মানব-কল্যাণ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর

বিগত বোর্ড পরীক্ষাসমূহের প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের নমুনা উত্তর
মানব-কল্যাণ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
মানব-কল্যাণ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর 

০১। কোভিড-১৯ এর সময়ে 'পদ্মরাগ' নামক সামাজিক সংগঠনটি ছিন্নমুল মানুষদের এক বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল। প্রতিদিন শত শত মানুষকে খাবার দিয়েও প্রতিষ্ঠানটি তৃপ্ত হতে পারেনি। ইদানীং সংগঠনটির সদস্যদের নতুন উপলব্ধি হয়েছে যে, তাঁরা প্রতি মাসে একজন করে ছিন্নমূল মানুষকে আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত করে পরাবলম্বন থেকে মুক্তি দিবেন।

(গ) উদ্দীপকের পদ্মরাগ সংগঠনটির কোডিডকালীন কার্যক্রম আমাদের কোন গতানুগতিক রীতির প্রতিফলন? 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধ অনুসারে ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ (গ) উদ্দীপকের পদ্মরাগ সংগঠনটির কোভিডকালীন কার্যক্রম দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে মানবকল্যাণের রীতির প্রতিফলন।
উদ্দীপকে দেখা যায়, কোভিড-১৯ এর সময়ে 'পদ্মরাগ' নামক সামাজিক সংগঠনটি ছিন্নমূল মানুষদের একবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল। প্রতিদিন শত শত মানুষকে খাবার দিয়েও প্রতিষ্ঠানটি তৃপ্ত হতে পারেনি। কারণ মানুষের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধিই পায়।
এখানে তারা গতানুগতিক ভাবে শুধু মানুষের বর্তমান চাহিদার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছে। অপরদিকে, 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে বলা হয়েছে আমাদের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মানব-কল্যাণ মানেই আর্থিকভাবে সাহায্য করা অথবা দয়া-করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাত করা। কিন্তু মানব-কল্যাণের অর্থ আরো বিশদ। মানব-কল্যাণ মানে মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি এবং মানবিক চেতনার বিকাশ। 

কিন্তু আজকাল দুস্থ, অবহেলিত, বাস্তুহারা, স্বদেশ বিতাড়িত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সে সঙ্গে বেড়ে চলেছে রিলিফ, রিহেবিলিটেশন ইত্যাদি শব্দের ব্যাপক প্রয়োগ। রেডক্রস এর মতো ইত্যাদি সেবাধর্মী সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধিই প্রমাণ করছে মানব-কল্যাণ শব্দটি মানৰ অপমানে পরিণত হয়েছে। এখানে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা না ভেবে গতানুগতিক সাহায্যের কথা চিন্তা করা হয়। যা উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে।

(ঘ) পদ্মরাগ সংগঠনটির সদস্যদের নতুন উপলব্ধির মাঝে কি 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের মূলবক্তব্য নিহিত রয়েছে? তোমার যুক্তি দাও।


উত্তরঃ (ঘ) পদ্মরাগ সংগঠনটির সদস্যদের নতুন উপলব্ধির মাঝেই 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের মূল বক্তব্য নিহিত রয়েছে।
উদ্দীপকের 'পদ্মরাগ সংগঠনটি কোভিডের সময় ছিন্নমূল মানুষদের এক বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু প্রতিদিন শত শত মানুষকে খাবার দিয়েও প্রতিষ্ঠানটি তৃপ্ত হতে পারেনি। ইদানীং সংগঠনটির নতুন উপলব্ধি হয়েছে যে তারা প্রতি মাসে একজন করে ছিন্নমূল মানুষকে আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত করে পরাবলম্বন থেকে মুক্তি দিবেন।

মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে লেখক মানব-কল্যাণ বলতে মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াস বুঝিয়েছেন। মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি এবং মানবিক চেতনা বিকাশের মাধ্যমেই প্রকৃত মানব-কল্যাণ করা সম্ভব। মানুষকে মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে হবে আর এর যথাযথ ক্ষেত্র রচনাই মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান। 

সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানোই মানব-কল্যাণ।। আর্থিকভাবে সহায়তা না করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করাই যথার্থ মানব-কল্যাণ ও মহৎ চিন্তা, যা উদ্দীপকের 'পদ্মরাগ' সংগঠনটির নতুন উপলব্ধিতে প্রতীয়মান।

০২। মতি গাজী একজন লেখক। তিনি সর্বদা মানবতাকে উচ্চ মর্যাদায় স্থান দিতে চেষ্টা করেন। ভিক্ষাবৃত্তিকে তিনি চরম অপছন্দ করেন। কারণ, এতে মানবতার মূল্যায়ন হয় না। এক মুষ্টি ভিক্ষা সাময়িক দাক্ষিণ্য হলেও প্রকৃত মানব কল্যাণের চিন্তা সৃজন হয় না।

(গ) উদ্দীপকে মতি গাজীর চিন্তায় 'মানব কল্যাণ' প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রধান হয়ে উঠেছে? আলোচনা কর।


উত্তরঃ (গ) উদ্দীপকে মতি গাজীর চিন্তায় 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের যে দিকটি প্রধান হয়ে উঠেছে সেটি হল মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াস। উদ্দীপকের মতি গাজী সর্বদা মানবতাকে উচ্চ মর্যাদায় স্থান দিতে চেষ্টা করেন। ভিক্ষাবৃত্তিকে তিনি চরম অপছন্দ করেন। কারণ তিনি মনে করেন এতে মানবতার অবমূল্যায়ন হয়। 

এক মুষ্টি ভিক্ষা সাময়িক দাক্ষিণ্য হলেও প্রকৃত মানব কল্যাণের চিন্তা সৃজন হয়না। মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটিতেও মানব-কল্যাণ শব্দটির যথাযথ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। মানব-কল্যাণ শুধু দান-খয়রাতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। এতে মানুষকে অপমান করা হয়। মানব-কল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি এবং মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যেই নিহিত। 
তাদেরকে স্বাবলম্বনের পথ দেখাতে হবে, মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের রাস্তা দেখাতে হবে। তবেই প্রকৃত মানব-কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে। ভিক্ষা বৃত্তি কখনোই অন্যের উপকার করতে পারে না। যা উদ্দীপকেও মতি গাজীর চিন্তায় প্রতিফলিত হয়েছে।

(ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় 'মানব কল্যাণ' প্রবন্ধটির সমগ্র ভাবের ধারক নয়।" মন্তব্যটি যথার্থ।


উত্তরঃ (ঘ) উদ্দীপকের মতি গাজীর মতে ভিক্ষাবৃত্তিতে মানবতার মূল্যায়ন হয়না। তিনি সর্বদা মানবতাকে উচ্চ মর্যাদায় স্থান দিতে চেষ্টা করেন। অপরদিকে মানব-কল্যাণা প্রবন্ধে মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াসের পাশাপাশি আরো নানা বিষয় আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন মানব-কল্যাণে রাষ্ট্রের ভূমিকা। রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন ও যৌথ চেতনার প্রতীক। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন চালানো নয় জাতিকে আত্মমর্যাদাবান করে তোলাও রাষ্ট্রের বৃহত্তর দায়িত্ব।

প্রকৃত মানব-কল্যাণে মুক্তবুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মুক্তবুদ্ধি মানে সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামিমুক্ত উদার মানসিকতা। মানুষের যথার্থ কল্যাণ করতে হলে এই সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামি দূর করতে হবে। মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় সুপরিকল্পিত পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব। সমস্যা যত বড়ো কিংবা ব্যাপক হোক না কেন সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে যা হবে বৈজ্ঞানিক, র‍্যাশনাল ও সুবুদ্ধি নিয়ন্ত্রিত। এই বিষয়গুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটির সমগ্র ভাবের ধারক নয়।
মানব-কল্যাণ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
০৩। জাকির ও জীবন দুই ভাই। লেখাপড়ায় ভালো, সমাজের উন্নয়নমূলক কাজেও তারা অংশগ্রহণ করে। তাদের পাশের গ্রামে পাহাড় ধসে অনেক বাড়ি-ঘর পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে। সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়ে। দুই ভাই সেখানে ছুটে যায় কিন্তু জাকির উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করলেও জীবন দাঁড়িয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং কিছু আর্থিক সাহায্য করে। পাশাপাশি জাকির উদ্ধার কাজ শেষে তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের চেষ্টা করে।

(গ) 'জীবন' চরিত্রের মধ্যে 'মানব কল্যাণের' কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ (গ) 'জীবন' চরিত্রের মধ্যে 'মানব-কল্যাণের' যে দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ সেটি হল গতানুগতিক ধারায় মানব-কল্যাণ করা।
উদ্দীপকের জাকির ও জীবন দুই ভাই লেখাপড়ার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করে। তাদের পাশের গ্রামে পাহাড় ধসে অনেক বাড়ি-ঘর পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে। জাকির এখানে উদ্ধার কাজে অংশ নিলেও জীবন দাঁড়িয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং কিছু আর্থিক সহায়তা করে। যা যথার্থ অর্থে মানব-কল্যাণ নয়।

'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে বলা হয়েছে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মানব-কল্যাণ কথাটি অত্যন্ত মাদুলি এবং সস্তা অর্থে ব্যবহৃত হয়। আমরা ভাবি, একমুষ্টি ভিক্ষা দেয়াই হয়তো মানব-কল্যাণ। এতে মনুষ্যত্ববোধ আর মানব-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা হয়। দিন দিন অবহেলিত বাস্তুহারা, স্বদেশ বিতাড়িত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। 
সেই সাথে রিলিফ, রিহেবিলিটেশন ইত্যাদি শব্দের ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে। এভাবে কখনোই একজন মানুষের অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়। এতে তার সাময়িক চাহিদা মেটানো গেলেও ভবিষ্যৎ অবস্থার এজযে ফৎসোহ এফলন মানুষেয় অবস্থায় তমাত যঠানো সন্তষ সয়। এতে তার সামায়ফ চ্যাহলা মেটানো গেলেও ভাবষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তন করা যায় না। এ ধরনের মনোভাব উদ্দীপকের জীবন চরিত্রে দেখা যায়।

(ঘ) 'জীবন নয়, জাকির চরিত্রের মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণের আদর্শ ফুটে উঠেছে"-'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির মূল্যায়ন কর।


উত্তরঃ (ঘ) 'জীবন নয়, জাকির চরিত্রের মধ্য দিয়ে মানব কল্যাণের আদর্শ ফুটে উঠেছে"- মন্তব্যটি যথার্থ। উদ্দীপকে জাকির ও জীবন তাদের পাশের গ্রামে পাহাড় ধসের ফলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করে। জাকির সরাসরি উদ্ধার কাজে অংশ নিলেও জীবন দাঁড়িয়ে থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং কিছু আর্থিক সাহায্য করে। 

পাশাপাশি জাকির উদ্ধার কাজ শেষে তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক মানব-কল্যাণকে কেবল দান-খয়রাতে সীমাবদ্ধ রাখেননি। প্রকৃতপক্ষে দান-খয়রাত কখনো মানব- কল্যাণ হতে পারেনা। এটি মনুষ্যত্বের অবমাননা করে। এই দান গ্রহণ করে মানুষ নিজেকে ছোটো মনে করে। তাই মানব-কল্যাণ করতে হলে মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াস চালাতে হবে। 

তার আত্মসম্মান তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে যেন সে পরাবলম্বন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে। মানুষের মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে তার জৈব অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে লাভ নেই। উদ্দীপকে জাকির অসহায় মানুষদের পুনর্বাসন করে তাদের হারিয়ে যাওয়া আত্ম-অবলম্বন ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যেন তাদের কারো কাছে হাত পাততে না হয়। নিজের আর্থিক অবস্থার উন্নতি নিজেই তারা করতে পারবে। যা জীবন করেনি। তাই বলা যায় যে, জীবন নয়, জাকির চরিত্রের মধ্য দিয়ে মানব-কল্যাণের আদর্শ ফুটে উঠেছে।

০৪। এ বছরের কালবৈশাখি ঝড়ে বশিরের হালের গরু মারা যায় এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। সবকিছু থাকার পরেও তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। অন্য কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে, সে এলাকার চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যায়। চেয়ারম্যান সাহেব সবকিছু শুনে একজোড়া হালের বলদ কিনে দেয় এবং আবার নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে বলে। চেয়ারম্যান সাহেবের কথা মতো কঠোর পরিশ্রম করে মাত্র কয়েক মাসেই তার ঘরে নতুন ফসল আসে।

(গ) উদ্দীপকটি 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়?-আলোচনা কর।


উত্তর (গ) উদ্দীপকটি 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে ইসলামের নবির এক দুঃখীকে কুড়াল কিনে দেয়ার ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে এমন একটি ঘটনা বর্ণিত আছে যে, একদিন এক ব্যক্তি ইসলামের নবির কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল। কিন্তু নবি তাকে ভিক্ষা না দিয়ে একটি কুড়াল কিনে দিয়েছিলেন। কুড়াল দিয়ে নবিজি বলেন, তুমি এটি দিয়ে বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা রোজগার করো। এভাবে তিনি লোকটিকে শুধু স্বাবলম্বনের পথ দেখাননি, সে সঙ্গে দেখিয়ে দিয়েছিলেন মর্যাদাবান হওয়ার, মর্যাদার সাথে জীবনযাপনের পথ। 

উদ্দীপকের বশিরও যখন কালবৈশাখি ঝড়ে সব হারিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যায় তখন চেয়ারম্যান সাহেব তাকে একজোড়া হালের গরু কিনে দেন এবং আবার নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে বলেন। চেয়ারম্যান সাহেবের কথামতো কঠোর পরিশ্রম করে মাত্র কয়েক মাসেই সে স্বাবলম্বী হয়ে যায়। এ থেকে বলা যায় উদ্দীপকের ঘটনাটি 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের ইসলামের নবির এক ভিখারিকে কুড়াল কিনে দেয়ার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।

(ঘ) "পরিশ্রমই মর্যাদাপূর্ণ জীবনের পূর্বশর্ত।"-উদ্দীপক ও 'মানব কল্যাণ' প্রবন্ধের আলোকে এ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।


উত্তরঃ (ঘ) "পরিশ্রমই মর্যাদাপূর্ণ জীবনের পূর্বশর্ত"-মন্তব্যটি যথার্থ। 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলতে চেয়েছেন মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস। এ কল্যাণের লক্ষ্য সকা অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো। এক্ষেত্রে সাহায্যকারীকে এমনভাবে সাহায্য করা উচিত যেন সাহায্য গ্রহণকারী ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারে নিজের পরিশ্রমের দ্বারা। 

তাকে যেন দ্বিতীয়বার অন্য কারো কাছে হাত না পাততে হয়। আর এর মাধ্যমেই তার মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, লেখকের মতে প্রত্যেককেই নিজ নিজ স্থান থেকে পরিশ্রমী হতে হবে। চাটুকারিতা পরিহার করে আত্মমর্যাদাবান হতে হবে। এটি যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও। আর এর মাধ্যমেই একটি মর্যাদাপূর্ণ সামাজিক পরিবেশ তৈরি হবে। 
উদ্দীপকের বশিরের ক্ষেত্রে আমরা এই বিষয়টিই দেখতে পাই। সব কিছু হারিয়েও সে চেয়ারম্যানের দেয়া হালের বলদ নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে সে কয়েক মাসেই ঘরে নতুন ফসল তোলে। এখন সে সমাজে মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারছে। অর্থাৎ তার পরিশ্রমই তাকে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়তা করেছে।
অতএব, পরিশ্রমই মর্যাদাপূর্ণ জীবনের পূর্বশর্ত।

০৫। ভেলরি টেইলর, বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধুর নাম। ৭২ বছর বয়সি এই মহান ব্যক্তি কর্মজীবনে লাভ করেছেন নানা স্বীকৃতিসহ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। স্বেচ্ছাসেবা এবং সম্পূর্ণ আপন প্রচেষ্টায় সিআরপি প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুস্থ, নিঃসহায় মানুষের জন্য বিশ্বে এক বিরল দষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে পঙ্গতের শিকার হাজার হাজার মানষকে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরিয়ে আনতে তার গড়া সিআরপি নজিরবিহীন ভূমিকা পালন করছে।

(গ) উদ্দীপকের সাথে 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক তুলে ধর।


উত্তরঃ (গ) উদ্দীপকের সাথে 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হল মানুষের সার্বিক মঙ্গল সাধনের। 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের লেখক 'মানব-কল্যাণ' বলতে মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াস বুঝিয়েছেন। যেখানে অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে তাকে আত্মমর্যাদাবান করা হবে। অসহায়, দুঃস্থ মানুষকে রিলিফ, রিহেবিলিটেশন ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে ছোটো করা হবে না। 

তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন দিন দিন এই শব্দগুলোর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। রেডক্রসের মত সেবাধর্মী সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি তার কাছে স্রেফ মানবের অপমান। তার মতে, মানব কল্যাণের লক্ষ্য হওয়া উচিত সকল অবমাননা কিংবা অসহায় অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো।

উদ্দীপকের ভেলরি টেইলর এর কার্যক্রমে আমরা সেই বিষয়টিই লক্ষ করি। তিনি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বেচ্ছাসেবা এবং সম্পূর্ণ আপন প্রচেষ্টায় সিআরপি প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুঃস্থ ও নিঃসহায় মানুষের জন্য বিশ্বে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি পঙ্গুত্বের শিকার হাজার হাজার মানুষকে স্বাভাবিক কার্মজীবনে ফিরিয়ে এনেছেন। 

তিনি চাইলেই অর্থ সংগ্রহ করে তাদের দান খয়রাত করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি তাদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার রাস্তা দেখিয়ে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। এ থেকে বোঝা যায় উদ্দীপকের সাথে 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হল মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াস।

(ঘ) উদ্দীপকের ভেলরি টেইলরের কর্মকাণ্ড এবং 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা যেন একইসূত্রে গাঁথা।"-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।


উত্তরঃ (ঘ) উদ্দীপকের ভেলরি টেইলরের কর্মকাণ্ড ও মানব কল্যান প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা যেন একই সূত্রে গাঁথা মন্তব্যটি যথার্থ। মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের লেখক বলেছেন মানব কল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যেই নিহিত। দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাত কখনোই 'মানব-কল্যান' হতে পারেনা। 

লেখক প্রত্যাশা করেছেন কোনো ব্যক্তি যদি প্রকৃতপক্ষে 'মানব-কল্যাণ' করতে চায় সে যেন সেই অসহায় ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখায়। এতে সেই ব্যক্তি আত্মনির্ভরশীল হবেন এবং আত্মমর্যাদাবান হবেন। মানব-কল্যাণ এর লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় উত্তরণ ঘটানো। লেখকের বিশ্বাস মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় পরিকল্পনা মাফিক পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব।

উদ্দীপকের ভেলরি টেইলরের ক্ষেত্রে আমরা এ সকল বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই। ভেলরি টেইলর স্বেচ্ছাসেবা এবং সম্পূর্ণ আপন প্রচেষ্টায় সিআরপি প্রতিষ্ঠা করে দুঃস্থ, নিঃসহায় মানুষের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি পঙ্গুত্বের শিকার হাজার হাজার মানুষকে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরিয়ে এনেছেন। ভেলরি টেইলর এসব পঙ্গু মানুষগুলোকে দান খয়রাত না করে আত্মমর্যাদাবান হওয়ার পথ দেখিয়েছেন। যেমন প্রত্যাশা 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধের লেখক করেছিলেন।
সুতরাং, এরূপ উদ্যোগের কারণে বলা যায় যে, "উদ্দীপকের ভেলরি টেইলরের কর্মকাণ্ড এবং মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা একই সূত্রে গাঁথা।"-মন্তব্যটি যথার্থ।
মানব-কল্যাণ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
CQ জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নমুনা উত্তর

০১। 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটি কত সালে রচিত?

উত্তরঃ মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটি ১৯৭২ সালে রচিত।

০২। "ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ।" কথাটি কে বলেছেন?

উত্তরঃ 'ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ'- কথাটি বলেছেন ইসলামের নবি।

০৩ । আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানব-কল্যাণ কথাটা অনেক খানি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানবকল্যাণ কথাটা অনেক খানি সস্তা আর মামুলি অর্থে ব্যবহৃত হয়।

০৪। র‍্যাশনাল শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ র‍্যাশনাল শব্দের অর্থ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন বা বিচক্ষণ।

০৫। "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?”-উক্তিটি কার?

উত্তরঃ উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর।

০৬। জাতিকে কী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে?

উত্তরঃ জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে।

০৭। মানব কল্যাণের প্রাথমিক সোপান কী?

উত্তরঃ মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং মানবিক-বৃত্তি বিকাশের পথে বেড়ে ওঠার যথাযথ ক্ষেত্র রচনাই মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান।

০৮। সত্যিকার মানব-কল্যাণ কীসের ফসল?

উত্তরঃ সত্যিকারের মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা ভাবনার ফসল।

CO অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নমুনা উত্তর

০১। 'সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল।'-এ বাক্যের মর্মার্থ লেখ।

উত্তরঃ সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল।' বলতে বোঝানো হয়েছে মহৎ চিন্তার বাস্তবায়নই প্রকৃত মানব কল্যাণ।
মানব-কল্যাণ বলতে আমরা মানুষের সার্বিক কল্যাণের প্রয়াসকে বুঝি। এই কল্যাণ করতে গিয়ে কোনোভাবেই যেন মানব-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করা না হয় সে বিষয়টির দিকে লক্ষ রাখা জরুরি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে যারা অন্যের কল্যাণ করতে চান তারাই প্রকৃত মানুষ। এদেশের মহৎ প্রতিভাবানরা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।

০২। লেখকের মতে 'মানব-কল্যাণ' বলতে কী বোঝায়? বর্ণনা কর।

উত্তরঃ লেখকের মতে 'মানব-কল্যাণ' বলতে মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস বোঝানো হয়েছে।
মানব-কল্যাণের লক্ষ্য হওয়া উচিত মহৎ। সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানোকে মানব- কল্যাণ বলা হয়। এটি মানুষের আত্মমর্যাদাকে বৃদ্ধি করে সেই সাথে মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং পরাবলম্বন থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়।

০৩। "রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক"-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ "রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক" বলতে বোঝানো হয়েছে রাষ্ট্রের সাথে জাতীয় জীবন ও চেতনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
একটি রাষ্ট্রের অবস্থান প্রতিফলিত হয় তার জাতি ও তাদের চেতনার মাধ্যমে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন চালানোই না, জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র হাতপাতা আর চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দিলে সে রাষ্ট্র কিছুতেই আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি বা নাগরিক সৃষ্টি করতে পারবে না। তাই মানব-কল্যাণের যথার্থ পরিবেশ রাষ্ট্রেরই তৈরি করতে হবে।

০৪। 'মানব কল্যাণ' কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে?

উত্তরঃ মানব-কল্যাণ মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা হলে। কোনো মানুষকে দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান খয়রাত না করে তাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দেয়া উচিত। এতে তার মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি পাবে, মানবিক চেতনার বিকাশ হবে। পাশাপাশি মুক্ত বিচারবুদ্ধির সাহায্যে বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মে নিয়োগ করা গেলেই মানব-কল্যাণ মানব মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে।

০৫। 'সর্বজীবের হিত'-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ সর্বজীবে হিত' বলতে সৃষ্টি জগতের সকল জীবের উপকারের কথা বলা হয়েছে।
কেবল সদিচ্ছার দ্বারাই মানব-কল্যাণ সাধন সম্ভব নয়। সকল অবমাননাকর পরিস্থিতি থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় উত্তরণ ঘটানো হলে
তবেই মানব-কল্যাণ সংঘটিত হয়। তাই সব ধর্ম আর ধর্ম প্রবর্তকেরা বার বার মানুষের ভালো ও কল্যাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু শুধু মানুষের কল্যাণে থেমে গেলেই চলবেনা। বরং এর সাথে সাথে অন্য সকল সৃষ্টিকুলেরও উপকার করতে হবে। তবেই সার্বিক কল্যাণ সাধিত হবে।

০৬। মানব-কল্যাণ কথাটা আমরা সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলেছি কীভাবে? বুঝিয়ে লেখ।

উত্তরঃ দান খয়রাত ও মানব কল্যাণকে এক মনে করে আমরা মানব-কল্যাণ কথাটাকে সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলেছি। মানব-কল্যাণ বলতে আমরা অনেকেই দান-খয়রাত বা কাঙালি ভোজনের মতো কাজ-কর্মকে বুঝে থাকি। যারা এ সকল কাজ করে, তাদের আমরা বাহবা দেই। কিন্তু এটি প্রকৃত মানব-কল্যাণ নয়। মানব-কল্যাণ মানুষকে অবমাননাকর পরিস্থিতি থেকে মর্যাদার দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমরা এর প্রকৃত অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে একমুষ্টি ভিক্ষা দেওয়াকেও মানব-কল্যাণ মনে করছি। আর এভাবে মানব-কল্যাণ কথাটাকে আমরা সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলছি।

০৭। "ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ।"- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ "ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ" উক্তিটি ইসলামের নবির।
এখানে ওপরের হাত মানে দাতা যে হাত তুলে ওপর থেকে অনুগ্রহ বর্ষণ করে। আর নিচের হাত মানে গ্রহীতা যে হাত পেতে গ্রহণ করে। মনুষ্যত্ব আর মানব-মর্যাদার দিক থেকে অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাত, সে বিষয়টিই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা প্রকাশ পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন