অভিভাবকদের জন্য নির্দেশনা
- ১। শিক্ষার্থীদের শিখনযোগ্যতা অর্জন ও মূল্যায়ন হবে অনুশীলন বইয়ের অ্যাক্টিভিটির ওপরে। সঠিকভাবে অ্যাক্টিভিটিগুলো সম্পাদনের জন্য প্রথমেই প্রতিটি অ্যাক্টিভিটির শুরুতে Tutor-এ প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক জ্ঞানের বিষয়গুলো শিক্ষার্থী কতটা রপ্ত করেছে তা যাচাই করুন।
- ২। প্রয়োজনে আপনি নিজে বিষয়বস্তুর ওপর স্বচ্ছ ধারণা দিয়ে সহায়তা করুন।
- ৩। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও সততা বজায় রেখে শিক্ষার্থীরা কাজগুলো করছে কিনা তা খেয়াল রাখুন।
- ৪। সেশনে বাড়ির কাজ থাকলে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দিন, যা সে পরবর্তী সেশনে করে নিয়ে আসবে।
- ৫। অ্যাক্টিভিটি বা শিখন কার্যক্রমগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রদত্ত ছকে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার তথ্য সংরক্ষণ করুন। তাহলে এ অধ্যায়ের শেষে দেওয়া শিখন অভিজ্ঞতাভিত্তিক মূল্যায়ন ছকে পারদর্শিতার সূচকের (PI) মাত্রা নিরূপণ করা সহজ হবে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে জাগা প্রশ্নগুলো লিখে রাখো। [সূত্রঃ অনুশীলন বই; পৃষ্ঠ-৬]
আকাশের দিকে তাকিয়ে যা যা প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে এখানে নিখে রাখি। এই কাজ শেষ হনে মিলিয়ে দেখে নিই কোন কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম।
কাজের ধারা
- বাসার ছাদে বা খোলা আকাশের নিচে গিয়ে আকাশের দিকে তাকাও।।
- চিন্তা করো এই পৃথিবী, আকাশ, মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো? এমন প্রশ্নগুলো ভাবো।
- এবার মনে জাগা এসব প্রশ্ন লিখে ফেলো।
নমুনা উত্তর
- আকাশ কত বড়?
- আকাশ গোল নাকি সমতল?
- তারাগুলো কত দূরে?
- তারা দিনে দেখা যায় না কেন?
আকাশের দিকে তাকিয়ে যা যা প্রশ্ন আসাদের মনে জাগে এখানে নিখে রাখি। এই কাজ শেষ হলে মিলিয়ে দেখে নিই কোন কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম।
প্রথম সেশন [সূত্রঃ অনুশীলন বই, পৃষ্ঠা-৬]
এই সেশনের অ্যাক্টিভিটি সম্পন্ন করতে নক্ষত্রমণ্ডলী সম্পর্কে জানতে হবে, যা তোমরা ইতোমধ্যেই 'পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তু' অংশে জেনেছ। এগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত না হয়ে থাকলে আরও একবার পৃষ্ঠা-৫ থেকে দেখে নাও।
সেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী
কাগজ, কলম, পেনসিল, রঙ পেনসিল, পোস্টার পেপার বা আর্ট পেপার, রঙিন কাগজ, আঠা ইত্যাদি; অনুশীলন বই।
কাজের ধারা
প্রথমে আকাশের দিকে তাকিয়ে লক্ষ করো কী কী দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া রাতের আকাশে কী কী দেখেছো তাও মনে করো। [সূত্রঃ অনুশীলন বই; পৃষ্ঠা-৬]
দিনের আকাশে কী কী দেখি
- ১। দিনের আকাশে সূর্য দেখতে পাই।
- ২। খুব সকালে এবং বিকালে আকাশে লালচে আলো দেখতে পাই।
- ৩। এছাড়াও দিনের আকাশে মেঘ দেখতে পাই।
রাতের আকাশে কী কী দেখি
- ১। রাতের আকাশে কখনো কখনো চাঁদ দেখি, আবার কোনো কোনো দিন চাঁদ দেখতে পাই না।
- ২। এছাড়াও রাতের আকাশে বিভিন্ন স্থানে তারা দেখতে পাই।
কাজের ধারা
- দিনের বেলায় বিভিন্ন সময় আকাশের রং কেমন থাকে, আবার রাতের বেলায় আকাশের রং কেমন থাকে তা নিয়ে শিক্ষক/অভিভাবক সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করো।
- কোন সময়ের আকাশ তোমার সবচেয়ে পছন্দ সেটা তোমার সহপাঠীদেরকে বলো।
- সহপাঠী/ অভিভাবক বা শিক্ষকের কোন সময়ের আকাশ সবচেয়ে প্রিয় সেটা জানতে চাও।
- কাগজ অথবা পোস্টার পেপার কিংবা আর্ট পেপারে রং পেনসিল দিয়ে সহপাঠী/ অভিভাবক বা শিক্ষকের পছন্দের আকাশ আঁকার চেষ্টা করো।
- আঁকা হয়ে গেলে সহপাঠী/ অভিভাবক বা শিক্ষককে দেখাও এটা তার পছন্দ হয়েছে কিনা।
- রাতে বাসায় রাতের আকাশটা ভালোমতো দেখো। আকাশের তারাগুলো সবই একই রকম নাকি ভিন্নরকম, একই রঙের আলো নাকি ভিন্ন রঙের, সবগুলোই একইভাবে মিটিমিটি জ্বলে কিনা তা দেখে বোঝার চেষ্টা করো।
- প্রয়োজনে পাশে দেওয়া নমুনা ছবি থেকে ধারণা নিতে পারো।
চলো এঁকে ফেলা যাক!
নমুনা ছবিঃ
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রমে আগ্রহী এবং কী কী শিখেছে তা নিশ্চিত করবেন। এখানে শিক্ষক। সহায়িকা ও অনুশীলন বইয়ের আলোকে কিছু নমুনা প্রশ্নোত্তর দেওয়া হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করো।
প্রশ্ন-১, রাতের আকাশে আমরা তারা মনে করে যা যা দেখি সবই কি নক্ষত্রা
উত্তরঃ না, সবই নক্ষত্র নয়। যেগুলো মিটমিট করে জ্বলে সেগুলো নক্ষত্র, আর যেগুলো স্থিরভাবে জ্বলে সেগুলো নক্ষত্র নয়।
প্রশ্ন-২, দিনের আকাশে আমরা কোন নক্ষত্রকে দেখতে পাই?
উত্তরঃ সূর্য।
প্রশ্ন-৩, রাতের আকাশে গ্রহদের কীভাবে জ্বলতে দেখা যায়?
উত্তরঃ স্থিরভাবে।
দ্বিতীয় সেশন [সূত্রঃ অনুশীলন বই, পৃষ্ঠা-৭]
এই সেশনের অ্যাক্টিভিটি সম্পন্ন করতে বিশ্বজগতের ধারণার ক্রমবিবর্তন সম্পর্কে জানতে হবে, যা তোমরা ইতোমধ্যেই 'পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তু' অংশে জেনেই। এগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত না হয়ে থাকলে আরও একবার পৃষ্ঠা-২ থেকে দেখে নাও।
সেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী
কাগজ, কলম, মোমবাতি, পাঠ্যবই, সহায়ক বই।
বিশ্বজগতের ধারণার ক্রমবিবর্তন অংশ পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। [সূত্রঃ অনুশীলন বই; পৃষ্ঠা-৯]
ক। বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?
খ। সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?
গ। পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?
কাজের ধারা
- গতরাতে আকাশের তারাগুলোর মধ্যে কী কী পার্থক্য খেয়াল করেছো সেগুলো নিয়ে অভিভাবক/ সহপাঠী বা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করো।
- কেন সবগুলো তারা মিটিমিটি জ্বলে না, অনেকগুলো স্থির হয়ে জ্বলে সে বিষয়ে অভিভাবক/ সহপাঠী বা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে কী কারণ হতে পারে চিন্তা করো।
- সূর্যকে ঘিরে যে আমাদের সৌরজগৎ সেটা নিয়ে অভিভাবক/ সহপাঠী বা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করো। এছাড়াও অন্যান্য নক্ষত্রেরও গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে আমাদের সৌরজগতের মতো সৌরজগৎ আছে কিনা সে বিষয়ে তোমার ভাবনা সবাইকে জানাও।
- সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র মিলে এক একটা গ্যালাক্সির মধ্যে যে দল বেঁধে অবস্থান করে, সে সম্পর্কে তুমি কী কী জানো তা আলোচনা করো।
- আমাদের সূর্য যে গ্যালাক্সির মধ্যে রয়েছে তার নাম যে মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা সেটা সহপাঠীকে জানাও।
- পাঠ সহায়ক বিষয়বস্তুর বিশ্বজগতের ধারণার ক্রমবিবর্তন অংশে যা লেখা আছে তা একবার পড়ে নাও এবং উপরের প্রশ্নের উত্তর দাও।
- প্রয়োজনে নমুনা উত্তরের সহায়তা নিতে পারো।
নমুনা উত্তরঃ
ক। বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?
প্রাচীনকালে মানুষ তার চারপাশের জগতকে দেখে খুব স্বাভাবিকভাবে ধারণা করে নিয়েছিল পৃথিবীটা নিশ্চয়ই সমতল এবং সমতল পৃথিবীকে উপুড় করে রাখা বাটির মত একটা আকাশ ঢেকে রেখেছে, সেই আকাশে মেঘ এবং চাঁদ, সূর্য ও নানা ধরনের নক্ষত্র লাগানো থাকে যেগুলো পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। প্রাচীন মেসোপটমিয়া সভ্যতায় ধারণা করা হতো পৃথিবীটা বুঝি একটা থালার মতন, সেই থালার মত পৃথিবী বিশাল একটা সমুদ্রে ভাসছে এবং গোলাকার একটা আকাশ সূর্যের আলো সেই পৃথিবীকে ঢেকে রেখেছে।
খ। সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?
প্রথমে মানুষের ধারণা ছিল যে, পৃথিবী হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু এবং সকল গ্রহ, নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য এই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে। কিন্তু যেসব বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ আকাশের গ্রহ নক্ষত্র নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন, তারা কিছু কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারতেন না। যেমন: মাঝে মাঝে তারা একটি গ্রহকে আকাশে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে করতে থেমে যেতে দেখতেন; শুধু তাই নয় তারপর গ্রহটি উল্টোদিকে যেতে শুরু করে মাঝপথে থেমে গিয়ে আবার সঠিক দিকে প্রদক্ষিণ শুরু করত।
একটি গ্রহ যদি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে সেটা কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, কিন্তু পৃথিবী এবং অন্য গ্রহগুলো যদি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে খুব সহজেই এই বিচিত্র গতিানোব্যাকেরা সম্ভব। এই ধরনের বেশ কিছু বিষয় দেখে কোপার্নিকাস প্রথমে তাঁর বইয়ে লিখলেন পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র নয়, পৃথিবীসহ অন্য সব সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এভাবেই সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা এলো।
গ। পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?
প্রথমে মানুষের ধারণা ছিল যে, পৃথিবী হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু এবং সকল গ্রহ, নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য এই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে। কিন্তু পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলে আকাশে গ্রহের গতি প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় না যা সূর্যকেন্দ্রিক মডেলে সম্ভব। কোপার্নিকাস ১৫৪৩ সালে প্রথম সূর্যকেন্দ্রিক মডেল প্রবর্তন করেন।
পরবর্তীতে গ্যালিলিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নিয়মিত মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলেন কোপার্নিকাসের মতবাদটি সঠিক, সকল গ্রহ আসলে সূর্যকে ঘিরে ঘুরছে। ১৬৬৪ সালে নিউটন তাঁর বিখ্যাত মহাকর্ষ বলের সূত্র প্রকাশ করেন এবং সেটি ব্যবহার করে সূর্যকে ঘিরে বিভিন্ন গ্রহের প্রদক্ষিণ নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়। বৈজ্ঞানিক মহল তখন সন্দেহাতীতভাবে সূর্যকে সৌরজগতের কেন্দ্রস্থল হিসেবে মেনে নিল। এগুলোই ছিল পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রমে আগ্রহী এবং কী কী শিখেছে তা নিশ্চিত করবেন। এখানে শিক্ষক সহায়িকা ও অনুশীলন বইয়ের আলোকে কিছু নমুনা প্রশ্নোত্তর দেওয়া হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করো।
প্রশ্ন-১. প্রাচীনকালে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে মানুষের ধারণা কি ছিল?
উত্তরঃ প্রাচীনকালে মানুষ তার চারপাশের জগতকে দেখে খুব স্বাভাবিকভাবে ধারণা করে নিয়েছিল পৃথিবীটা নিশ্চয়ই সমতল এবং এই সমতল পৃথিবীকে উপুড় করে রাখা বাটির মত একটা আকাশ ঢেকে রেখেছে, সেই আকাশে মেঘ এবং চাঁদ সূর্য ও নানা ধরনের নক্ষত্র লাগানো থাকে যেগুলো পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। প্রাচীন মেস্যেপটমিয়া সভ্যতায় ধারণা করা হতো পৃথিবীটা বুঝি একটা থালার মতন, সেই থালার মত পৃথিবী বিশাল একটা সমুদ্রে ভাসছে এবং গোলাকার একটা আকাশ সেই পৃথিবীকে ঢেকে রেখেছে।
প্রশ্ন-২, পৃথিবী গোলাকার এই ধারণা কিভাবে এল?
উত্তরঃ খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০ বছর আগে গ্রিক গণিতবিদ এরাটোস্থেনিস লক্ষ করেন যে আলেক্সান্দ্রিয়াতে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর-সেখান থেকে। ৮০০ কিলোমিটার দূরে সূর্যরশ্মি ৭.২ ডিগ্রিতে আপতিত হচ্ছে, পৃথিবী সমতল হলে সব জায়গাতেই সূর্য রশ্মি লম্বভাবে আপতিত হত। সেখান থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন পৃথিবী নিশ্চয়ই গোলাকার, শুধু তাই নয় আপতিত কোণের পার্থক্য এবং তার মাঝখানের দূরত্ব থেকে এরাটোস্থেনিস অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ মেপেছিলেন।