কপি পেস্ট করে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকামের সঠিক পদ্ধতি

কপি পেস্ট করে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকামের সঠিক পদ্ধতি এবং কিভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায় সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে তাহলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

এই আর্টিকেলে আরো আলোচনা করছি কোথায় থেকে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করবেন এবং কিভাবে চ্যালেন মনিটাইজ করবেন। এছাড়া আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিস্তারিত আলোচনা করা হলো সেগুলো জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

কোন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে ইউটিউবে কাজ করলে তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়

কোন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে ইউটিউবে কাজ করলে তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়
আপনি যদি চাইনিজ এপ্স থেকে চাইনিজ কনটেন্ট নিয়ে সেটিকে এডিট করে আপলোড করলে আপনি ওই ভিডিওর উপর তাড়াতাড়ি ভাইরাল হবেন। আপনাকে প্রথমে চাইনিজ এপ্স থেকে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে তারপর আপনি সেখান থেকে আপনার পছন্দমত ট্রেন্ডিং টপিক ভিডিও ডাউনলোড করে সেটি এডিট করে ভয়েস দিয়ে আপনি ভিডিওটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন। ট্রেন্ডিং টপিক কনটেন্ট নিয়ে youtube এ কাজ করলে তাড়াতাড়ি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

কোথায় থেকে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করবেন


কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য আপনি ইউটিউবে বড় বড় চ্যালেন আছে যে চ্যানেলগুলোতে অনেক ভিউ, অনেক সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ওইসব চ্যানেলের ক্রিয়েটের সঙ্গে কথা বলে বা ইমেইল করে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই ভিডিওগুলো ডাউনলোড করতে পারবেন। যে ভিডিওগুলোতে আপনার কপিরাইট আসবে সে ভিডিও গুলোর কনটেন্ট মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আপনি কপিরাইট ফ্রি করতে পারবেন। 

তাদেরকে ভালোভাবে বুঝাতে পারবেন, যে আপনি এই ভিডিওগুলো এন্টারটেইনমেন্টের জন্য তৈরি করি, মজার জন্য তৈরি করি, আমি কোন খারাপ কাজ করতেছি না এই কথাগুলো তাদেরকে বললে তারা তাদের কনটেন্ট আপনার চ্যানেলে আপলোড দেয়ার অনুমতি দিবে। তাহলে আপনার চ্যানেলে কোনো রকম কপিরাইট আসবে না। আর এইভাবে আপনি কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।

কিভাবে চ্যালেন মনিটাইজ করবেন


যে সমস্ত ডিভাইসের মধ্যে chrome browser রয়েছে কিন্তু আপডেট করা নেই সে সকল ক্রোম ব্রাউজারগুলো প্রথমে google play store থেকে chrome ব্রাউজারটি আপডেট করে নিন। এবার ইউটিউব টিকে ওপেন করে নিন। আপনি যে জিমেইল এড্রেস দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করেছেন সেই জিমেইল এড্রেস দিয়ে সাইন ইন করে নিন। এখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে ঢুকলে দেখতে পাবেন মনিটাইজেশনের বা আর্ন করার একটা অপশন সেই অপশনের উপর ক্লিক করলে আপনি মনিটাইজেশন করার স্টেপ বাই স্টেপ অপশন পাবেন। 
ওই অপশনগুলো পূরণ করলেই আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর একবার এই সেবাটি চালু হয়ে গেলে গুগল তার পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে আপনার ভিডিওতে এড দেখাবে। এবং ওই অ্যাড এর রেভিনিউ থেকে আপনাকে 55 শতাংশ দিবে। তাহলে, ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন বলতে আমরা বুঝি, ইউটিউব চ্যানেলে থাকা আপনার ভিডিওগুলি থেকে টাকা আয় করার অনুমতি নেয়ার প্রক্রিয়া।

কিভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়


আপনি বিভিন্ন অ্যাপস এর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো এডিটিং করা যায় CapCut এবং কাইনমাস্টার এই অ্যাপসের মাধ্যমে। আপনারা যারা একদম নতুন ভিডিও এডিটিং করেন তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং ভাল হয় CapCut অ্যাপস দিয়ে ভিডিও এডিটিং করা। 

আর ভয়েস রেকর্ড এর জন্য আপনি একটি ভালো Boya ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যখন একটি ভিডিও এডিট করবেন তখন খেয়াল রাখবেন ভিডিওটা এডিট করার সময় ভিডিওটা একটু ফাস্ট মোশন করবেন এবং কালার চেঞ্জ করবেন আর ভয়েসটা খুব তাড়াতাড়ি দিবেন। আর স্কিপ অনুযায়ী কাট করে আরেকটা স্কিপ অনুযায়ী কাজ শেষ করবেন। 

আর এভাবে আপনি একটি ইউনিক ভিডিও বানিয়ে এডিট করবেন। আপনার যখন কোন ভিডিও ডাউনলোড করবেন youtube থেকে তখন খেয়াল রাখবেন কখনো ছোটখাটো ইউটিউবারদের ভিডিও ডাউনলোড করবেন না। এদের ভিডিও ডাউনলোড করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি আপলোড করেন তাহলে আপনাকে কপিরাইট স্ট্রাইক এর সমস্যা হতে পারে।

কপি-পেস্ট ভিডিও ইউটিউবে ভিউ ড্রপ করলে কি করতে হবে


ইউটিউবে কপি-পেস্ট ভিডিও ভিউ ড্রপ করলে করে তাহলে আপনাকে নিত্যনতুন ভিডিও নিয়ে ইউটিউবে এমন কোন নতুন ভিডিও আসেনি সেরকম টপিক ধরে ভিডিও নিয়ে কাজ করলে youtube সাজেস্ট করবে এবং ট্রেনিং টপিকে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যে ভিডিওগুলো এখনো কোন ইউটিউবার youtube এ বানাইনি সে ভিডিওগুলো আপনাকে তৈরি করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। 

তাহলে খুব দ্রুত আপনার চ্যানেলে ভিউ আসা শুরু করবে। আর আপনার চ্যানেলের যদি কপি পেস্ট ভিডিও ইউটিউবের ভিউ ড্রপ করে তাহলে আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথম কাজটি হলো যে আপনাকে একদম নতুন টেন্ডার টপিক ফলো করুন। দ্বিতীয়টি হল আপনি যখন কন্টেন নির্বাচন করছেন। 

তখন লক্ষ করে দেখুন সেই কনটেন্টা ইতিপূর্বে কোন চ্যানেলে পাবলিশ হয়েছে কিনা। ধরেন যদি কোন কনটেন্ট প্রচুর পরিমাণ দর্শক দেখে ফেলেছে সেই কনটেন্টা যদি আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে ভিউ নাও আসতেও পারে সুতরাং সব সময় চেষ্টা করুন কনটেন্ট তৈরি করার সময় নতুনত্ব আনবার যদি আপনি নতুন জিনিস আনতে পারেন বা বা নতুন কনটেন্ট দর্শকদের দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চ্যানেলের ভিউ বাড়বে

কপি পেস্ট করে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকামের সঠিক পদ্ধতি


কপি-পেস্ট করে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর জন্য আপনাকে একটি চাইনিজ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে সেখানে আপনি আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আর ওখানে যেগুলো ট্রেন্ডিং টপিকে ভিডিওগুলো আছে সেই ভিডিও গুলোতে ফলো করতে হবে। যখন যেটাতে নিউ ভিডিও আসে ওইগুলো ডাউনলোড করে নতুন নতুন ভিডিও বানাতে হবে। 

ট্রেন্ডিং টপিক বলতে বোঝায় যে বড় বড় চ্যানেলে যেসব ক্রিয়েটর আছে তারা যে কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করে ওই ভিডিওগুলোতে অনেক ভিউ আসে ওই ভিডিও গুলো বুঝে আপনাকে ট্রেনডিক টপিক গুলো খুঁজে বের করতে হবে। ক্যানডিক টপিক ট্রেন্ডিং টপিক ডাউনলোড করার জন্য চাইনিজের শুধু মাত্র একটি অ্যাপস আছে এই অ্যাপটি হলো Kuaishou। 

তবে কপি পেস্ট ভিডিও তৈরি করার সময় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে স্টোরি লাইন আছে যে গল্পটি আছে সেই গল্পটিকে আপনাকে ইউনিক করে একটি ভিডিও বানাতে হবে। এভাবে কপি পেস্ট করে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url