ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার এর সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞান ও অনুধাবকমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর

ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার এর সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞান ও অনুধাবকমূলক অংশের জন্য সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তর
ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার এর সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞান ও অনুধাবকমূলক প্রশ্ন
জ্ঞানমূলক অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (ক-অংশের জন্য)

১। রাইডার কাকে বলে?

উত্তরঃ পল-বুঙ্গি ব্যালেন্সে এক গ্রামের চতুর্থ দশমিক স্থান পর্যন্ত পরিমাপের জন্য 5 mg অথবা 10 mg ভরের স্থানান্তর যোগ্য AI ধাতুর একটি লুপ যুক্ত বা প্যাঁচানো তার ব্যালেন্সের বীমের ওপর ব্যবহৃত হয়। এটিকে নিক্তির রাইডার বলে।

২। ফার্স্ট এইড বক্স কী?

উত্তরঃ ল্যাবরেটরিতে দুর্ঘটনাজনিত আহত ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে যে চিকিৎসা দেয়া হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলা হয়। এজন্যে ল্যাবরেটরিতে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়, তাকে ফার্স্ট এইড বক্স বলা হয়।

৩। রাইডার ধ্রুবক কী?

উত্তরঃ পল-বুঙ্গি ব্যালেন্সের বীমের দৈর্ঘ্যের সাপেক্ষে প্রতি শতাংশে ব্যবহৃত রাইডারের ওজনের পার্থক্যকে রাইডার ধ্রুবক বা আরোহী ধ্রুবক বলে।

৪। মোলারিটি কাকে বলে?

উত্তরঃ স্থির তাপমাত্রায় 1.0L দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাই হলো। দ্রবণের মোলার ঘনমাত্রা বা মোলারিটি।

৫। খাদ্য নিরাপত্তা কাকে বলে?

উত্তরঃ উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের খাদ্যকে জীবাণু ও দূষণ মুক্ত রাখা বা স্বাস্থ্য হানির বিভিন্ন কারণগুলো থেকে মুক্ত রাখার বিষয়ই হলো খাদ্য নিরাপত্তা।

৬। হ্যাজার্ড সিম্বল কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো রাসায়নিক পদার্থ কতটা ঝুকিপূর্ণ তা রাসায়নিক পদার্থ ধারনকারী পাত্রের গায়ে লাগানো প্রতীক দেখে বুঝা যায়। এই প্রতিকগুলোকে হ্যাজার্ড সিম্বল বা প্রতীক বলে।

৭। রাইডার ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রতিটি রাইডারের জন্য নির্দিষ্ট ভরভিত্তিক একটি স্থির সংখ্যা সূচক মান গণনা করা হয়। এ স্থির মানকে ঐ রাইডারটির জন্য রাইডার ধ্রুবক বলে।

৮। নোড কাকে বলে?

উত্তরঃ পরমাণুর মধ্যবর্তী যে স্থানে ইলেকট্রন ঘনত্ব সর্বাধিক হ্রাস পায় তাকে পর্ব বা নোড (node) বলে।

৯। রাইডার কাকে বলে?

উত্তরঃ পল-বুঙ্গি ব্যালেন্সে এক গ্রামের চতুর্থ দশমিক স্থান পর্যন্ত পরিমাপের জন্য 5 mg অথবা 10 mg ভরের স্থানান্তর যোগ্য AI ধাতুর একটি লুপ যুক্ত বা প্যাঁচানো তার ব্যালেন্সের বীমের ওপর ব্যবহৃত হয়। এটিকে নিক্তির রাইডার বলে।

১০। মেজারিং সিলিন্ডার কি?

উত্তরঃ মেজারিং সিলিন্ডার একটি চোঙ্গাকৃতি একমুখ খোলা এবং একমুখ বন্ধ ml. এ দাগাঙ্কিত মোটা কাচনল বিশেষ যার সাহায্যে পরীক্ষাগারে তরল পরিমাপ করা হয়। এটি পুরু কাচের দেয়ালবিশিষ্ট দাগ কাটা সিলিন্ডার আকৃতির পাত্র।

১১। 4 ভিজিট ব্যালেন্স কী?

উত্তরঃ 4-ডিজিট ডিজিটাল ব্যালেন্স একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ব্যালেন্স। এর সাহায্যে 0.1 mg পর্যন্ত ওজন পরিমাপ করা যায়।

১২। প্রমাণ দ্রবণ কি?

উত্তরঃ যে দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে।

১৩। সবুজ রসায়ন কী?

উত্তরঃ বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী রসায়নবিদরা বিভিন্ন শিল্পে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রয়োগে শিল্প ক্ষেত্রে ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন যথাসম্ভব হ্রাস করে নতুন ও উন্নততর পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি উদ্ভাবনে সচেষ্ট রয়েছেন, এরূপ রাসায়নিক পদ্ধতিকে সবুজ রসায়ন বলা হয়।

১৪। ক্ষয়কারী পদার্থের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে সকল পদার্থ অন্য পদার্থের সংস্পর্শে এসে ঐ পদার্থের ক্ষয় করে তাদেরকে ক্ষয়কারী পদার্থ বলা হয়।

১৫। পিপেট কি?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট আয়তনের তরল পদার্থকে সঠিকভাবে মেপে এক পাত্র থেকে অন্য পাত্রে নেয়ার জন্য যে. যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তাকে পিপেট বলে। সাধারণত পিপেট দুই মুখ খোলা সরু একটি কাঁচ নল দ্বারা নির্মিত।

১৬। রাইডার কী?

উত্তরঃ রাইডার হলো নির্দিষ্ট জানা ভরের একটি অতিসূক্ষ্ম ধাতব তারের বাঁকানো টুকরা যা ব্যালেন্সের বীমের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারে।

১৭। সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব পদার্থসমূহ বায়ুর উপাদান দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হয় তাদের সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে।

১৮। মিনিস্কাস কী?

উত্তরঃ তরল যেখানে সিলিন্ডারকে বা ব্যুরেটকে স্পর্শ করে সেখানে বেঁকে যায়। এই বাঁকানো পৃষ্ঠতলই হলো মিনিস্কাস।

১৯। NFPA-এর পূর্ণ রূপ কী?

উত্তরঃ NFPA-এর পূর্ণ রূপ হলো: National Fire Protection Agency.

২০। দ্রাবক কী?

উত্তরঃ দ্রাবক হলো ঐ সকল পদার্থ যা দ্রবকে দ্রবীভূত করে দ্রবণে যায়।

২১। দ্রবণ কী?

উত্তরঃ রাসায়নিকভাবে দ্রবণ হলো দ্রাবক ও দ্রবের সমসত্ত্ব মিশ্রণ।

২২। বিষাক্ত পদার্থ কাকে বলে?

উত্তরঃ মানুষ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পদার্থকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিক পদার্থ বলে।
ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার এর সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞান ও অনুধাবকমূলক প্রশ্ন

১। 'রক্ত একটি বাফার দ্রবণ'- ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ রক্ত একটি বাফার দ্রবণ। কারণ রক্তে সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষার যোগ করলে রক্তের pH এর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না। রক্তে বাইকার্বনেট-কার্বনিক এসিড বাফার বিদ্যমান। অম্লজাতীয় খাদ্য যেমন অধিক লেবুর রস গ্রহণে রক্তে কোন এসিড জাতীয় দ্রবণ শোষিত হলে তা নিম্নোক্ত বিক্রিয়া অনুসারে প্রশমিত হয়।
H+HCO₂ H₂CO₃
উৎপন্ন কার্বনিক এসিড (H₂CO₃), পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডে বিযোজিত হয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড ফুসফুসের মাধ্যমে প্রশ্বাসের সাথে নির্গত হয়। অপরদিকে রক্তে কোন ক্ষারীয় দ্রবণ শোষিত হলে বা ঔষধরূপে যোগ করলে তা নিম্নোক্ত বিক্রিয়া অনুসারে প্রশমিত হয়।
OH+H₂CO₃ HCCO₃ + H₂O
অর্থাৎ, রক্তে H' কিংবা OH যা-ই যোগ করা হয় না কেন pH এর মান অপরিবর্তিত থাকে। তাই রক্ত একটি বাফার দ্রবণ।

২। ল্যাবরেটরিতে হ্যান্ড গ্লান্স ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।


উত্তরঃ যেসব রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘমেয়াদি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, সেসব উপাদানকে ব্যবহার করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস্ ব্যবহার করতে হয়। পরীক্ষানল বা অন্য কোনো যন্ত্র উত্তপ্ত করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস্ ব্যবহার করা উচিত। ভাঙা কাচের টুকরা, এসিডের বোতল বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের পাত্রকে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস্ পরে ব্যবহার করতে হয়। রিয়েজেন্ট বোতলের কর্ক, ছিপি খালি হাতে আটকানো বা খোলা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে গ্লাভস ব্যবহার করা যায়।

৩। কস্টিক সোডা দ্রবণকে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করা যায় না কেন?


উত্তরঃ কস্টিক সোডা দ্রবণ কাচের সাথে বিক্রিয়া করে বিধায় কস্টিক সোডা দ্রবণ কাচের পাত্রে রাখা যায় না। কস্টিক সোডা কাচের পাত্রের সাথে বিক্রিয়া করে কাচের পাত্র ক্ষয় করে ফেলে।
2NaOH + SiO₂→ Na2SiO₃ + H₂O এ কারণে কাচের পাত্রের কস্টিক সোডা রাখা যায় না।

৪। সেমি-মাইক্রো পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব কেন?


উত্তরঃ সেমি মাইক্রো বিশ্লেষণে এক একটি পরীক্ষায় নমুনা পদার্থের প্রায় 0.05g হতে 0.2g অর্থাৎ 50mg হতে 200mg কঠিন পদার্থ ব্যবহৃত হয়। দ্রবণের পরিমাণ 2mL-4mL হয়। অতি অল্প পরিমাণ বিক্রিয়ক পদার্থ নিয়ে বিক্রিয়া করা হয় বলে উপজাত পদার্থ কম উৎপন্ন হয়। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ কম উৎপন্ন হয়। তাই সেমি-মাইক্রো পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব।

৫। ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ চশমা ব্যবহার করা প্রয়োজন কেন?


উত্তরঃ চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার সময় চোখের সুরক্ষার জন্য নিরাপদ চশমা ব্যবহার করা হয়। টেস্টটিউবে বিকারক উত্তপ্ত করার সময় অসাবধানতা বশত টেস্টটিউব থেকে রিয়েজেন্ট ও বিষাক্ত গ্যাস তীব্র বেগে বেরিয়ে শরীরে বা চোখে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিরাপদ চশমা ব্যবহার করা প্রয়োজন।

৬ । ল্যাবরেটরীতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগসমূহ ব্যবহার বা পরীক্ষার পর যখন এদেরকে কোন রকম প্রক্রিয়া না করে বা পরিবেশ উপযোগী না করে ফেলে দেওয়া হয় তখন এই সমস্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো খুব সহজেই বায়ু, পানি ও মাটিতে মিশে যায়। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। কতিপয় ধাতু যেমন- লেড, মার্কারি, ক্রোমিয়াম, যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পানিতে বা মাটিতে ফেলা হয় তবে তা মাটি ও. পানিকে দূষিত করে। 

অব্যবহৃত এসিড (HNO, H₂SO₄, HCI ইত্যাদি) বা ক্ষার (NaOH, KOH ইত্যাদি) যখন পানিতে বা মাটিতে ফেলা হয় তখন তা পানি বা মাটির অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের হ্রাস ও বৃদ্ধি ঘটায়। কিছু কিছু ভারী ধাতু আছে যেগুলোর প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদী। কোনভাবে শরীরে প্রবেশ করলে, ধীরে ধীরে এ বিষক্রিয়া চলতে থাকে। 

যেমন- As( আর্সেনিক), Pb (সিসা), Cr (ক্রোমিয়াম) ইত্যাদি। অনেক জৈব দ্রাবক রয়েছে যা উদ্বায়ী। এগুলোর ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত অংশ মাটি ও পানির পাশাপাশি বায়ুমন্ডলকেও দূষিত করে। তাই পরিবেশ রক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত প্রয়োগ এবং যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৭। সালফিউরিক এসিডপূর্ণ বিকারক বোতল কাঠের তৈরি সেলফে রাখা হয় না কেন?


উত্তরঃ সালফিউরিক এসিড একটি শক্তিশালী নিরূদক পদার্থ। তাই এটি অন্য কোনো পদার্থের সংস্পর্শে আসলে ঐ পদার্থ থেকে পানি শুষে নেয়। কাঠের প্রধান উপাদান হলো সেলুলোজ। কাঠের গঠন ঠিক রাখার জন্য সেলুলোজ নির্দিষ্ট মাত্রার পানি বজায় রাখতে হয়। কিন্তু কঠোর তৈরি সেলফে সালফিউরিক এসিডপূর্ণ বোতল রাখলে কাঠ তখন পানি হারিয়ে ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই সালফিউরিক এসিড পূর্ণ বিকারক বোতল কাঠের সেলফে রাখা হয় না।

৮। রাইডার ব্যবহার কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ কোন বস্তু ওজন করার সময় রাইডার ধ্রুবক দিয়ে রাইডার পাঠ সংখ্যাকে গুণ করলে রাইডারজনিত ওজন পাওয়া যায়। কোন বস্তুর ওজন নেয়ার সময় পাল্লায় মূল ওজন স্থাপনের পর 'অবশিষ্ট সমতা বিধানের জন্য যদি রাইডারকে ডানে সরাতে হয় তবে মূল ওজনের সঙ্গে রাইডারজনিত ওজন যোগ করা হয় এবং রাইডার বামে সরাতে হলে মূল ওজন থেকে রাইডাজনিত ওজন বিয়োগ করতে হয়। তাই কোনো বস্তুর সঠিক ওজন নির্ণয়ের জন্য রাইডার ব্যবহার প্রয়োজন।

৯। কাচের যন্ত্রপাতি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সতর্কতাগুলো লিখ।


উত্তরঃ কাচের যন্ত্রপাতি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করতে হবে:
  • (i) গ্লাস সামগ্রী ধোয়ার সময় পানির ট্যাপে বা বেসিনে যেন আঘাত না লাগে।
  • (ii) ক্ল্যাম্প দ্বারা স্ট্যান্ডের সাথে আটকানোর সময় যেন অসতর্কতাবশত অধিক চাপে গ্লাস সামগ্রী ভেঙে না যায়।
  • (iii) গ্লাস যন্ত্রের বাইরের দেয়ালে পানি থাকা অবস্থায় উত্তপ্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • (iv) উত্তপ্ত কাচপাত্রকে কখনোই পানি দ্বারা ধোয়া যাবে না। এক্ষেত্রে গরম কাচে পানি লাগলে তা ফেটে যাবে।

১০। ল্যাবরেটরিতে ওয়াটার বাথ ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তরঃ তরুলকে না ফুটিয়ে যদি বিক্রিয়া ঘটানোর জন্য অথবা অন্য কোন কারণে তাপ দিতে হয় তবে ওয়াটার বাঘ ব্যবহার করা হয়। বাণিজ্যিক ওয়াটার বাথে ধাতব পাত্রে বা কড়াই জাতীয় পাত্রের উপর ছিদ্রযুক্ত ঢাকনা থাকে যার মধ্যে টেস্টটিউব, বিকার, কনিক্যাল ফ্লাস্ক প্রভৃতি বসানোর মত ছিদ্র থাকে। 

ওয়াটার বাথে পানিপূর্ণ করে তাপ দেয়া হয়। তবে বাণিজ্যিক ওয়াটার বাথ ছাড়াও ল্যাবরেটরিতে কাঁচের বিকারে বা পাত্রে পানি নিয়ে ওয়াটার বাঘ তৈরি করা যায়। বাম্পিং ছাড়া সুষম এবং নিরাপদ জাবে তাপ দেয়ার জন্যই মূলত ওয়াটার ব্যথ ব্যবহার করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন