সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করুন

মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে কিভাবে একজন ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে সেটি সম্পর্কে সকলেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ হল সিপিএ মার্কেটিং যা বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 
সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করুন
সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কমবেশি শুনে থাকি কিন্তু কিভাবে মোবাইল দিয়ে সিপিএম মার্কেটিং করতে হয় সেটি আমরা অনেকেই জানিনা। সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

সিপিএ মার্কেটিং কি


কিছু নির্দিষ্ট কাজ যেমন কোন কিছু ডাউনলোড, কোন সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন কিংবা কোন কনটেন্ট সোশ্যাল সাইটে শেয়ার এর মত ছোট ছোট কাজ করায় কে আপনি সিপিসি মার্কেটটিং দ্বারা আয় করতে পারবেন। (CPA Marketing) সিপিএ মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ বিশেষ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। 

আগেও বলেছি সিপিএ মার্কেটিং এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ হচ্ছে কস্ট পার অ্যাকশান বা টাচ টপার আটুইজিশন। যার পূর্ণ অর্থ হলো (Cost Per Action) কস্ট পার অ্যাকশন। বর্তমান সময়ে যেকোনো ধরনের পণ্যের প্রচার এবং প্রচারণার জন্য মার্কেটিং যেমন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে চায়, ঠিক সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর শরণাপন্ন হয়ে থাকে। 
মার্কেটিং ব্যতীত যেহেতু কোন কিছুই বর্তমান সময়ে সম্পাদন করা যাচ্ছে না। ঠিক তেমনি সিপিএ মার্কেটিং এ পণ্য উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রমোশনের জন্য এই পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মার্কেটার কে দিয়ে এ ধরনের কার্য পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর যারা এ সকল কাজ সম্পাদন করে তাদেরকে সিপিএ মার্কেটার বলা হয়। 

সিপিএ মার্কেটিং এর জন্য বিজ্ঞাপন দাতারা শুধুমাত্র পণ্য বিক্রয়ের জন্য নয়, সঙ্গে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য এ ধরনের সিপিএম মার্কেটিং করে থাকেন। উদাহরণ স্বরূপ কোন পণ্যের বিজ্ঞাপনের সাথে ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ইমেইল জুড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে উল্লেখ করা হচ্ছে। বর্তমানে সিপিএ মার্কেটিং করে এর ফলাফল ভালো হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এর প্রসার দিন দিন বেড়ে চলেছে। 

সিপিএ মার্কেটিংকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সঙ্গে তুলনা করার কারণ হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যেমন আপনি একটি পণ্য বিক্রি করলে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন। ঠিক তেমনি কেউ যদি মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করার পরিপ্রেক্ষিতে। মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ইনস্টল করাতে পারলে সেই সকল অ্যাপসের প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করে থাকে। এজন্য একজন সিপিএ মার্কেটার কে সিপিএ মার্কেটিং কি এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সকল বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ধারণা রাখতে হয়।

কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করব

সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করুন
প্রতিদিনই তো আপনি কোন না কোন কোম্পানির কাছ থেকে মেসেজ পেয়ে থাকেন, তাই না? বিভিন্ন অফার, বিভিন্ন ছাড্সি‌ বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় কথাবার্তার যেসব মেসেজ কিভাবে আপনার কাছে আসছে? আচ্ছা কিভাবে আসে সেটা বাদই দিলাম। তারা আপনার ফোন নাম্বার পেল কোথায়? চিন্তায় পড়ে গেলেন? চিন্তা করে লাভ নেই। 

আপনি হয়তো ইন্টারনেটে কোথাও না কোথাও আপনার ফোন নাম্বার দেদারসে দিয়ে এসেছেন, আর তারা সেখান থেকে আপনার তথ্য পেয়েছে। কিম্বা আপনি হয়তো অন্য কোন কোম্পানি ফর্ম ফিলাপ করেছেন। আর সেই কোম্পানি কিছু অর্থের লোভে আপনার তথ্য অন্য কোম্পানির সাথে বিক্রি করে দিয়েছে। 
আর এভাবেই প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানি সাইবার ডিস্টাবিয়ানের আঘাতে হয়তো আপনি পাচ্ছেন। সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করব এই বিষয়টিতে সর্বপ্রথমে সিপিএ মার্কেটিং করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। 

অর্থাৎ সিপিএ মার্কেটিং শুরু করতে হলে আরো কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত রয়েছে যার ভিত্তিতেই কেবলমাত্র সিপিএ মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব। অর্থাৎ সিপিএ মার্কেটিং শুরু করার আগে অবশ্যই কিছু ইকুপমেন্ট প্রয়োজন যা আপনার মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রয়োজন পড়বে। 

তবে সিপিএ মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোগ্রাম এর ধরনের। যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের যা যা লাগবে একজন সিপিএ মার্কেটারের ও একই ধরনের বিষয়গুলো লাগবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করব বা সিপিএ মার্কেটিংয়ে কি কি লাগবে।
  • অবশ্যই একটি প্রফেশনাল ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে।
  • ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার না থাকলে শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করা যাবে।
  • কনটেন্ট ক্রিয়েটিং এবং মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জ্ঞান থাকতে হবে।
  • দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘন্টা কাজ করার মন মানসিকতা থাকা জরুরী।
  • ইংরেজি কমিউনিকেশনে ডেভলপমেন্ট করতে হবে।
  • নিজস্ব ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট থাকা সিপিএ মার্কেটিং এর জরুরী একটি বিষয়।
  • সর্বশেষে অবশ্যই ডিভাইসে ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
উপরের বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনি অবগত হন তাহলে সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এ বিষয়টি নিয়ে আর কোন কনফিউশন থাকবে না। এর পরের ধাপে আপনাকে অবশ্যই সিপিএ মার্কেটিং সেক্টর বা সাইট সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ আপনি একটি কাজ সম্পর্কে অবগত হলেন বা সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করলেন কিন্তু সেই কাজে স্থল সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে সেই দক্ষতার কোন মূল্য থাকবে না। চলুন তাহলে এবার সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে প্রফেশনাল ওয়েবসাইটে করা যাবে এবং সেই ওয়েবসাইটগুলোর নাম জেনে নিব।

সিপিএ মার্কেটিং সাইট

সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করুন
আমরা আজকের আর্টিকেলে সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেছি। আশা করি আপনারা সিপিএ মার্কেটিং কি এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত হতে পেরেছেন। মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে অনেকেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তবে একটি বিষয় এখানে সর্বপ্রথমে আমাদের জানতে হবে সেটি হল সিপিএ মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে। 
কেননা আপনি যদি কোন একটি বিষয়ের কাজ জানেন। কিন্তু সেই বিষয়ে কাজ কোথায় থেকে নেয়া হবে সেটি না জানেন তাহলে সেই দক্ষতার কোন মূল্য থাকে না। এজন্য আমরা সিপিএ মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন সেক্টরে বা সাইটে সিপিএ মার্কেটিং হয়ে থাকে সে বিষয়গুলো জেনে নিব। নিচে আমরা কয়েকটি সিপিএ মার্কেটিং সাইটের নাম তুলে ধরলাম।
  • জেডু (Zeydoo)
  • ক্লিক ডিলার (ClickDealer)
  • ম্যাক্সওয়েব (Maxweb)
  • ট্রাফিক কোম্পানি (Traffic Company)
  • অ্যাডকম্বো (AdCombo)
  • সিপিএফুল (CPAFull)
  • গোল্ডেন হংস (Golden Goose)
  • মাইলিড (MyLead)
আমরা এখানে কয়েকটি সিপিএ মার্কেটিং সাইটের কথা উল্লেখ করেছি। প্রত্যেকটি সাইটের লিংক উপরে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ওয়েবসাইট গুলোতে মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং খুব সহজেই করা যাচ্ছে। আপনি যে সাইটে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই সাইটের নামের উপরে টাচ করলে সরাসরি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। ওয়েবসাইট গুলোতে ঢুকলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে পরবর্তীতে সিপিএ মার্কেটিং করা যায়।

মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং

সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করুন
আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় একটিভ থাকি তারা বিভিন্ন নিউজ আমাদের হোমপেজে আসতে দেখি। তারমধ্যে সবচেয়ে যে বেশি নিউজ আসে সেটি হল অমুক ব্যক্তি অনলাইন থেকে এত টাকা আয় করলেন। অমুক ব্যক্তি অনলাইন থেকে আজ সফলতার শিখরে পৌঁছে গেলেন এই বিষয়গুলো। 

আপনিও যখন এ ধরনের নিউজ দেখেন হয়ত অবশ্যই আপনার মনের এক কোণে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার প্রয়াস আসতে পারে। অনেকের অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার আগ্রহ থাকলেও বিভিন্ন বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি আর হয়ে ওঠেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যাদের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নেই তাদের অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আগ্রহ থাকলেও সেটি আর ফলপ্রসূ হয়ে ওঠে না। 

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে অনলাইন থেকে অনেকেই শুধুমাত্র একটি মোবাইল দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করেছেন। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনের যাবতীয় সকল ধরনের কাজ কখনোই করা সম্ভব নয়। কিছু কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো কাজ মোবাইল দিয়ে খুব সহজে যেমন করা যায় এবং টাকাও ইনকাম করা সম্ভব হয়। 
ঠিক তেমনি একটি বিষয় হল মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং। অনেকে দেখবেন মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে থাকে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে সিপিএ মার্কেটিংও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ। আপনি এখানে কোন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন না যে আপনাকে কোডিং বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। 

শুধুমাত্র একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার, প্রসারণ অথবা বিক্রি করিয়ে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশনের ভাগ পাচ্ছেন। আর এ ধরনের কাজ একটি মোবাইল থাকলেই খুব ইজিলি করা যাবে। সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে ১০০% সফলতা আসবে সেটি নির্ভর করে আপনার মার্কেটিং এর উপর। 

আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন সে ক্ষেত্রেও ভালো একটি ফলাফল পাওয়ার আশা থাকে। কেননা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে অডিয়েন্স এবং সকল ধরনের অডিয়েন্স থাকার জন্য যে কোন ধরনের মার্কেটিং খুব সহজেই করা যাচ্ছে। চলুন তাহলে এবার মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয়গুলো জরুরী সেটি নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলো। 

সিপিএ মার্কেটিং করতে হলে সর্বপ্রথমে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। সেই ওয়েবসাইটে বা ব্লক পোস্টে সিপিএ নেটওয়ার্ক সাইট থেকে কিছু বেস্ট অফার সংগলিত তালিকা ভুক্ত করে লিংক আপ করে দিতে হবে। পরবর্তীতে ওই ওয়েবসাইট অথবা ব্লগে কোন ব্যাক্তি ঢুকে যদি অফারটিতে ক্লিক করে তাহলে একটি ট্রাক সম্পন্ন হবে। 

ফ্রিতে সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। আমরা একটু আগেই বলেছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক এবং বিভিন্ন ধরনের অডিয়েন্স পাওয়া যায়। তাই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের লিংক পোস্ট করে সেখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যদি সিপিএ মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। 

তাহলে ক্রমান্বয়ে পোস্ট করে যেতে হবে। আপনার তৈরিকৃত সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ব্যবসায়িক পেজে যত বেশি ট্রাফিক আসবে আপনার ইনকামের পরিমাণ তত বৃদ্ধি হতে থাকবে। ফ্রি মেথডদের চেয়ে পেইড মেথডে টাকা ইনকাম করার মাত্রা সবসময় বেশি থাকবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। আপনি যদি ওয়েবসাইট ক্রয় করে এবং সেটি অ্যাড ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করেন সে ক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

সিপিএ মার্কেটিং করে আয় সিপিএ মার্কেটিং কি আসলেই একটু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত? চলুন বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জেনে নেওয়া যাক। ধরুন আপনি যদি আমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করলেন এবং আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে যে প্রোডাক্টের আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছেন সেই প্রোডাক্ট এর লিংক আপনার ওয়েবসাইটে লিঙ্ক আপ করলে সেখান থেকে যদি কোন কাস্টমার প্রোডাক্টটি ক্রয় করে। 

সেক্ষেত্রে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে যাচ্ছেন। ঠিক তেমনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মতই সিপিএ মার্কেটিং করে আপনি উপরে বর্ণিত কোম্পানি থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করবেন এবং আপনি আপনার মত করে মার্কেটিং করে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। তবে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করার বিষয়টি দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একটি হল পেইড মেথড অপরটি হল ফ্রি মেথড।

পেইড মেথড


মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং অথবা ল্যাপটপ, কম্পিউটার দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং। পেইড মেথডে আপনি যে কোন ডিভাইসে সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন। ফ্রি মেথডের চাইতে পেইড মেথডে সিপিএ মার্কেটিং করা বেশি ফলপ্রসূ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিষয়টি হল আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে। 
আপনি যেকোনো ভালো মানের সিপিএ নেটওয়ার্ক থেকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করার পর সেই লিংকটি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লক পোস্টে লিঙ্ক আপ করে দিবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিকভাবে কোন ট্রাফিক না থাকে। সে ক্ষেত্রে গুগল অ্যাডস এর সহায়তা নিয়ে এড ক্যাম্পেইন রান করলে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক আসবে। 

ট্রাফিক বা অডিয়েন্সে আপনার সিপিএ মার্কেটিং এর লিংকে ঢুকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করবে, আর এ থেকে আপনি ভালো একটি অ্যামাউন্ট কালেক্ট করতে পারবেন। সুতরাং সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে একজন ব্যক্তিকে সফলতা এনে দিতে পারবে সেটি নির্ভর করবে তার বিনিয়োগের উপর।

ফ্রি মেথড


সিপিএ মার্কেটিং যেমন পেইড মেথডে টাকা ইনকাম করা যায় ঠিক তেমনি ফ্রিতেও মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম সম্ভব। তবে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে ফ্রি মেথডগুলো খুব একটা কার্যকরী হচ্ছে না। পূর্বে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে এ ধরনের সিপিএ মার্কেটিং লিংক পোস্ট করলে মানুষজন সেখানে ঢুকে apps বা অন্যান্য সকল কিছু ডাউনলোড করেছে। 

কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের লিংক সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করলে খুব একটা ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফ্রি মেথডে মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই একটি বিজনেস পেজ থাকতে হবে। সেটা হতে পারে ফেসবুক, টুইটারে অথবা instagram এ। এ ধরনের পেজে নিয়মিত সিপিএ মার্কেটিং এর বিষয়ে পোস্ট করে যেতে হবে পাশাপাশি সিপিএ মার্কেটিং এর যে সকল গ্রুপ রয়েছে সেখানেও নিয়মিত এপ্রুভ সহকারে পোস্ট করতে হবে। আর এভাবেই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া এর সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই ফ্রি মেথডে সিপিএ মার্কেটিং করা সম্ভব।

সিপিএ মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগবে

সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করুন
আসলে সিপিএ মার্কেটিং শিখার জন্য নির্দিষ্ট কত দিন সময় লাগবে সেটি নির্ভর করবে তার দক্ষতার উপরে। ধরুন একজন বেসিক লেভেলের সিপিএ মার্কেটার সে যদি সর্বপ্রথম মার্কেটিং সম্বন্ধে শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জন করে সেক্ষেত্রেও ধারণা পেতে প্রায় তিন মাসের মতো সময় লেগে যায়। তিন মাস পরে যখন সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে শুরু করে তখন সিপিএ মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে জানার জন্য আরো কিছুদিন সময় নিতে হয়। 
যারা পূর্বে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে জড়িত ছিল। তাদের ক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং শিখতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সিপিএ মার্কেটিং বিষয়গুলো অনেকটা একই ধরনের হয়ে থাকে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং কি এবং সিপিএ মার্কেটিং এর আদ্যপ্রান্ত সকল বিষয় জানার জন্য অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে হাতে কমপক্ষে ৬ মাস সময় নিয়ে আসতে হবে। 

৬ মাস পর থেকে আশা করা যাচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং করে হয়তো উক্ত ব্যক্তি মাসে ভালো একটি টাকা আয় করতে সক্ষম হবে। সুতরাং আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে কমপক্ষে ৬ মাস সময় হাতে নিবেন এবং ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সহিত কাজ করে যাবেন।

শেষের কথা


আমরা আজকে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত সিপিএ মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে করা যাবে সে বিষয়গুলো জানতে পেরেছি। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে রেখেছি। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি আর্টিকেলের বিষয়বস্তু অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অনেকটাই কাজে দেবে।

তাই আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আজকের আলোচ্য বিষয় সিপিএ মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে আপনার মন্তব্যটি আমাদের মন্তব্য ও বক্সে জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না। পাশাপাশি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করার বিষয়টি জানানোর জন্য অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন