শিশু এবং বয়স্করা কতক্ষণ ঘুমাবে - নাক ডাকার সমস্যা কেন হয়

শিশু এবং বয়স্করা কতক্ষণ ঘুমাবে এবং ঘুম না আসার ১০টি কারণ  সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
নাক ডাকা বন্ধ করার উপায়
দ্রুত ঘুম আসার উপায়এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করেছি কীভাবে নাক ডাকে এবং নাক ডাকা বন্ধ করার উপায়।এছাড়া আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।

স্লিপ অ্যাপনিয়া লক্ষণ


ঘুমের মধ্যে রোগীর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, মনে হয় কেউ যেন গলা টিপে ধরেছে, হঠাৎ করে রোগী ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে। এই রোগীরা প্রচণ্ড নাক ডাকে। বারেবারে স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে রোগীর ব্রেইন ও হার্ট কম অক্সিজেন পায় এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। এই ধরনের রোগীরা যেহেতু রাতে একটানা ঘুমাতে পারে না, সেজন্য সারাদিন এ এরা ঝিমায়, হাই তোলে, ক্লান্তি-অবসাদে ডুবে থাকে, মাথাব্যথায় ভোগে।

পরবর্তীকালে এদের হৃদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে। এসব উপসর্গকে একসঙ্গে রলে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রম বা OSASI ছয় ঘণ্টার ঘুমে ত্রিশবার অ্যাপনিয়া হলে এবং অ্যাপনিয়াগুলো দশ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হলে, আমরা বলি অমুকজন স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগী।

স্লিপ অ্যাপনিয়া কয়টা পর্যায় আছে


এই অসুখের দুটো পর্যায় আছে। প্রথমটি হলো অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং দ্বিতীয় সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া। প্রথমটির বেলায় শ্বাসপথের কোথায় অবস্ট্রাকশন বা অবরোধ আছে, সেটি নির্ণয় করে সেই মতো চিকিৎসা করাতে হয়। সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ত্রুটি থাকে মস্তিষ্কে, চিকিৎসা না করালে রোগী মারা যেতে পারে। 

অ্যাপনিয়া রোগীদের পলসমনোগ্রাফি করে ঘুমন্ত অবস্থায় নাড়ির গতি, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাস, ফুসফুসের বায়ু ধারণ ও বর্জন ক্ষমতা, ইসিজি, ইইজি ইত্যাদি পরীক্ষা করে নিয়ে তারপর চিকিৎসার প্যানিং করা হয়। এজন্য রোগীকে স্লিপ ল্যাবে একরাতের জন্য ভর্তি থাকতে হয়। অ্যাপনিক রোগীদের ওজন কমাতে হবে মদ্যপানসহ সবধরনের নেশা ছেড়ে দিতে হবে।

রেস্টলেস লেগ সিনড্রম


এটাও এক ধরনের ঘুমবিভ্রাট। ঘুমের মধ্যে রোগীর পায়ে পিন ফোটানোর মতো যন্ত্রণা হওয়ার জন্য রোগী পা ছোড়ে, এপাশ- ওপাশ করে।

নাকডাকায় ঘুমের বারোটা


নাকডাকা। এটা একটি গোবাল প্রবলেম। এটা নিয়ে দাম্পত্য কলহ কোনো নতুন ব্যাপারও নয়। বিদেশে নাকডাকা নিয়ে বহু বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, হচ্ছে ভবিষ্যতেও হবে। আমাদের সমাজে ব্যাপারটা এত দূর না গড়ালেও নাকডাকা নিয়ে খুচরা অশান্তি লেগে থাকে বহু পরিবারেই। পুরুষরাই নাক ডাকেন বেশি। নাকডাকায় নাক কিন্তু ডাকে না। এই ডাক বা শব্দ তৈরি হয় টাগরা বা তালু বা প্যালেটের নরম অংশের কম্পন থেকে।

কীভাবে নাক ডাকে


নাক ঠিক কীভাবে ডাকে জানার আগে আমাদের শ্বাসপথ সম্বন্ধে একটু ধারণা করে নেয়া যাক। নাক বা মুখ দিয়ে আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি তা ফ্যারিংস বা গলবিল হয়ে, ল্যারিংস বা স্বরযন্ত্র হয়ে প্রবেশ করে ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালিতে। 'সেখান থেকে ব্রনকাস বা ক্লোমনালি হয়ে ব্রনকিওল বা ক্লোমনালিকা হয়ে পৌঁছায় অ্যালভিওলাস বা ফুসফুসের বায়ুথলিতে। 

নিঃশ্বাসের সময় বাতাস আবার এই পথেই ফেরে। আমাদের এই শ্বাসপথের সব থেকে কোমল অংশ হলো ফ্যারিংস বা গলবিল, যার পুরোটাই তন্ত্র ও মাংসপেশি দিয়ে তৈরি। এই ফ্যারিংসের যে অংশটি নাকের পেছনে অর্থাৎ গলার উপরাংশে, তার নাম নাসা গলবিল, বিষম খেলে মুখের পানি নাকে উঠে আসে এই পথেই। 

স্বাভাবিক অবস্থায় ফ্যারিংসের আকার বেশ সুঢৌল থাকে অনেকটা জায়গা জুড়ে। কিন্তু ঘুমানোর সময় এর আবার আয়তন বেশ ছোট হয়ে যায়। চিত হয়ে শুয়ে ঘুমালে জিভ ঝুলে পড়ে ফ্যারিংসের দিকে। তালু, ফ্যারিংস, জিভের মাংসপেশি শিথিল হয়ে পড়ে, ফলে বাতাস চলাচলে বাঁধা পায়, ধাক্কা খায়। এই বাঁধা বা ধাক্কার ফলে নরম তালু বা সফট প্যালেটে কম্পন হয়, ডাকতে থাকে নাক। মোটা মানুষ এবং বয়স্ক মানুষদের পেশির শিথিলতা বেশি হয় বলে তাদের নাক ডাকে বেশি।

কেন নাক ডাকে?


নাক ডাকে নাকের অসুখে। আবার নাক ছাড়া অন্য অসুখেও নাকের অসুখ নাকের পার্টিশনের হাড় বাঁকা থাকলে (ডেভিয়েটেড ন্যাজাল সেপ্টাম), নাকে পলিপ বা কোনো টিউমার থারুলে, নাকে অ্যালার্জি,। নাক বন্ধ থাকলে।

গলার অসুখ


বড় টনসিল, ব বড় অ্যাডিনয়েড গ্যান্ড যা শিশুদের নাকের পেছনটা বন্ধ করে দেয়, বড় জিভ, লম্বা মাংসল আলজিভ, লম্বাটে প্যালেট, ছোট চোয়ালের হাড়, হাঁটুতে প্যারালাইসিস, ফ্যারিনজাইটিস, ল্যারিংস, সিস্ট, পলিপ, প্যারালাইসিস ইত্যাদি। অতিরিক্ত মেদবৃদ্ধি, মদ্যপান ও ধূমপান, পানমসলা, খইনি-গুড়াকুর নেশা, উচ্চরক্তচাপ, ড্রাগে আসক্তি, থাইরয়েডের অসুখ, মস্তিষ্কের অসুখ, স্নায়ুঘটিত রোগ, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের অসুখ ইত্যাদি।

নাক ডাকার সমস্যা কেন হয়


যারা নাক ডাকেন, তারা কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন হন না। ডাক্তারের কাছে যেতেও চান না। কেন চান না। কারণ যারা নাক ডাকেন, তারা যে আশপাশের লোকজনের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন, সেটা তারা বুঝতে চান না, জানতেও চান না। কাজেই ঘুমের বারোটা যাদের বাজে, তাদেরই দায়িত্ব এসে পড়ে সেই ঘুম-ভাঙানিয়াকে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার। 

ডাক্তার ভালো করে পরীক্ষা করে দেখেন নাক-কান-গলায় কোনো গন্ডগোল আছে কি না। থাকলে ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসা করে, প্রয়োজনে অপারেশন করে সেই সমস্যার সমাধান করে দেন। যেমন নাকের পার্টিশনের হাড় বাঁকা থাকলে সেপ্টোপাল্টি অপারেশন করা হয়, ক্রনিক সাইনোসাইটিস থাকলে সাইনাস ওয়াশ করা হয়। 

বড় টনসিল বা বড় অ্যাডিনয়েড গ্যান্ডের জন্য বাতাস যাতায়াতে বাঁধা পেয়ে যদি নাক ডাকে, তবে অপারেশন করে সেগুলোকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া শ্বাসপথ, মুখগহ্বর এবং ফুসফুসে বা অন্যকোথাও কোনো অসুখ-বিসুখ থাকলে সেটারও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। আসল কথা হলো ছোটখাটো ব্যাপারে নাসিকা গর্জন করলে সেই গর্জনকে বর্জন করার রাস্তা ডাক্তার সহজেই বের করে ফেলেন। মুশকিল হয় অন্যদের নিয়ে।

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায়


নাকডাকা থেকে মুক্তি পেতে গেলে ওজনটা কমাতেই হবে। মোটা লোকেরাই নাক ডাকেন বেশি। ছাড়তে হবে মদ্যপানসহ অন্যান্য নেশা। মাথায় বালিশ ব্যবহার না করে কয়েকদিন শুয়ে দেখুন। খাটের পায়ের দিকে দুটি ইট দিয়ে উঁচু করে শুয়ে দেখুন। নাক ডাকার নেপথ্যে কোনো অসুখ থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। থাইরয়েডের অসুখ বা রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে দীর্ঘদিন চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

শিশু এবং বয়স্করা কতক্ষণ ঘুমাবে 


সদ্যোজাত শিশু দিনে প্রায় কুড়ি-বাইশ ঘণ্টা ঘুমায়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের সময় কমতে থাকে। শিশুর মস্তিষ্কে মেলাটনিন হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণই এজন্য দায়ী। বয়স হলে মেলাটনিন নিঃসরণ কমতে কমতে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকে। ফলে ঘুমের সময়ও কমে যায়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা পরিশ্রমসাধ্য কাজ করতে পারেন না, দেহে সঞ্চিত ক্যালরির অল্পপরিমাণই খরচ হয়, সারাদিনই বিশ্রামের সুযোগ, অনেকে দিনের বেলা একটু গড়িয়েও নেন।

 রাতে তাই তাদের ৪-৫ ঘণ্টা ঘুমালেই চলে। এতে তারা সুস্থ থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যাসের ফলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা রাত ৯-৩০টার মধ্যেই শুয়ে পড়েন, মধ্যরাতে তাই ঘুম ভেঙে যায়। বিছানায় শুয়ে ছটফট করেন ভোরের আলো ফোটার। একটু বেশি রাত করে শুলে (রাত ১২টা) আর এই সমস্যা থাকে না। সুযোগ থাকলে অর্থাৎ ছেলে-বউমা-নাতি-নাতনিরা সুযোগ দিলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা প্রতিরাতেই বেশ কিছুক্ষণ করে টিভি দেখতে পারেন। বেশি রাতে শুতে অসুবিধা হলে ভোরে উঠে পায়চারি করবেন, ফুল তুলবেন, পড়ার অভ্যাস থাকলে পড়বেন, সুযোগ পেলে টিভিতে ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান দেখবেন।

ভাতঘুম কি


ভাত খেয়ে ওঠার পরপরই অনেকের শরীরটা কেমন ম্যাজম্যাজ করে, ঘুম পায়। অনেকে ভাত খেয়ে ছোট করে একটা ঘুম দিয়ে নেন। যাকে বলে ভাতঘুম। ভাত আসলে কার্বোহাইড্রেট প্রধান খাদ্য, শতকরা যার পরিমাণ প্রায় ৭৮ ভাগ। ভাত খেলে পেটটা যেন অল্পতেই ভরে যায়, কারণ পাকস্থলী হয়ে অন্ত্রনালিতে পৌঁছতে ভাতের রুটির তুলনায় একটু বেশিই সময় লাগে।

ভাতের কার্বোহাইড্রেটের কিছুটা অংশ হজমের সময় ফারমেন্টেড হয়, বাংলায় যাকে বলে গেঁজে ওঠা। এরফলে সামান্য পরিমাণে ইথাইল অ্যালকোহল এবং কার্বনডাই অক্সাইড তৈরি হয় এবং ঘুম পায়। পান্তা ভাত খেলে এই ফারমেন্টেশন বেশি পরিমাণে হয় বলে ঘুমের নেশা লাগে। যাদের রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়, তারা রুটির বদলে বরং রাতে ভাত খাবেন, দুপুরে রুটি খাবেন। 

ভাতঘুম দিলে কি শরীরে এনার্জি কমে যায়, কাজকর্মে উৎসাহ লাগে না? অথচ জাপানে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দুপুরে এক ঘণ্টা বাধ্যতামূলকভাবে বরাদ্দ আছে ভাতঘুমের জন্য। ওখানে অফিস আওয়ার মোট ১০ ঘণ্টা। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাজ, তারপর ১২টা থেকে ১টা লাঞ্চ টাইম অবশ্যই ভাত সহযোগে, ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভাতঘুমের সময়, আবার ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজের জন্য বরাদ্দ। চীন, ফিলিপাইন, জাপানসহ বহু দেশের মানুষ দিনে দুবেলা ভরপেট ভাত খেয়েও দিব্যি খাটাখাটুনি করেন, রাতে সুখনিদ্রা যান। এদেশে নিয়মটা চালু করলে কেমন হয়!

কতক্ষণ ঘুমাতেই হবে


লিখিত বা বিজ্ঞাপিত এমন কোনো নিয়মকানুন নেই যে, এত ঘণ্টা বাধ্যতামূলকভাবে ঘুমাতেই হবে। ঘুমের বেলায় কত ঘণ্টা ঘুমাচ্ছি সেটা বড় কথা নয়, ঘুমটা ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, সেটাই বড় কথা। অর্থাৎ কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি অব স্পিটাই বিবেচ্য। এটা একেক জনের একক রকম হতেই পারে। শিশুরা বেশিক্ষণ ঘুমায় আগেই বলেছি। 

তবে সুস্থ একজন পূর্ণবয়স্কের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমালেই যথেষ্ট, অর্থাৎ গড়ে ৮ ঘণ্টা। এই ৮ ঘণ্টা রাতে একটানা না হয়ে রাতে ৬ ঘণ্টা, দুপুরে ১ থেকে ২ ঘণ্টা, এমনও. হতে পারে। আবার ৪-৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েও অনেকে দিব্যি ফিট আছেন। মোদ্দাকথা হলো, ঠিক যে পরিমাণ ঘুমালে আপনি সারাদিন চনমনে থাকতে পারেন, সেটাই আপনার ঘুমের পরিমাণ। ১০ ঘণ্টা বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করার চেয়ে ৪-৫ ঘণ্টা টানা ঘুমানো যে শরীরের পক্ষে অনেক বেশি উপকারী তা বলাই বাহুল্য।

ঘুম না আসার ১০টি কারণ


  • সবাই বলে আমি নাকি ঘুমের মধ্যে দারুণ নাক ডাকি
  • ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে আমার শ্বাস নাকি আটকে যায়
  • হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে ধড়ফড় করে বিছানায় উঠে বসি
  • ভোরবেলার দিকে আমার মাথা ধরে
  • আমার ওজনটা বড্ড বেশি
  • দিনের বেলায় বড্ড ঝিমুনি আসে। জোর করে জেগে থাকি
  • প্রায়ই ঘুম থেকে উঠে দেখি গলা শুকিয়ে কাঠ
  • আমার এনার্জি দিনদিন কমে যাচ্ছে
  • বন্ধুরা বলে আমি নাকি অমনোযোগী এবং খিটখিটে হয়ে যাচিছ
  • আমার রক্তচাপও বেশি থাকছে
উপরের ১০টির মধ্যে ৩টি উপসর্গ থাকলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন। ঘুম আসে না কেন অসংখ্য কারণ আছে ঘুম না আসার অর্থাৎ অনিদ্রার। কিছু কারণ অল্পস্থায়ী, কিছু আবার দীর্ঘকালীন। নানা ধরনের জটিল অসুখ এবং মানসিক রোগে ক্রনিক ইনসমনিয়া বা দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। 

বাত, হাঁপানি, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েডের অসুখ, ডায়াবেটিস, প্রস্টেটের সমস্যা, যক্ষ্মা, ঋতুর গোলযোগ, গর্ভাবস্থা, রেনাল ফেইলিওর, হার্ট ফেইলিওর, পেপটিক আলসার, ক্যান্সারের বাড়াবাড়ি পর্যায়, মেনোপজ বা ঋতু বন্ধের পর, পেটের অসুখ, এমনকি সমস্যা জ্বরজারিতেও অনেকের ঘুম আসতে চায় না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন