ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদার্থ ও যন্ত্রপাতি সম্বন্ধে অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
চলে এসেছে এইচএসিস পরীক্ষার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে HSC 25 অনলাইন ব্যাচল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদার্থ ও যন্ত্রপাতি সম্বন্ধে অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
১। তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থ তেজক্রিয় রশ্মি- আলফা, বিটা ও গামা রশ্মিা নিঃসরণ করে তাদের তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে।
২। কেমিক্যাল ব্যালেন্স কাকে বলে?
উত্তরঃ মাত্রিক বিশ্লেষণে রাসায়নিক পদার্থকে 0.01-0.0001g পরিমাপের জন্য উপযুক্ত নিক্তিকে কেমিক্যাল ব্যালেন্স বলে।
৩। রিএজেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব রাসায়নিক পদার্থ ল্যাবরেটরিতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ শনাক্তকরণে কঠিন বস্তু বা দ্রবণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে রিএজেন্ট বলা হয়।
৪। উত্তেজক পদার্থ কী?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থের সংস্পর্শে চামড়া, নাক, কান, গলা এবং ফুসফুসের ঝিল্লিতে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয় তারা উত্তেজক পদার্থ।
৫। PPE-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তরঃ PPE-এর পূর্ণ রূপ হলো- Personal Protective Equipment
৬। বোরোসিলিকেট গ্লাস কী?
উত্তরঃ বোরোসিলিকেট গ্লাস এমন ধরনের গ্লাস্ যা সিলিকা ও বোরন অক্সাইডের সমন্বয়ে গঠন করা হয়।
৭। রিসাইকেলিং কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বা উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয় তাকে রিসাইকেলিং বলে।
৮। শুষ্ক পরীক্ষা কাকে বলে?
উত্তরঃ অজানা লবণের নমুনাকে শুষ্ক অবস্থায় কখনো শুধু তাপ প্রয়োগ করে আবার কখনো বিকারকের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শনাক্ত করার পদ্ধতিকে শুষ্ক পরীক্ষা বলে।
৯। নেসলার বিকারক কাকে বলে?
উত্তরঃ ক্ষারযুক্ত পটাসিয়াম মারকিউরিক আয়োডাইডকে নেসলার বিকারক বলে।
১০। মোলাল ঘনমাত্রা বা মোলালিটি কাকে বলে?
উত্তরঃ 1000 g দ্রাবকে দ্রবীভূত দ্রবের গ্রাম আণবিক বা মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলাল ঘনমাত্রা বা মোলালিটি বলে।
১১। অম্লমিতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রণালিতে একটি প্রমাণ ক্ষার দ্রবণের সাহায্যে আয়তনিক বিশ্লেষণ দ্বারা একটি এসিড দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয় তাকে অভ্রমিতি বা এসিডমিতি বলে।
১২। ক্ষারমিতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রণালিতে একটি প্রমাণ এসিড দ্রবণের সাহায্যে আয়তনিক বিশ্লেষণ দ্বারা একটি ক্ষার দ্রবণের অজানা ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয় তাকে ক্ষারমিতি বলে।
১৩। অ্যানিলিং কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় তাপ কমিয়ে কোনো পদার্থকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তর করা হয় তাকে অ্যানিলিং বলে।
১৪। PEC-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তরঃ PEC-এর পূর্ণ রূপ হলো- Potentially Explosive Chemical,
১৫। ট্রিফয়েল কাকে বলে?
উত্তরঃ ট্রিফয়েল একটি আন্তর্জাতিক সাংকেতিক চিহ্ন যা কোনো পাত্রের গায়ে লাগানো থাকলে ঝুঝতে হবে এতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ রয়েছে।
১৬। HPLC-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তরঃ HPLC-এর পূর্ণ রূপ হলো- High Performance Liquid Chromatography.
১৭। GPC-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তরঃ GPC-এর পূর্ণ রূপ হলো- Gel Permission Chromatography.
১৮। রাজাম্ল কাকে বলে?
উত্তরঃ ১ মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড ও ৩ মোল গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রণকে রাজাম্ল বলে।
১৯। স্প্যাচুলা কী?
উত্তরঃ স্প্যাচুলা হলো লম্বা হাতলযুক্ত মরিচারোধক ইস্পাতের ছোট একটি চামচ।
২০। বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল বস্তু সক্রিয় এবং বিষাক্ত এবং যা মানুষের শরীরে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদেরকে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ বলে।
২১। OSHA-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তরঃ OSHA-এর পূর্ণ রূপ হলে Occupational Safety and Health Administration.
২২। ম্যাক্রো অ্যানালাইসিস কী?
উত্তরঃ ম্যাক্রো অ্যানালাইসিস হলো রাসায়নিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি যেখানে বস্তুসমূহের পরিমাণ প্রায় 0.5g থেকে 2g কঠিন পদার্থ বা 20-30mL তরল দ্রবণ।
২৩। স্পিল নিউট্রোলাইজার কী?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত ডেস্ক বা মেঝেতে রাসায়নিক পদার্থ পড়লে উক্ত রাসায়নিক পদার্থকে প্রশমিত করার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রই হলে স্পিল নিউট্রালাইজার।
২৪। রাফ ব্যালেন্স কাকে বলে?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে মাত্রিক বিশ্লেষণের গণনায় অন্তর্ভুক্ত হয় না এরূপ ওজন গ্রহণ করার জন্য এক ধরনের ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়, তাকে রাফ ব্যালেন্স বলে।
২৫। MAPT-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তরঃ MAPT-এর পূর্ণ রূপ হলো- Micro-analysis Processes Time.
২৬। ওয়াটার বাথ কী?
উত্তরঃ ওয়াটার বাথ হলো কনিক্যাল ফ্ল্যাক্সে সুষমভাবে তাপ সরবরাহে 'ব্যবহৃত পানিসহ পাত্র বিশেষ।
২৭। ব্যুরেট কতটুকু দাগাঙ্কিত থাকে?
উত্তরঃ ব্যুরেট সাধারণত 0 mL থেকে 50 mL. পর্যন্ত দাগাঙ্গিত থাকে।
২৮। সিনথেটিক কাপড় পরিধান ল্যাবরেটরির নিয়ম বহির্ভূত কেন?
উত্তরঃ কারণ সিনথেটিক কাপড় দাহ্য পদার্থ।
২৯। কোন ধরনের চশমা ব্যবহার করে চোখ ও মুখকে রক্ষা করা যায়?
উত্তরঃ রাসায়নিক স্পাশ গগলস-এ।
৩০। কোন ধরনের গ্লাভস অণুজীব দ্বারা পঁচনযোগ্য?
উত্তরঃ নাইট্রোইল গ্লাভস।
৩১। কোন ধরনের গ্লাভস আগুনে দাহ্য?
উত্তরঃ সিনথেটিক গ্লাভস।
৩২। গ্লাস টিউব বাঁকানোয় কি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ বুনসেন, বার্নার।
১। টাইট্রেশনে কনিক্যাল ফ্লাস্কের ভূমিকা লিখ।
উত্তরঃ আয়তনিক বিশ্লেষণের টাইট্রেশন বিক্রিয়া কনিক্যাল ফ্রাঙ্কে ঘটানো হয়। টাইট্রেশনের পূর্বে প্রথমে কনিক্যাল ফ্লাস্কে পিপেটের সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের জন্য অথবা অজানা গনমাত্রার প্রবণ নিতে এতে প্রয়োজনমতো নিদের্শক যোগ করা হয়। এরপর কনিক্যাল ফ্লাস্কের গলায় ডান হাতে ধরে এটিকে খাড়া ব্যুরেটের তলায় নিয়ে ব্যুরেট থেকে অপর একটি বিক্রিয়ক দ্রবণ যোগ করে কনিক্যাল ফ্লাঙ্কের মিশ্রনকে চক্রাকারে ঘুরিয়ে টাইট্রেশন করা হয়।
২। NaOH এবং HF এর প্রশমন তাপের মান ধ্রুবকমানের চেয়ে বেশি কেন?
উত্তরঃ HF ও NaOH এর প্রশমন তাপের মান 57.34kJ থেকে বেশি হয়। কারণ HF ও NaOH উভয়ই তীব্র এসিড ও ক্ষারক হওয়ায় এর জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়ে পানি ও NaF লবণ উৎপন্ন করে। উৎপন্ন লবণ Nal পানিতে দ্রবীভূত হয়ে Na' ও আয়ন উৎপন্ন করে। ক্ষুদ্রাকার। আয়নের চার্জ ঘনত্ব অন্যান্য আয়নের তুলনায় বেশি হওয়ায় F আয়নের সাথে দ্রাবক পানি বেশি দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়। ফলে এই হাইড্রেশন প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি বেশি নির্গত হয়। এ কারণেই HF ও NaOH এর প্রশমন তাপের মান 57.34 kJ থেকে বেশি হয়। HP + NaOH NaF + H₂Ο;ΔΗ--68.6kJ
৩। গ্লাস সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়?
উত্তরঃ গ্লাস সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ অসুবিধাসমূহ পরিলক্ষিত হয়-
- ১. ভঙ্গুর অর্থাৎ কোনো কিছুর সাথে আঘাত লাগলে বা হাত থেকে শক্ত মেঝেতে পড়ে গেলে সহজেই ভেঙে যায়।
- ২. ভেঙে গেলে ছুরির মতো ধারালো টুকরায় পরিণত হয়।
- ৩. আপেক্ষিক তাপ এবং তাপ ধারণ ক্ষমতা খুব বেশি। ফলে, স্পর্শে হাঁত পুড়ে যাওয়ার মতো উত্তপ্ত হলেও বুঝা যায় না।
- ৪. HF এসিড এবং শক্তিশালী ক্ষারের দ্রবণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা বিক্রিয়া করে।
৪। মাত্রিক বিশ্লেষণে সাধারণত টপলোড ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয় না কেন?
উত্তরঃ মাত্রিক বিশ্লেষণে সাধারণত টপলোড ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয় না। কারণ-
- ১. ভর পরিমাপের সূক্ষ্মতা কম।
- ২. এক্ষেত্রেও উন্মুক্ত অবস্থায় ভর পরিমাপ করা হয় বিধায় বাতাস চলাচলের উপর ভর পরিমাপে ত্রুটি দেখা যায়। কাগজ অথবা ওয়াচ গ্লাসে বস্তুর ভর পমিরাপের পর স্থানান্তরের সময়
- ৩. ওয়াচ গ্লাসে বা কাগজে কিছু পরিমাণ বস্তু লেগে থেকে যায়। এতে ভর পরিমাপে ত্রুটি এসে যায়।
৫। ভর পরিমাপে স্প্যাচুলা ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ স্প্যাচুলা (Spatula) হলো লম্বা হাতলযুক্ত মরিচারোধক ইস্পাতের ছোট্ট একটি চামচ। সরাসরি ওজন বোতল থেকে বস্তু মেজারিং ফ্লাক্স বা কনিক্যাল ফ্লাক্সে স্থানান্তর করার সময় ফ্লাক্সের বাইরে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বস্তু স্থানান্তরের সময় এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য স্প্যাচুলা (Spatula) ব্যবহার করা হয় স্প্যাচুলার আকার ছোট এবং লম্বা হাতল থাকার ফলে এর সাহায্যে এক পাত্র থেকে অন্যপাত্রে বস্তু স্থানান্তর করা নিরাপদ ও সহজ হয়।
৬। কোন ক্ষেত্রে ব্যুরেট ব্যবহার করা হয় এবং কেন?
উত্তরঃ ব্যুরেট ব্যবহারের একমাত্র ক্ষেত্র হচ্ছে মাত্রিক আয়তনিক বিশ্লেষণ। আয়তনমিতিক বিশ্লেষণে ব্যুরেটের বিশেষত্ব হলো- এ যন্ত্রের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে একটি তরলকে অন্য একটি তরলে মিশ্রিত করা যায় এবং এর পাঠ থেকে 0.1 cm আয়তন পর্যন্ত পরিমাপ করা যায়।
৭। টেস্টটিউবে তাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়?
উত্তরঃ টেস্টটিউবে তাপ প্রয়োগের সময় নিম্নোক্ত সমস্যাগুরোর সম্বন্ধন হতে হয়-
- ১. টেস্টটিউবের তরল লাফিয়ে উঠে এবং টেস্টটিউব থেকে সজোরে বেরিয়ে আসে। এক্ষেত্রে টেস্টটিউবের গরম অংশের তরল বাষ্পীভূত হয়ে বড় বড় বুদবুদের সৃষ্টি করে যা জোর করে বেরিয়ে আসতে চায় এবং উপরের অংশকে ঠেলে টেস্টটিউব থেকে বের করে দেয়।
- ২. টেস্টটিউবে তাপ প্রয়োগ তীব্র হলে বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার হাস অধিক হয় ফলে অধিক সংখ্যক বড় বড় বুদবুদের সৃষ্টি হয় য ফেনার আকারে টেস্টটিউব থেকে উপচিয়ে পড়ে।
৮। বিকারে তাপ দেওয়ার কৌশল লিখ?
উত্তরঃ বিকারে তাপ প্রয়োগের কৌশল নিম্নরূপ-
- ১. পরিষ্কার একটি বিকার নিয়ে তাতে কোনো ফাটা দাগ আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
- ২. বিকারটি প্রয়োজনীয় তরল দ্বারা এমনভাবে ভরে নিতে হবে যেন এর উপরিভাগে কিছু স্থান ফাঁকা থাকে।
- ৩. এরপর ত্রিপদী স্ট্যান্ডর উপর তারজালি রেখে তার উপর বিকার রেখে যথারীতি বার্নারের সাহায্যে তাপ দিতে হবে।
৯। ল্যাবরেটরিতে গ্লাভস ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধর?
উত্তরঃ ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক ও ক্ষয়কারক রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করা হয়। তীব্র এসিড বা ক্ষারের ঘন দ্রবণ খুবই ক্ষয়কারক। তাছাড়া গবেষণার প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ যেমন- As, Ag, Pb প্রভৃতি পদার্থ নিয়ে কাজ করতে হয়। তখন কোনো না কোনোভাবে এ পদার্থগুলো ত্বকে লেগে যায়। সুতরাং এগুলো নিয়ে কাজ করার সময় অবশ্যই হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। Disposable হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করাই ভালো। যাদের এলার্জি আছে তাদের হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১০। ল্যাবরেটরিতে সিনথেটিক কাপড় ও অলংকার পরিধান করা যাবে না। কেন?
উত্তরঃ ল্যাবনেটরিতে ব্যবহৃত কাপড় বা অ্যাপ্রোনটি সিনথেটিক হওয়া চলবে না। কারণ ল্যাবরেটরিতে যদি কোনো বিষ্ফোরণ হয় বা বার্নার হতে আগুন লাগে, সিনথেটিক কাপড় খুব ভালো দাহ্য পদার্থ হিসেবে কাজ করতে পারে। অন্যদিকে, অলংকার পরিধান করলে তা শিক্ষার্থীর সতর্ক মনোভাব বিচ্ছিন্ন করতে পারে অথবা কোনো যন্ত্রাংশে পেঁচিয়ে বা আটকে গেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে।
১১। পোর্সেলিন বাটিতে কীভাবে তাপ দেওয়া হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বুনসেন বার্নারের উপরে ত্রিপদী স্ট্যান্ড এবং এর উপর তারজালিবে রেখে পোর্সেলিনের বাটিকে তারজালির উপর রাখা হয়। সাধারণত কঠিন নমুনার উত্তাপের ক্ষেত্রেই পোর্সেলিনের বাটিকে ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রপাতি সজ্জিত হওয়ার পর জারণ শিখার সাহয্যে উত্তপ্ত করে তাপীয় প্রক্রিয়াকে সুসম্পন্ন করা হয়। তাপ দেওয়া বন্ধ করে পোর্সেলিনের বাটিকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করে রুমাল বা কাপড় দ্বারা ধরে তারজালির উপর হতে নামিয়ে টেবিলের উপর রাখা হয় এবং ধীরে ধীরে ঠান্ডা করা হয়।
১২। পিপেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হয়?
উত্তরঃ পিপেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
- ১. কখনোই আয়তনিক পিপেটগুলোতে তরুণ মুখ দিয়ে টেনে তোলা যাবে না। এতে তরল মুখের ভেতর গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
- ২. পাতিত পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে পিপেট পুনরায় ব্যবহার করতে হবে।
- ৩. জেটের অগ্রভাগে তরল থাকলে তাতে ফুঁ দিয়ো অনুচিত। এতে গ্রিড মুখে প্রবেশ করতে পারে।