পাতার প্রস্থচ্ছেদে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া

পাতার প্রস্থচ্ছেদে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া

পাতার প্রস্থচ্ছেদে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া

সালোকসংশ্লেষণের বিক্রিয়াটি


সালোকসংশ্লেষণ Photosynthesis  

12H2O + 6CO2 ⟶ C6H12O6 + 6H2O + 6O2

ফটোফসফোরাইলেশন
 NADP  NADPH + H+
ADP + Pi  ATP

    বিজ্ঞানী Blackman
  • আলোক নির্ভর পর্যায়  H₂O ভাঙ্গন, ফটোফসফোরাইলেশন।
  • আলোক নিরপেক্ষ / অন্ধকার পর্যায়
যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় সজীব উদ্ভিদ কোষস্থ ক্লোরোফিল সূর্যের আলোকশক্তিকে ATP এবং NADPH + H+ (পানি সালোকবিভাজনের মাধ্যমে) নামক রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করে এবং ঐ রাসায়নিক শক্তিকে (ATP ও NADPH + H+) কাজে লাগিয়ে CO₂ বিজারণের মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত ও উপজাত হিসাবে O₂ নির্গত করে, তাকে সালোকসংশ্লেষণ বা ফটোসিন থেসিস বলে।

সালোকসংশ্লেষণের অঙ্গঃ পাতার মেসোফিল [গ্রাউন্ড টিসু]
মেসোফিল টিস্যুর কোষেঃ ক্লোরোপ্লাস্টঃ সালোক সংশেষণের অঙ্গানু
ক্লোরোফিল উৎপাদনকারী জীন অনুপস্থিত Albino plants
ক্লোরোসিসঃ Mg2+ , Cu2+ , Fe2+ , Mn2+ , K+ অভাবে ক্লোরোফিল উৎপাদন হয় না। পাতা তখন বিবর্ণ হয়।

সালোকসংশ্লেষণের বিক্রিয়া


সালোকসংশ্লেষণের বিক্রিয়াটি

উদ্ভিদের পাতার অভ্যন্তরীণ অংশ

উদ্ভিদের পাতার অভ্যন্তরীণ অংশ

প্লাস্টিডের গঠন

প্লাস্টিডের গঠন

পাতায় উপস্থিত তিন ধরনের রঞ্জক

পাতায় উপস্থিত তিন ধরনের রঞ্জক
আলো এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। এর উৎস হলো সূর্য। সূর্য একটি বিরাট উত্তপ্ত পরমাণু চুল্লি।এখানে অনবরত হাইড্রোজেন পরমাণু হিলিয়াম পরমাণুতে পরিবর্তিত হচ্ছে। সূর্যের উত্তপ্ত কেন্দ্রের হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে হিলিয়াম পরমাণুতে রূপান্তরের সময় যে শক্তি বিকিরিত হয়, তাকে ফোটন কণা বলে। এক্স-রে ও গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেক কম এবং ইনফ্রারেড ও রেডিও-রে-এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনেক বেশি। আলোর তরঙ্গের শুধুমাত্র দৃশ্যমান আলো আমরা দেখতে পায় যা সাদা আলো নামে পরিচিত।

আলোর বর্ণালি (Light spectrum): দৃশ্যমান আলো অনেকগুলো তরঙ্গের (spectra) সমষ্টি মাত্র। দৃশ্যমান আলোর প্রকৃতি বোঝানোর জন্য যে এককে প্রকাশ করা হয় তাকে ন্যানোমিটার (nanometer = nm; 1 nm = 10-9 m) বলে। দৃশ্যমান আলো একটি প্রিজম-এর ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো হলে অন্তস্থ যে তড়িত্তরঙ্গ রয়েছে তা পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে পড়ে। 

এর মধ্যে মোট সাত ধরনের তড়িত্তরঙ্গ রয়েছে যার সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য হলো ৩৯০ nm এবং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৭৬০ m। এসব তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পৌঁছালে প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন রঙে ধরা পড়ে। এগুলো হলো- বেগুনি (violet), নীল (indigo), নীলাভ-সবুজ বা আসমানী (blue), সবুজ (green), হলুদ (yellow), কমলা (orange) এবংলাল (red)। এগুলোর আদ্যাক্ষর নিয়ে সংক্ষিপ্ত নাম বেনিআসহকলা বা VIBGYOR হয়েছে। একে আলোর বর্ণালি বলে।

বিক্রিয়া কেন্দ্র (Reaction Centre)


ফটোসিস্টেমের একটি বিক্রিয়া কেন্দ্র থাকে। বিক্রিয়া। চি চার চক কেন্দ্রে অল্পসংখ্যক প্রোটিন থাকে। প্রতিটি প্রোটিন একদিকে একজোড়া বিশেষ ধরনের ক্লোরোফিল-a এর সাথে এবং অপরদিকে একটি প্রাথমিক ইলেক্ট্রনগ্রহীতার সাথে সংযুক্ত লাভ কশীমানার থাকে। প্রাথমিক ইলেক্ট্রনগ্রহীতা থেকে ইলেক্ট্রনটি একটি ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইন (ETC)-এর মাধ্যমে অগ্রসরমান হয়। 

বিক্রিয়া কেন্দ্রের বিশেষ ক্লোরোফিল একটি ইলেক্ট্রন প্রাথমিক ইলেক্ট্রনগ্রহীতাকে প্রদান করলেই শোষিত আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। বিক্রিয়া কেন্দ্র থাইলাকয়েড মেমব্রেনের বাইলেয়ারে অবস্থিত। এটমের নিম্নশক্তি বলয় ও উচ্চশক্তি বলয়ের মাঝে শক্তির যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় তা অবশ্যই শোষিত আলোক শক্তির সমান হতে হবে। এই শক্তি সমান না হলে আলোর ফোটন শোষিত হবে না।
বিক্রিয়া কেন্দ্র

বিক্রিয়া কেন্দ্রে উপস্থিত ক্লোরোফিল

বিক্রিয়া কেন্দ্রে উপস্থিত ক্লোরোফিল
ক্লোরোফিল (Chlorophyll): ক্লোরোফিল হলো জীবকোষের ক্লোরোপ্লাস্টে অবস্থিত সবুজ বর্ণের রঞ্জক পদার্থ য উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে সাহায্য করে। ক্লোরোফিল পিগমেন্ট প্লাস্টিড তথা ক্লোরোপ্লাস্টে থাকে, আর ক্লোরোপ্লাস্ট পাতার মেসোফিল টিস্যুতে অধিক পরিমাণে থাকে। সাধারণত উচ্চ শ্রেণির উদ্ভিদের ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিল 'a' (chl 'a'), ক্লোরোফিল 'b' (chl 'b'), জ্যান্থোফিল ও ক্যারোটিন পিগমেন্টসমূহ থাকে। chl 'a' হলদে-সবুজ বর্ণের, chl 'b' নীলাক সবুজ বর্ণের, জ্যান্থোফিল হলুদ এবং ক্যারোটিন কমলা বর্ণের। এগুলো ছাড়াও ব্যাকটেরিয়া এবং শৈবালে ভিন্ন ধরনের ক্লোরোফিল থাকে।

বিক্রিয়া কেন্দ্রে উপস্থিত ক্লোরোফিল

পানির ফটোলাইসিস

পানির ফটোলাইসিস

ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম

ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন