মার্কেটিং করার কৌশল - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং

মার্কেটিং করার কৌশল এবং নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
মার্কেটিং করার কৌশল - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং
এ আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় এবং অনলাইন মার্কেটিং কৌশল। এছাড়া আরো আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক এ সম্বন্ধে সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

অনলাইন মার্কেটিং কৌশল


অনলাইন মার্কেটিং কৌশল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে তার মধ্যে আপনার যেটা পছন্দ সে রকম করে অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন। ছোট ছোট করে ভাবুন বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন থাকে বেশিরভাগ খুচরা ব্যবসায়ীর। বড় দোকান চলে অধিক দক্ষভাবে। কর্মচারী থাকে কম। আইটেম থাকে বেশি। বেশি সংখ্যায় স্টক কেনা সম্ভব। এতে ক্রয়ে আসে দক্ষতা। 
কাস্টমারদের মাঝেও প্রভাব ফেলা যায়। তবে, মার্কেটিংয়ের অন্যান্য বিষয়ের মতো এখানেও স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার সাহস থাকতে হবে। এমন কিছু করতে হয় যা অন্যরা প্রত্যাশাও করেনি। দেশে অনেক অনলাইন মার্কেটিং এর ছোট ছোট জায়গা পাওয়া যায়। instagram এবং facebook এ অনেক পেজ খুলে আমরা অনলাইন মার্কেটিং করতে পারি। 

অনেক হাই স্ট্রিটে থাকে ছোট স্টোর ইউনিট। কিছু শহরে ছোট ইউনিটের আর্কেড আছে। অনেক শপিং মলে অতি ক্ষুদ্র জায়গা পাওয়া যায় ভাড়ায়। এগুলো সস্তায় নেওয়া যেতে পারে। ১৯৮০ সালের দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষায়িত খুচরা আউটলেট খোঁজা শুরু করে এসব ক্ষুদ্র স্থানে। এদের মধ্যে অন্যতম সফল ব্যবসা ছিল টাই র্যাক। 

প্রতিষ্ঠিত ১৯৮১ সালে। এদের টাই- এ বিশেষত্ব ছিল। টাই দেখতে ছোট, কিন্তু মূল্য অনেক। তাই টাই র‍্যাকের দোকান ক্ষুদ্র হলেও কালেকশন ছিল বিস্তর। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেও এত পাওয়া যায় না। রেলস্টেশনের মতো ভীড়ব্যস্ত পরিবেশে ভালোই ব্যবসা করতে সক্ষম হয়েছিল তারা। অন্যরা যা করে না, তা করাই মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির মূল।
  • বক্সের বাহিরে চিন্তা করুন। সম্ভাব্য সম্পদ খুঁজুন যা ব্যবহার করা হচ্ছে না ঠিকঠাক।
  • বিশেষায়ণ করুন। কেবল বিশাল বড় প্রতিষ্ঠানই সকল মানুষের সকল কিছু যোগান দিতে পারে।
  • বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিতে যাবেন না।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

মার্কেটিং করার কৌশল - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং
যোগাযোগ সহজ করুন সাম্প্রতিক সময়ে মার্কেটিংয়ের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হলো সহজ যোগাযোগ। মার্কেটাররা চেষ্টা করেন যেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিটা কথা সরল ভাবে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এটা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় অনেক রকম হয়ে থাকে।কাস্টমারদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার সস্তা এবং সহজ উপায় খুঁজছিল নাইন ওয়েস্ট শুজ। 
জুতা দেখাতে ওয়েবসাইটে নেওয়া খুব একটা সহজ কাজ না। জুতা তো এমন আকর্ষণীয় কোনো প্রোডাক্ট না। তাই জুতা খুঁজতে মানুষ ওয়েবসাইট ঘোরার পেছনে সময় দেবে, এটা প্রায় অসম্ভবই। নাইন ওয়েস্ট এক কাজ করল। জুতার সোলের মধ্যে ওয়েব অ্যাড্রেস বসিয়ে দিল। এতে নাইন ওয়েস্টের জুতা কেউ পরে কোথাও পাড়া দিলে সেখানে ওয়েব অ্যাড্রেস বসে যেত! ফলে মানুষ কৌতূহলী হয়ে ওয়েবসাইট ভিজিট করত। 

  • নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সফল হওয়া অনেক রকম উপায় থাকে এই উপায় গুলোর মধ্যে আমরা বেশ কিছু উপায় সম্বন্ধে জানবো।
  • সকল যোগাযোগের একই ভিজুয়াল স্ট্যান্ডার্ড থাকতে হবে।
  • কম বাজেট দিয়ে শুরু করুন। যা দরকার তা যোগ করুন।
  • কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন। ব্র্যান্ড ভ্যালু নির্মাণ করুন।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং


প্রোডাক্ট পরিমার্জন করুন নির্দিষ্ট গ্রুপের চাহিদা চিহ্নিত করা মার্কেটিংয়ে একটা সূত্র। প্রোডাক্টকে ব্যক্তিবিশেষে কাস্টমাইজড বা পরিমার্জন করা সম্ভব। তবে এতে খরচ বেশি হয়। রেডিমেড স্যুট থেকে অর্ডার দিয়ে বানানো স্যুটের দাম তো বেশি হবেই! কারণ, শ্রম দিতে হয় বেশি। কিছুক্ষেত্রে প্রোডাক্ট পরিমার্জন করা তুলনামূলক সহজও হয়। 

সেটাই হতে পারে প্রতিষ্ঠানের জন্য শক্তিশালী USPI.
এভাবে আমরা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং করতে পারি। আরো অনেক পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং করা যায়। পিসি বা ব্যক্তিগত কম্পিউটার বিপ্লব ঘটে যায় ৮০'র দশকে। অনেকেই বাসায় ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার কিনতে থাকে। কম্পিউটার বেশ জটিল যন্ত্র। কিন্তু তা মূলত তৈরি হয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে। ফলে কাস্টমাইজড করা সম্ভব। 
এ চিন্তা থেকে ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্র বের করল কীভাবে কাস্টমাইজড কম্পিউটার সরাসরি কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো যায়। কাস্টমাররা কী কী স্পেসিফিকেশন চায়, তা নির্দিষ্ট করতে পারবে। দরকার হলে প্রতিষ্ঠান থেকে পরামর্শও দেওয়া হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই মেশিন তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব। ছাত্রটির নাম ছিল মাইকেল ডেল। 

ডেল কম্পিউটার অনলাইন, টেলিফোন এবং মেইল অর্ডারের মাধ্যমে কেনার ব্যবস্থা করা হয়। আজ কম্পিউটারের তিনটি বৃহত্তম কোম্পানির মধ্যে অন্যতম হলো ডেল। ক্লায়েন্টের চাহিদা মোতাবেক ল্যাপটপ এবং পিসি তৈরির পথিকৃৎ। এভাবেও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং করা যায়।
  • কারিগরি সহায়তা এবং পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে মানুষ জানে তাদের কী দরকার। তবে প্রায়ই জানে না তারা কী চায়।
  • প্রোডাক্ট দ্রুত হাতে পাওয়া জরুরি।
  • কাস্টমাইজড প্রোডাক্টের জন্য মানুষ টাকা দেবে বেশি। তবে, খুব বেশি না।
  • নিশ্চিত করুন, খরচটা যেন উসুল হয়ে যায়।

মার্কেটিং করার কৌশল

মার্কেটিং করার কৌশল - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং
ব্যবসা বড় করতে চায় সকলেই। মার্কেট শেয়ার বাড়ানো, কাস্টমার বাড়ানো এবং বেশি লাভ করা সকল ব্যবসা পরিচালকেরই লক্ষ্য। মার্কেটিং করার কৌশল বিভিন্ন রকম হতে পারে তার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই মার্কেটিং করার কৌশল তাদের নিজেদের মতো করে করতে পারে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অবশ্য পুঁজি সীমিত থাকায় প্রবৃদ্ধি হয় না তেমন। 

ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ফুরিয়ে যায়, বেশিরভাগ ছোট প্রতিষ্ঠানকে প্রায়ই ঋণের ওপর চলতে হয়। ঋণের টাকা তো আবার ফেরত দিতে হবে। বড় প্রতিষ্ঠান তাও শেয়ার বিক্রি করতে পারে। সেখানে লাভ হলেই কেবল টাকা দিতে হয়। এই কঠিন গোলকধাঁধাঁ ভাঙার একটা উপায় আছে। তা হলো, বিজনেস ফরম্যাট ফ্র্যাঞ্চাইজ করা। 'হলিডে ইনস' চালু হয় আমেরিকাতে ৫০'র দশকে। 

বিজনেস ফরম্যাট ভালো ছিল। ব্যবসায়ী এবং পরিবার-এর জন্য মাঝারি ধরনের, সুন্দর, আরামদায়ক হোটেলের ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। সমস্যা হলো, নতুন করে হোটেল তৈরি করা ছিল ব্যয়বহুল। সময়ও লাগবে বেশি। আবার হলিডে ইনস পুরনো ভবনও কিনতে চাচ্ছিল না। উদ্দেশ্য, ব্র্যান্ডিং টিকিয়ে রাখা। 
সমস্যার সমাধান কী? বিজনেস ফরম্যাট ফ্র্যাঞ্চাইজ করা। তারা বিভিন্ন হোটেলকে সঠিক অবস্থান নির্বাচন, সঠিক হোটেল নির্মাণ, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, সঠিক সাজসজ্জা এবং প্রচারণার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও এতে লাভবান হয়। তারা একটি প্রতিষ্ঠিত ও দক্ষ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ফলে ব্যবসার ঝুঁকি কমে যায় নাটকীয়ভাবে। 

হলিডে ইনসের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড এবং সুনামও কাজে লাগানো যায়। ফ্র্যাঞ্চাইজিং-এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয় খুবই দ্রুতগতিতে। এসব সুবিধা বাবদ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ফি এবং রয়ালটি দেয়। ফলে হলিডে ইনস প্রতিদিন দুনিয়ার যেকোনো স্থানে একটা করে হোটেল খুলতে সক্ষম। সন্দেহ নেই, হলিডে ইনস ফ্র্যাঞ্চাইজিং ছাড়া এত দ্রুত বড় হতে পারত না। আর ফ্র্যাঞ্চাইজিং মানে আইডিয়া এবং সম্পদ শেয়ার করা। মার্কেটিং করার কৌশল কেউ যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে তাহলে মার্কেটিং এর অনেক উপকার হতে পারে।
  • বিজনেস মডেল কার্যকর বলে প্রমাণিত হতে হবে।
  • প্রথম প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজারদের কাছে দাম রাখতে হবে কম।
  • কার্যপদ্ধতি খুবই পরিষ্কার থাকতে হবে। এতে যতটা সম্ভব সকল কিছু নিয়ে আলাপ করে নিতে হবে।
  • ধরে নিন প্রথম প্রথম আপনাকে প্রচুর সহায়তা করতে হবে। অবশ্য এটা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ।

মার্কেটিং এর বৈশিষ্ট্য পারদর্শী হোন

মার্কেটিং করার কৌশল - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ট্রেনিং
একটা সূত্র জেনে আমরা বড় হয়েছি-কাস্টমার সর্বদা সঠিক। অবশ্যই কাস্টমার সর্বদা সঠিক নন। কিন্তু কাস্টমার সবসময় কাস্টমারই। তারাই সিদ্ধান্ত নেন। আমাদের প্রোডাক্ট ভালো লাগবে নাকি লাগবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাস্টমারের চাহিদা মেনে নেওয়াই উত্তম। তবে কিছু ক্ষেত্রে আপনি যদি দক্ষ হন তবে আপনাকেই নিতে হবে চালকের আসন। 

ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, শিক্ষক-মানুষ এদের কাছে আসে কারণ তারা এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে বিশেষজ্ঞ বানানো মানে সম্মান বেড়ে যাওয়া। কাস্টমারের লয়ালটি তৈরি হবে আর আপনিও আপনার দাম বাড়িয়ে দিতে পারবেন। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত নারীদের হেয়ারড্রেসার বলতে কিছু কারিগরকে বোঝাত। কাস্টমার যা বলত, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই তারা তা-ই করত। 
পেশাটা ছিল সস্তা, সম্মানও ছিল কম। সেলুনগুলোর একমাত্র প্রতিযোগিতা ছিল দাম কমানো নিয়ে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড বাড়ানোর চিন্তা ছিল না। ৬০'র দশকের প্রথম দিকে লন্ডনের ইস্ট এন্ডের এক ইহুদী তরুণ হেয়ারড্রেসার সিদ্ধান্ত নিল, সব পরিবর্তন করে ফেলবে। চুল কাটার দারুণ এক পদ্ধতি আবিষ্কার করে সে, এতে চুল স্বাভাবিকভাবেই সঠিক আকারে চলে আসবে। 

লাগবে না কোনো জটিল-কঠিন উপায়-পদ্ধতি। কারিগরি সফলতা ছিল গল্পের প্রথম অংশ। তরুণ হেয়ারড্রেসার কাস্টমারদের জানাতে লাগল- হেয়ারকাট তো সেটাই, যেটা হেয়ারড্রেসার ভাবে। কাস্টমারের ভাবনা এখানে গৌণ। তরুণের নাম ছিল ভাইডাল স্যাসুন। তার পদ্ধতি হেয়ারড্রেসারদের কারিগর থেকে রাতারাতি আর্টিস্ট বানিয়ে ফেলল। 

স্যাসুন সফল হয়েছিল, বলাই বাহুল্য। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তার সেলুন আছে। বিভিন্ন ট্রেনিং স্কুলও রয়েছে। সেখানে অন্য সেলুনের লোকদের প্রশিক্ষণ দেয় সে। অদ্ভুতভাবে, এতে তার ব্যবসায় কোনো ক্ষতি হয় না। তার ছাত্ররা নিজের সেলুনে, গর্ব করে বলে তারা স্যাসুনের কাছে প্রশিক্ষিত। স্যাসুনের ব্র্যান্ড ইমেজই বাড়ে। 
  • পারদর্শী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন। 
  • ব্যবসার ভেতর-বাহির সব জেনে নিন।
  • দৃঢ় হন, তবে ভদ্রতাও রাখুন। 
  • আপনার ব্যবসা থেকে কেউ যেন অখুশি হয়ে চলে না যায়।
  • সর্বদা ব্যাখ্যা করুন, যা করছেন তা কেন করছেন।

আশা করি আপনাদের মার্কেটিং করার কৌশল সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন