মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্নে আর্টিকেলটি পড়ুন।
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ। এছাড়া আরও আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক এর সমন্ধে সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ফ্রিল্যান্সিংঃ একটি অতি অত্যাধুনিক গিগ-ক্যারিয়ার আগেই বলেছি। এ পর্যন্ত আমরা যা দেখলাম, তা সবই আমাদের এটা বুঝিয়ে দিল, সেটা হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে গিগ-ইকোনমির একটি সেক্টর। কাজেই এখানে আমরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো দেখবো, যেখানে আমরা ফ্রিল্যান্সিংকে একটি অতি অত্যাধুনিক গিগ-ক্যারিয়ার হিসেবে জানতে শিখবো এবং সেই মর্যাদায় বা মানে আনবো।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটিতে যোগ্য লোকদের চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে। যারা বিভিন্ন কাজ পারার সাথে সাথে ইংরেজিতে ভালো তারা প্রতি মাসে কয়েক লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারে ফ্রিল্যান্সিং করে। মাত্র কয়েক বছরের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে রীতিমতো কোটিপতি হয়ে গেছে এমন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও কম নয়। টাকার অংক শুনে বিষয়গুলো আপনার কাছে একটু বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ফ্রিল্যান্সিং এমন এক মুক্ত খনির নাম যেখানে যে একবার পৌঁছাতে পারে তার কাছে কোটি টাকা কয়েক হাজার টাকার মতো মনে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কি
মূলত, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের জন্য কাজ করে, কোনো কোম্পানির জন্য নয়। যদিও ফ্রিল্যান্সাররা কোম্পানি এবং সংস্থার জন্য চুক্তিভিত্তিক কাজ করে, তারা শেষ পর্যন্ত স্ব-নিযুক্ত হয়। ফ্রিল্যান্সাররা সব ধরনের জিনিসের জন্য দায়ী যা নরমাল কোম্পানির কর্মচারীরা করে না, যেমন: তাদের সময় নির্ধারণ করা, বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় করা সময় ট্র্যাক করা, ক্লায়েন্টদের বিল করা এবং তাদের নিজস্ব কর্মসংস্থান এবং বিক্রয় কর পরিশোধ করা। ফ্রিল্যান্সাররা যে কোম্পানির জন্য কাজ করে তাদের দ্বারা কর্মচারী হিসাবে বিবেচিত হয় না, তবে বলতে পারেন ঠিকাদার।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন এর পেছনে অনেকগুলো রিজোন থাকতে পারে। যেমন ধরুন কাজের স্বাধীনতা। আপনি যদি নিজের ইচ্ছেমতো কোনো কাজ করতে চান, নিজেই যদি নিজের কাজের বস হতে চান অথবা নিজের ইচ্ছেমতো কাজ বাছাই করতে চান ইত্যাদি। তা হলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার বেস্ট অপশন। আবার ধরুন আপনি অনেক টাকা-পয়সার মালিক হতে চান।
আর আমি আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে খুব কম সময়ে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। এখন আপনি যদি কম সময়ের ভিতরে হালাল উপায়ে অনেক টাকা-পয়সার মালিক হতে চান তা হলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য একটি ভালো পছন্দ হতে পারে। অথবা আপনার যদি কম্পিউটারে বসে কাজ করতে ভালো লেগে থাকে বা ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানুষের সাথে কাজ করার ইচ্ছে থাকে তা হলেও ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করলে আপনি আস্তে আস্তে বিশ্বের নানা দেশের নানা ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হবেন।
আরো পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে 2024
এখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা বলে দিচ্ছি যেনো আপনার সিদ্ধান্ত নিতে এবং বুঝতে সহজ হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভালো-মন্দঃ প্রতিটি কাজের সুবিধা এবং অসুবিধা আছে এবং ফ্রিল্যান্সাররাও এর ব্যতিক্রম নয়। চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন হওয়া নিশ্চিত করে যে আপনি এগুলো মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধাঃ আপনি যখন একজন ফ্রিল্যান্সার হন, তখন আপনি চালকের আসনে থাকেন। আপনি যে কাজগুলো নিতে চান, আপনি কোন ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করতে চান এবং আপনার বেতনের হার নির্ধারণ করেন। আপনার পেশাগত স্তরের উপর নির্ভর করে, খণ্ডকালীন কাজ করা সম্ভব কিন্তু কাজ শেষে একটি ফুল-টাইম বেতন পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং করার সাথে সাথে আপনি টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখবেন যেটি আপনার পার্সোনাল লাইফেও কাজে লাগবে। কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই আপনি কাজ থেকে ছুটি নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ফ্লেক্সিবল এবং ঘর থেকে কাজ করার সুবিধা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, একটি ফ্রিল্যান্স প্রকল্পে কাজ করা আপনার পছন্দের সময়ে আপনার হোম অফিস থেকেই করতে পারেন। আপনার অবশ্যই সময়সীমা থাকবে, তবে আপনি কখন এবং কোথায় কাজ করবেন তা আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন। সবাই আবার বাড়ি থেকে কাজ করা সহজ বলে মনে করেন না।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন টাইপিং জব ডেইলি পেমেন্ট
সোফায় শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার লোভটি সবাই সহজে সামলাতে পারে না। ফ্রিল্যান্সের অসুবিধা চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণের সাথে অতিরিক্ত দায়িত্ব আসে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে, আপনি একজন ব্যবসার মালিক এবং আপনাকে ট্যাক্স, ইনভয়েস, পেমেন্ট প্রাপ্ত, আপনার নিজের স্বাস্থ্য বিমা খোঁজা এবং কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় প্রতিটি সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের শীর্ষে থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের ভালো অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং খুঁজে পাবার, নিজ উদ্যোগে কাজ পাবার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। কাজের কোনো নিরাপত্তা বা গ্যারান্টি নাও হতে পারে। কোনো কোনো সময় এমন হবে, আপনি সারা মাসেও একটি কাজও পাবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সারের প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য আপনার কিছু গুণাবলি থাকা উচিত। যদিও নিচের তালিকাটি একটি সর্বাঙ্গীণ তালিকা নয়, এই মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো আপনাকে কোথায় ফোকাস করতে হবে তার একটি স্পষ্ট ধারণা দেবে।
১. শৃঙ্খলাঃ কোনো বস চোখের কোণ থেকে আপনার দিকে তাকাবেন না, এবং আপনি যখন কাজের পরিবর্তে অনলাইনে এক ঘণ্টা কেনাকাটা করেন তখন সহকর্মীরা আপনাকে বিচার করার জন্য সেখানে থাকবে না। ট্র্যাকে থাকার জন্য আত্ম-শৃঙ্খলা প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন আপনি নিজেই আপনার বস।
২. উদ্যমশীলতাঃ অধ্যবসায় সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, কিন্তু তার চেয়েও বেশি যখন আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে শুরু করছেন এবং কাজের ট্র্যাক রাখার চেষ্টা করছেন।
৩. সংগঠিত থাকাঃ আপনি বিভিন্ন কাজের দায়িত্বে আছেন। আপনার আয় এবং ব্যয় ট্র্যাক করা, সময়মতো ক্লায়েন্ট ইমেইলগুলোতে উত্তর দেয়া, সময়সীমা পূরণ করা, আপনার ফাইলগুলো সংগঠিত করা এবং আপনার কাজের চাপ সুগম নিশ্চিত করা সব দায়িত্ব আপনার উপর নির্ভর করে।
৪. সক্রিয় থাকাঃ আপনাকে প্রথাগত অর্থে বহির্মুখী হতে হবে এমন নয়, তবে নতুন ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করার জন্য আপনাকে বেশ সক্রিয় থাকতে হবে। আপনি যদি আপনার ব্যবসা বাড়াতে চান তবে আপনাকে নেটওয়ার্ক করতে এবং অপরিচিতদের সাথে সহজেই জড়িত হতে হবে, আপনি এটি ব্যক্তিগতভাবে বা ডিজিটালভাবে করুন না কেন।
৫. যোগাযোগের কৌশল রপ্ত করাঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য প্রচুর যোগাযোগের প্রয়োজন। আপনাকে কঠিন কথোপকথন করতে ইচ্ছুক হতে হবে- যেমন উচ্চ পারিশ্রমিকের জন্য নোগোশিয়েট করা বা কোনো ক্লায়েন্টের সাথে দরকার হলে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং দক্ষতার সাথে এবং পেশাদারভাবে সেগুলো পরিচালনা করা।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সম্পূর্ণ নির্দেশিকা
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথমে কাজ শিখতে হবে। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন অনেক কাজ আছে। আপনি কী পরিষেবা প্রদান করবেন বা আপনি কী করবেন তা চয়ন করুন। এটি করার জন্য, ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের উপায় সম্পর্কে হিতাহিত জ্ঞান নিন যার জন্য আমি উপরে বিস্তর বর্ণনা দিয়েছি।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি
আমার একান্ত সুপারিশ হচ্ছে আপনি আপনার আগ্রহের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিন, কারণ এটিই হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাফল্যের ভিত্তি। আপনার নির্বাচিত গিগের জন্য ইউটিউবে বিনামূল্যে প্রচুর কোর্স পাবেন। আমি অনেক কোটিপতি ফ্রিল্যান্সারদের জানি যারা ইউটিউব থেকেই মূলত কাজ শিখেছে। কাজ সম্পন্ন করার জন্য এবং আপনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য সফটওয়্যারের মূল বিষয়গুলো শিখুন।
আপনি নিজেই অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আপনি যে পরিষেবাগুলো অফার করবেন তার তালিকা এবং তাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করুন। এ নিয়ে মার্কেট রিসার্চ করুন। উপরে আমি দক্ষতার নগদীকরণ নিয়ে যে স্টেপগুলো দিয়েছি সেগুলো ভালোমতো রপ্ত করুন। কটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এগুলো বন্ধু, পরিচিত, পাবলিক সংস্থার জন্য প্রকল্প হতে পারে, যেখানে আপনি ইতোমধ্যে কাজ করেছেন।
আরো পড়ুনঃ মার্কেটিং করার কৌশল
আপনি সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের দেখাতে পারেন এমন কাজের উদাহরণ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যে প্লাটফর্মগুলো রয়েছে সেখানে নিবন্ধন করুন। আপনার পোর্টফোলিও রাখুন এবং সর্বত্র অর্ডার দেওয়ার প্রস্তাব দিন। শুরুতে, ব্যয়বহুল অর্ডারের জন্য তাড়া করবেন না। প্রথমত, অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং ক্লায়েন্ট বেস তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। অতএব প্রথমদিকে সর্বোচ্চ দামের প্রকল্পগুলো না নেওয়ার চেষ্টা করুন, আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আপনার ফি বাড়ান এবং আরও লাভজনক প্রকল্পে যান।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব
আপনি কী করতে চান তা নিয়ে ভাবুন। নিচে কিছু গাইডলাইন দিচ্ছি। কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সাররা কী ধরনের কাজ করেন বা তাদের কী দায়িত্ব।
- প্রোগ্রামারঃ প্রোগ্রাম, গেম, ওয়েবসাইট এবং/অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে;
- টেস্টারঃ নতুন প্রোগ্রাম, গেমস, অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কার্যকারিতাতে ত্রুটিগুলো শনাক্ত করে;
- ওয়েব ডিজাইনারঃ অ্যাট্রাক্টিভ ওয়েব ডিজাইন এবং সাইট নেভিগেশন সহজতার করার কাজ করে;
- গ্রাফিক ডিজাইনারঃ লোগো এবং ব্যানার আঁকে, ফটো এডিট করে;
- SEO-বিশেষজ্ঞঃ সার্চ নেটওয়ার্কে সাইট প্রচার করে;
- SMM (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং) বিশেষজ্ঞঃ সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে ওয়েবসাইট এবং গ্রুপগুলো প্রোমোট;
- ইন্টারনেট বিপণনকারীঃ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য কৌশল বিকাশ করে;
- কনটেন্ট ম্যানেজারঃ পাঠ্য, গ্রাফিক্স এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে সাইট পরিপূর্ণ করে;
- কপিরাইটারঃ যারা ওয়েবসাইটের জন্য নিবন্ধ লেখেন;
- সাংবাদিকঃ মিডিয়ার জন্য নিবন্ধ লেখেন;
- টার্গেটোলজিস্টঃ প্রাসঙ্গিক এবং লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপন সেট-আপ করে;
- অনুবাদকঃ লিখিত ইনফো অনুবাদ সম্পাদন করে;
- শিক্ষক এবং/অথবা গৃহশিক্ষকঃ প্রবন্ধ লিখতে, পরীক্ষাগার এবং কাগজপত্র সম্পাদনে স্কুলছাত্রী এবং ছাত্রদের সাহায্য করে;
- ভিডিও সম্পাদনা বিশেষজ্ঞঃ YouTube এবং Instagram-এর জন্য মাস্টারপিস তৈরি করে;
- ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফারঃ ইভেন্টে যথাক্রমে ফটো এবং ভিডিও তোলে;
- ড্রপশিপিংঃ ড্রপ শিপিং আপনাকে গুদামজাতকরণ এবং সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের সাথে জড়িত খরচ এবং ঝামেলা ছাড়াই পণ্যদ্রব্য বিক্রি করতে দেয়;
- নিয়োগকারীঃ কর্মচারী নিয়োগে সংস্থাগুলোকে সহায়তা করে; এথিক্যাল হ্যাকার: এথিক্যাল হ্যাকাররা তাদের জ্ঞান ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি সুরক্ষিত ও উন্নত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। আইনজীবী, হিসাবরক্ষক, ডিজাইনার, ট্রান্সক্রিপশন এবং ভয়েসওভার বিশেষজ্ঞ, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য পেশাদারদেরও ফ্রিল্যান্স উপার্জনের সুযোগ রয়েছে, তবে তাদের জন্য এত বেশি ডিমান্ড এখনো নাই।
এখন প্রফেশনাল ডাক্তাররাও ফ্রিল্যান্সিং করেন অনলাইনে রোগ নিরাময়ের পরামর্শদাতা হিসেবে। আর এই গিগ-অর্থনীতিতে কে কী কাজ করে এ নিয়ে বিস্তারিত আমি চাহিদাপূর্ণ ডিজিটাল ক্যারিয়ারগুলোর রোডম্যাপ পর্বে উপরে লিখেছি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং আমরা বিভিন্নভাবে শিখে থাকি। অনলাইনেও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা যায়। মোবাইল দিয়ে আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স দেখে শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে কোন বিশ্বস্ত একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজে নিতে হবে। যেখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং আসে শিখতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং a to Z
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি নিশ বাছাই করে নিতে হবে। আপনার নিশ বাছাই করা হয়ে গেলে, তার উপর স্কিল ডেভেলপ করুন গ্রাফিক ডিজাইনারকে অ্যাডোব ফটোশপ এবং অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর ও গ্রাফিক টুলগুলোর সাথে কীভাবে কাজ করতে হয় তা জানতে হবে। প্রোগ্রামারকে অবশ্যই এক বা একাধিক ভাষায় দক্ষ হতে হবে যেখানে আপনি প্রোগ্রাম, ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে যাচ্ছেন।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে (এসএমএম) সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পেজ এবং গ্রুপের প্রচারের নীতি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আগেই বলেছি, আপনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকলে ইউটিউবই আপনার জন্য যথেষ্ট। কিছু পেশার জন্য দীর্ঘ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় এবং কখনো কখনো শুধুমাত্র কোর্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একটি বিশেষীকরণ নির্বাচন করার সময় এটিও বিবেচনায় নেওয়া উচিত। ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা সবচেয়ে কঠিন হবে এমন লোকদের জন্য যাদের কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা নেই। মোবাইল দিয়ে আপনার প্রধান কাজ থেকে অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিং বা প্যাসিভ ইনকামে স্যুইচ করার আগেও প্রশিক্ষণ নেওয়া ভালো।
রিসোর্সঃ
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা অনলাইন কোর্সঃ https://freelancinghacks. com/best-skillshare-classes-for-freelancers/ এবং https:// freelancinghacks.com/15-online-courses-for-freelancers/
অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে কীভাবে সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্স দক্ষতা শিখবেনঃ freelancinghacks.com/learn-freelance-skills-with-online- courses
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শীর্ষ ২৫ টি বিনামূল্যের অনলাইন কোর্সঃ cool,club/blog/top-free-online-courses-for-freelancers
আশা করি আপনাদের কিভাবে ফ্রিল্যান্স অ্যাকাউন্ট খুলবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মত ফলো করুন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।