আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর

'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার অনুধাবনমূলক
CQ প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের নমুনা উত্তর

০১। সুখ-সমৃদ্ধিতে ঐশ্বর্যময় এবং প্রাণৈশ্বর্যে ভরপুর এই সুন্দর দেশটি বর্গীর আক্রমণ থেকে শুরু করে বার বার শত্রুর লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়েছে এ দেশের সহজ-সরল মানুষের জনজীবন, অর্থনৈতিক বুনিয়াদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। কিন্তু কোনো শত্রুর কাছে পরাভব মানেনি এ দেশের গণমানুষ। তাই তো যুগে যুগে আমরা দেখি নুরলদীন-তিতুমীর-হাজী শরিয়তউল্লাহ- সূর্যসেন-প্রীতিলতা-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিস্ময়কর শক্তি-সাহস এবং শৌর্যবীর্য। হাজার বছর ধরে এ দেশের মানুষের রয়েছে রক্তে রঞ্জিত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

(গ) উদ্দীপকের ব্যক্তিদেরকে কীভাবে কাঙ্ক্ষিত মানবমুক্তির দূত বলা যায়? 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার বক্তব্যের সাথে সাদৃশ্য দেখাও।


উত্তরঃ (গ) উদ্দীপকের ব্যক্তিদেরকে কাঙ্ক্ষিত মানব- মুক্তির দূত বলা যায় কারণ তারা মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে জানেন। উদ্দীপকে বলা হয়েছে প্রাণপ্রিয় আমাদের এ দেশটিতে বরাবরই শত্রুর লোলুপ দৃষ্টি থাকে। যা বিপর্যস্ত করে এ দেশের মানুষের জনজীবন ও অর্থনৈতিক বুনিয়াদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। 

কিন্তু তাই বলে মাথা নত করেনি কোনো অন্যায়ের কাছে। এদেশের মানুষ তাই তো যুগে যুগে আমরা দেখি নুরুলদীন তিতুমীর হাজী শরিয়তউল্লাহ-সূর্য সেন-প্রীতিলতা-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর জনজীবন ও অর্থনৈতিক বুনিয়াদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। কিন্তু তাই বলে মাথা নত করেনি কোনো অন্যায়ের কাছে। 

এদেশের মানুষ তাই তো যুগে যুগে আমরা দেখি নুরুলদীন- তিতুমীর হাজী শরিয়তউল্লাহ-সূর্য সেন-প্রীতিলতা-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিস্ময়কর শক্তি-সাহস এবং শৌর্যবীর্য। হাজার হাজার বছর ধরে এ দেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।

'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় উচ্চারিত হয়েছে ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা। এই কবিতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাসকে আশ্রয় করে। এই জাতির সংগ্রাম, বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসনের অনিন্দ্য অনুষঙ্গসমূহ। লড়াই করে টিকে থাকতে জানে বাংলার মানুষ। 
মুক্তির পূর্বশর্ত যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধ করতে হলে পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে হয়। ভালোবাসার জন্য, তাদেরকে মুক্ত করবার জন্য তাদের ছেড়ে যেতে হয়। যা কেবল সংগ্রামী ব্যক্তিরাই করতে পারেন। দেশমাতৃক এমন সংগ্রামী ব্যক্তিদের প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষা করে। এই ব্যক্তিদেরই উদাহরণ আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই যারা তাঁদের রক্ত দিয়ে আমাদের মুক্ত করেছেন।

(ঘ) “উদ্দীপকের এ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিক্রমা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার চৈতন্যগত দিকের সঙ্গে অভিন্ন।" মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার অনুধাবনমূলক
উত্তরঃ (ঘ) উদ্দীপকের এ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিক্রমা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার চৈতন্যগত দিকের সঙ্গে অভিন্ন- মন্তব্যটি যথার্থ। উদ্দীপকে বলা হয়েছে আমাদের এই সুন্দর দেশটি সর্বদাই সুখ-সমৃদ্ধিতে ঐশ্বর্যময় এবং প্রাণেশ্বর্যে ভরপুর। কিন্তু বারবার বর্গীর আক্রমণ থেকে শুরু করে শত্রুর লোলুপ দৃষ্টি এদেশে পড়েছে। 

তাদের এ দৃষ্টি বিপর্যস্ত করেছে এদেশের মানুষের সহজ-সরল স্বাভাবিক জীবন, অর্থনৈতিক বুনিয়াদ এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। কিন্তু বাঙালি কোনো শত্রুর কাছেই মাথা নত করেনি। প্রতিবার কোনো না কোনো সঠিক নেতৃত্ব এসে বাঙালিকে পথ দেখিয়েছে। উৎসর্গ করেছে নিজেদের জীবন। 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার মূল চেতনাই হল ঐতিহ্যসচেতন শিকড় সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা। 

রচনাটির প্রেক্ষাপটে আছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস। বাঙালির ওপর ক্ষণে ক্ষণে নানাভাবে নানা আক্রমণ হয়েছিল। তাই পৌনঃপুনিকভাবে তারা মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সোচ্চার হয়েছিলেন। কবি এই কবিতায় তাঁর পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা উপস্থাপন করেছেন। বাঙালিকে মুক্তি দিতে তারা যুদ্ধ করেছেন। 
সেই যুদ্ধের জন্য তাদের পরিবার থেকে দূরে যেতে হয়েছিল, যাদের তারা ভালোবাসতেন তাদেরকে মুক্ত করার জন্যই তাদের এই ত্যাগ। এই সত্য কবি জেনেছিলেন ইতিহাস থেকেই। তাই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিজের মধ্যে ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। এই একই চেতনাবোধ উদ্দীপকেও প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায় যে, আলোচ্য উক্তিটি যথার্থ।

০২। বিভিন্ন মুখের কোটি অশ্বারোহী এসে
খুরে খুরে ক্ষতময় করে গেছে সহনীয়া মাটি,
লালসার লালামাখা ক্রোধে বন্দুক কামান কত
অসুর গর্জনে চিরেছে আকাশ পরিপাটি,
বিদীর্ণ বুক নীলবর্ণ হয়ে গেছ তুমি, বাংলাভূমি।

(গ) উদ্দীপকে 'বাংলাভূমি'-এর সাথে 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার চেতনাগত সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।


উত্তরঃ (গ) 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় উল্লিখিত বিদেশি শক্তি কর্তৃক আমাদের পূর্ব পুরুষদের ওপর চালানো অত্যাচার ও নির্যাতনের দিকটির সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত 'বাংলাভূমি'র চেতনাগত সাদৃশ্য বিদ্যমান। উদ্দীপকে আমরা দেখি বহিঃশত্রুর ঘোড়ার খুরের আঘাতে বার বার বাংলাভূমির মাটি ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। 

তাদের লালসার শিকার হয়ে কামানের গোলার আঘাতে আকাশ হয়েছে বিদীর্ণ। তাদের আক্রমণে বাংলার বুক নীল হয়ে গেছে। 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতাতেও আমরা মানুষের ওপর বিদেশি শক্তির অত্যাচারের চিত্র দেখতে পাই। তাদের আক্রমণে এদেশ ও দেশের মানুষকে ক্ষত বিক্ষত হতে দেখি। 

আমরা দেখি ভিনদেশিদের অত্যাচারের কারণে কীভাবে গর্ভবতী বোনের মৃত্যু হয়, মায়েরা হয় ছেলেহারা, মানুষকে ক্রীতদাস হয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের স্বরূপ আমাদের পূর্বপুরুষদের পিঠে রক্ত জবার মতো ফুটে ওঠে। তাই বলা যায়, যুগ যুগ ধরে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের যে ঐতিহাসিক চেতনা আলোচ্য কবিতায় বর্ণিত হয়েছে, উদ্দীপকের 'বাংলাভূমি'র সাথে সেই বিষয়টিরই সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

(ঘ) 'লালসার লালা মাখা ক্রোধে' কীভাবে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়? উদ্দীপক ও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার প্রেক্ষাপটে আলোচনা কর।


উত্তরঃ (ঘ) প্রশ্নে উল্লিখিত 'লালসার লালামাখা ক্রোধ' কথাটি বিদেশি শক্তির লোভের শিকার হয়ে বাংলার বুক বার বার ক্ষত বিক্ষত হবার দিকটিকে ইঙ্গিত করে যা বাঙালির হাজার বছরের শোষিত হবার ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কবি যুগ যুগ ধরে বাঙালিদের ওপর চলে আসা নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। মুক্তির আশায় এদেশের মানুষের আত্মত্যাগের কথা বলেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে বহিঃশত্রুর দ্বারা শোষিত হয়েছে। তাদের অত্যাচারে কীভাবে আমাদের পূর্বপুরুষদের পিঠে রক্ত জবার মতো ক্ষত তৈরি হয়েছে। 
তাদের আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে কীভাবে মায়েরা তাদের ছেলেকে হারিয়েছে। গর্ভবতী বোন মৃত্যুবরণ করেছে। অত্যাচারের এ ইতিহাস বর্ণনা করার পর কবি মানব মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন। পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা, বাংলার ভূমিজীবী অনার্য ক্রীতদাসের লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাসের কথা বর্ণনা করার মাধ্যমে কবি বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসনের আশা ব্যক্ত করেছেন। শিকড়-সন্ধানী মানুষের মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা দেবার পূর্বে তিনি গর্ব করে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসকে স্মরণ করেছেন।

উদ্দীপকেও আমরা এই ইতিহাসেরই দেখা পাই। যুগ যুগ ধরে স্বার্থান্বেষী কুচক্রী বিদেশি শক্তির দ্বারা বাংলাভূমি কীভাবে শোষিত হয়েছে তার এক অনন্য বর্ণনা আমরা উদ্দীপকে লক্ষ করি। আর এভাবেই উদ্দীপকে উল্লিখিত 'লালসার লালামাখা ক্রোধ' বিদেশিদের অত্যাচার ও তার বিরুদ্ধে বাঙালির সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের পরিচয় খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

CQ জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নমুনা উত্তর
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার অনুধাবনমূলক

০১। জননীর আশীর্বাদ কাকে ধন্য করবে?

উত্তরঃ যে গাভীর পরিচর্যা করবে জননীর আশীর্বাদ তাকে দীর্ঘায়ু করবে।

০২। প্রবহমান নদী কাকে ভাসিয়ে রাখে?

উত্তরঃ প্রবহমান নদী যে সাঁতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।

০৩। উনোনের আগুনে আলোকিত কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ কবিতায় উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথা বলা হয়েছে।

০৪। ভালোবাসা দিলে কে মরে যায়?

উত্তরঃ ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়।

০৫। 'কিংবদন্তি' শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ 'কিংবদন্তি' শব্দের অর্থ জনশ্রুতি।
CQ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নমুনা উত্তর

০১। "তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল" বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?


উত্তরঃ এখানে বাংলার মানুষের ওপর হাজার বছরের অত্যাচারের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলা শত শত বছর ধরে বিদেশি শাসনের অধীনে ছিল। এই পরাধীনতার কারণে আমাদের পূর্ব পুরুষদের সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। সেই অত্যাচারের আঘাত যে এখনও তাজা রয়েছে তা বোঝাতেই রক্তজবার প্রসঙ্গ ব্যবহৃত হয়েছে। 
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি কবিতার অনুধাবনমূলক


আঘাত রয়েছে পিঠে অর্থাৎ, শত্রুরা ভীরু কাপুরুষের মতো পিছন থেকে আক্রমণ করেছে কিংবা বন্দি ক্রীতদাসের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, মুক্ত মানুষের সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ের বীরোচিত সাহস দেখায় নি।

০২। "ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়"-বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?


উত্তরঃ উক্তিটি দ্বারা মূলত মা, পরিবারকে ছাপিয়ে দেশের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসাকেই বোঝানো হয়েছে। মুক্তি বা স্বাধীনতার জন্য কখনো কখনো আত্মোৎসর্গ অনিবার্য হয়ে ওঠে। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অনেক সময় আপন মা- কে ছেড়ে যেতে হয়। কিন্তু দেশপ্রেমিকের চেতনায় দেশই তখন মাতৃরূপে ফিরে আসে। জন্মদাত্রী মায়ের আবেদন তখন তুচ্ছ হয়ে যায়।

০৩। 'বিচলিত স্নেহ' কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ কবিতায় বিচলিত স্নেহ কথাটি দ্বারা আপনজনের উৎকণ্ঠার কথা বোঝানো হয়েছে। প্রিয়জনের যেকোনো বিপদে তার আপনজনেরা শঙ্কিত হন। কবিতাটিতেও মুক্তি প্রত্যাশী মানুষের আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় তাদের স্বজনদের উদ্বিগ্নতার কথা বলা হয়েছে। মুক্তিকামী মানুষের প্রতি কবির অপত্যস্নেহ ও উৎকণ্ঠা যেন আজও তাঁকে আবেগতাড়িত করে। 

ভালোবাসা আর শঙ্কা যেন একসাথে মিশে যায়। 'বিচলিত স্নেহ' কথাটি দ্বারা তাই মুক্তির আশায় সংগ্রামশীল মানুষের প্রতি তাদের আপনজনদের স্নেহ ও উৎকণ্ঠার এ মিশ্র অনুভূতিকেই প্রকাশ করা হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন