ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা - অনলাইন ব্যবসা

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা এবং অনলাইন ব্যবসা এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্ন আর্টিকেলটি পড়ুন।
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করব এবং অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম। এছাড়া আরো আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিককে সম্বন্ধে সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া অনুরোধ রইল।

অনেকেই বলেন ব্যবসার উন্নতি নির্ভর করে ভাগ্যের ওপর। কিন্তু ভাগ্যের ওপর সব ছেড়ে দিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। আপনার ব্যবসা বাড়ানোর জন্য একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার কিছু স্ট্র্যাটেজি রেডি করতে হবে, এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কীভাবে অতিক্রম করবেন, তা প্ল্যানিংও করে প্রস্তুত থাকতে হবে।

অনলাইন ব্যবসার নীতিমালা


অস্তিত্ব রক্ষাঃ ব্যবসায়ের শুরু থেকে আপনি আপনার ব্যবসায়ের অস্তিত্ব রক্ষার কাজ করে আসছেন। সেটা ছিল আপনার ব্যবসায়ের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ। 
  • আপনার পণ্যের চাহিদা কি মার্কেটে আছে?
  • কনজিউমার কী আপনার দেয়া সেবা চাচ্ছে কি না?
  • মার্কেটে আপনার প্রতিযোগী কারা?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নতুন কাস্টমার পাওয়া। যদি শূন্য থেকে শুরু করেন, তাহলে এটাই আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করার পরেই আপনি পরের ধাপে এগিয়ে যেতে পারবেন। যদি না হয়, তবে মূলধন ফুরিয়ে গেলেই আপনার ব্যবসা থুবড়ে পড়বে আর এগুতে পারবেন না। এই ধাপে, আপনি কত টাকা আয় করেন সেটা মুখ্য না। 

আপনার কতজন কাস্টমার আছে বা ফান্ডিং পেয়েছেন কি না সেগুলো জরুরি না। সুযোগ আপনি এই স্টেজে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ পাবেন। এই ধাপে ছোট ছোট জিনিস চেঞ্জ করে বড় ফলাফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ধাপেই নতুন পণ্য বাজারে এনে মার্কেটে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ ব্যপক। 

অ্যাকশন পয়েন্টস এই ধাপের মূল কাজ হচ্ছে নতুন কাস্টমার ল্যান্ড করা। কাস্টমার ছাড়া বিজনেস টিকে থাকতে পারবে না। এর জন্য আপনি ফ্রি ট্রায়াল অফার করতে পারেন। ফ্রিমিয়াম মডেল অফার করতে পারেন। অথবা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিংও করতে পারেন। যেটা আপনার ব্যবসার সাথে মানানসই হয়। 
এই স্টেজে একটা কাস্টমার যে আপনার পণ্য ফ্রি ব্যবহার করে, কিন্তু বদলে আপনার কাছে আরও ১০ জন কাস্টমার পাঠায়, সে একজন পেয়িং কাস্টমারের চেয়ে অনেক বেশি ভ্যালুয়েবল। ফ্রিমিয়াম প্রাইসিং মডেল ট্রাই করে দেখতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এইটা সব ব্যবসার জন্য সঠিক উপায় না। 

আর ফ্রি দিতে গিয়ে এমন যেন না হয়, যে আর কেউ আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহই পাবে না। আর শুরুর দিকের কাস্টমারদের থেকে ফিডব্যাক নিয়ে আপনার প্রোডাক্ট রিফাইন করার মানসিকতাও আপনার থাকতে হবে। আর ফাইনালি, আপনার টিকে থাকার মতো যথেষ্ট ফান্ডিংও পেতে অথবা থাকতে হবে। নইলে এই ধাপগুলোতে টিকে থাকা কঠিন।

অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করব

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা
টিকে থাকাঃ আপনার এক বা একাধিক প্রডাক্ট আছে, যেগুলো মানুষ কিনে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক। কিন্তু আপনার বিজনেস কি লংটার্ম টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত? ব্যবসায়ের অন্যতম উদ্দেশ্য টিকে থাকা। কেউই চায় না তার ব্যবসা শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে যাক।
চ্যালেঞ্জঃ এই ধাপের মেইন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মুনাফা। হ্যাঁ, প্রফিট করে ব্যবসায় লাভবান হওয়া। এই ধাপের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্যবসা সাস্টেইনেবল করা। এই ধাপে সফল না হলে, আগের সমস্যাই আবার উঠে আসবে, ফান্ড শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যবসা টিকবে না। তাই ব্যবসা গুটিয়ে যেন শেষ করে দিতে না হয়, তাই ব্যবসা দ্রুত সাসটেইনেবল করে ফেলতে হবে। এই সময়ে টিকে থাকার জন্য আগে থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখুন।

সুযোগঃ এই ধাপ উতরে গেলে ব্যবসা সাস্টেইনেবল হয়ে যায়। আর অনেক রকম সুযোগ
পাওয়া যায়ঃ নিজের ব্যবসা দিয়ে নিজের জীবিকা অর্জন তার মধ্যে একটা। ব্যবসা টিকবে কি টিকবে না সেই চিন্তা আর করতে হয়না।
  • অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেয়া।
  • ইন্ডাস্ট্রির অনেকের সাথে পরিচয় ও নেটওয়ার্কিং।
  • এখন আপনার স্বপ্ন আর স্বপ্ন অবস্থায় নেই। 
  • বাস্তব হয়ে গেছে।
অ্যাকশন পয়েন্টঃ এই ধাপের হিসেব খুব সিম্পল। ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হতে হবে। মুনাফা হলে এই স্টেজে সফলতা পাওয়া যাবে। নিজের প্রডাক্টের প্রাইসিং- এর ওপর খেয়াল করুন। সেলস আর কস্টের সাথে সেই প্রাইসিং সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মিলিয়ে দেখুন। মুনাফা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি কস্ট কাটিং করতে পারেন। 
কিন্তু এই কাজ খুব সাবধানে করতে হবে। ব্যবসা শুরুর দিকে না বুঝে কস্ট কাটিং করা কাউন্টার প্রডাক্টিভ হতে পারে। আর ক্যাশ ফ্লোর দিকেও নজর রাখুন। বিজনেস প্রফিটেবল হলেও অনেক সময় ক্যাশ ফ্লো শেষ হয়ে যাওয়ার রিস্ক থাকে।

অনলাইন বিজনেস প্লান

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা
আমরা ইতোমধ্য ব্যবসার প্লান, ব্যবসা শুরু ও টিকে থাকার ধাপ পেরিয়ে এসেছি। ব্যবসা লং টার্ম টিকে থাকার মতো মুনাফা ব্যবসা থেকে আমরা আয় করি। এই ধাপে শুধু টিকে থাকা যথেষ্ট না। এই ধাপে আপনার ইনকাম করার ও বৃদ্ধি করার একাধিক নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আর নতুন প্রফিট মার্জিন থেকে যে টাকা আসবে, সেটা ব্যবসার উন্নতি ও প্রসারের জন্য ব্যবহার করতে হবে। 

এই স্টেজে ফেল করা মানে হচ্ছে ২য় ধাপে ব্যবসা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আটকে থাকা। কিন্তু বিজনেস স্কেল করা যাবেনা। আর আপনি নিজের বিজনেস থেকে বেসিক স্যালারি ছাড়া বেশি কিছু পাবেন না। কিছু ছোট ফার্ম এভাবেই চালিয়ে যায়, কিন্তু এটা বেশি রিওয়ার্ডিং পজিশন না। ব্যবসার মুনাফা আপনি ব্যবসার প্রসারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 
যাতে পরবর্তী ধাপে পৌছাতে পারেন। অথবা, নিজে বিজনেস থেকে সরে এসে ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করতে পারেন। আর বিজনেস থেকে আসা টাকা অন্য কাজে লাগাতে পারেন। দুটাই ভালো অপশন। দুটাই গ্রোথ, আর আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই ধাপে এগিয়ে যেতে আরও অনেক সিস্টেমেটিক হতে হবে। গ্রোথ প্ল্যানিং এই স্টেজে অনেক বেশি জরুরি। এই স্টেজে আপনি বিশ্বস্ত ও যোগ্য কর্মচারী নিয়োগ করুন এবং ব্যবসা এগিয়ে নেবার ব্যাপারে সচেষ্ট হোন।

অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম


এইটা হচ্ছে র‍্যাপিড গ্রোথ স্টেজ। এই স্টেজে বোঝা যাবে যে আপনার ব্যবসা ছোট থেকে বড় ব্যবসায় রূপান্তরিত হতে পারবে কি না। র‍্যাপিড গ্রোথ ম্যানেজ করা কঠিন। কিন্তু ঠিকমতো করলে ব্যবসা বড় একটি কোম্পানিতে পরিণত হতে সময় লাগে না। আবার ঠিকমতো না করলে ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যেতেও সময় লাগে না। এই ধাপে আপনার কাজ হচ্ছে যথেষ্ট ফান্ড এক করে বিজনেস গ্রোথে লাগানো। 

নতুন কর্মচারী রাখা। বিজনেসের স্কেল বড় করা। আর মনে রাখতে হবে, এই ধাপে ব্যবসা কীভাবে চলবে, তা পরিবর্তন করতে হবে। বড় কোম্পানি স্টার্টআপের মতো রান করা সম্ভব হবে না। এই ধাপ হচ্ছে ব্যবসাকে বড় কোম্পানিতে রূপান্তর করার সুযোগ। একসময় এপল আর ফেসবুকের মতো কোম্পানিও স্টার্টআপ ছিল। 

ঠিকমতো গাইড করতে পারবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটা কোম্পানিতে প্রসার করাও অসম্ভব না। অত বড় না হতে পারলেও, আপনি অনেক বড় গ্রোথ অ্যাচিভ করতে পারেন। এই লেভেলে বিশাল পরিসরে গ্রোথ সম্ভব, যেটা শুরুর দিকে অল্প মূলধনে করা সম্ভব ছিল না। প্রথমে আপনার র‍্যাপিড গ্রোথের একটা স্ট্র্যাটেজি লাগবে। 

যদিও গ্রোথ প্ল্যানিং একেবারে লাস্ট স্টেজ, ব্যবসায় আসল টেক অফ পেতে স্ট্র্যাটেজি অনেকবার রিফাইন করতে হতে পারে। আর কীভাবে এইসব গ্রোথ ফান্ড করবেন সে ব্যপারেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে। বিস্তারিত জানতে আমাদের ফান্ডিং সিরিজ পড়ে দেখতে পারেন। এই স্টেজে বিজনেসকে যতটা সম্ভব ডিসেন্ট্রালাইজও করতে হবে। 

প্রো লেভেল এইচআর সিস্টেম তৈরি করতে হবে। বিজনেজ সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করতে হবে। এই পর্যায়ে আপনার বিজনেস বড় কোম্পানির মতো চলা শুরু করবে। যদিও এর বেশির ভাগই বিউরোক্রেসি মনে হবে, কিন্তু বড় কোম্পানির সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে এর বিকল্প নেই।

অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা
টেক অফ ফেজ চিরস্থায়ী নয়। একসময় র‍্যাপিড গ্রোথের আর কোনো সুযোগ থাকবে না। কিন্তু এ পর্যায়ে আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা বড় ম্যাচিওর বিজনেস হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। যেটার নিজের অন্য রকমের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ থাকবে। এই স্টেজে আপনাকে বুঝতে হবে স্লোয়ার গ্রোথ নিয়ে কীভাবে কাজ করতে হয়।
যেমনঃ
  • কীভাবে র‍্যাপিড গ্রোথ লেভেল এনার্জি কর্মচারীদের মাঝে ধরে রাখতে হবে?
  • সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা মনোভাব কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায়?
  • নতুন নতুন উপায় কীভাবে ইনকাম বৃদ্ধি করা যায়?
আর পার্সোনাল ডিট্যাচমেন্ট নিয়ে কথা বলেছি আগেই। এই স্টেজেও সেটা আবার ভেবে দেখতে হবে। আপনার নিজের রোজ রোজ ব্যবসায় সময় না দিলেও হবে। সেটা আপনার বদলে একজন ম্যানেজার করতে পারবে। এইটা এই মডেলের ফাইনাল স্টেজ। কিন্তু ব্যবসার এই কাজ আসলে কখনোই পুরোপুরি শেষ হয় না। অনেক সুযোগ ও ধাপ থেকেই যায়। 

নতুন একটা প্রোডাক্ট, বা সার্ভিস বা অন্য ব্যবসা কিনে নিয়ে কীভাবে গ্রোথ বজায় রাখা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। আর ব্যক্তিগতভাবেও অনেক গ্রোথ সম্ভব। নিজের অন্যান্য আইডিয়া কাজে লাগানোর সামর্থ্য এখন আপনার হয়েছে। আপনি চাইলে এই পর্যায়ে বিজনেস থেকে ক্যাশ আউটও করতে পারেন। পুরোপুরি বা আংশিকভাবে। 
এই ধাপে রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে মনোযোগ দিতে হবে। র‍্যাপিড গ্রোথ শেষ হওয়ার পড়ে, কীভাবে এসেট ম্যানেজ করতে হবে, সেটাও ঠিক করতে হবে। কোম্পানি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত করলে সেটা ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাকচারের জন্য ভালো হবে কি না খতিয়ে দেখুন। ব্যবসা হালনাগাদ রাখার চেষ্টা করুন। অন্যান্য স্টার্টআপ যেন আপনার বড় কোম্পানি অতিক্রম করে আপনার ক্ষতি করতে না পারে, তাই ইনোভেশন করতে হবে। 

আপনার ব্যবসার স্পেসিফিক সমস্যার কথা বা এমন হাজার রকমের ভ্যারিয়েশন একটি আলোচনায় শেষ করা যাবে না। এক ব্যবসা থেকে আরেক ব্যবসার ব্যবসায়ের ধরন, গঠন, লক্ষ্য, পরিস্থিতি ভিন্ন রকম হয়। তাই নিজের বিশেষ পরিস্থিতি কীভাবে ম্যানেজ করবেন সেটা সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।

অনলাইন ব্যবসা


আপনার বিজনেজ প্লান সাজানঃ কোনো ব্যবসার শুরুতেই ব্যবসায়ের প্লান সাজিয়ে ফেলা উচিত। তার জন্য নিচের পয়েন্টগুলো মনে রাখতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের বর্ণনাঃ প্রতিষ্ঠানের বর্ণনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে সাধারণ তথ্যসমূহ। এছাড়া ব্যবসায়টি কেন করা হচ্ছে, কীভাবে করা হচ্ছে এবং অন্য ব্যবসায়ের সাথে এর মৌলিক পার্থক্য কী সেটার ব্যাখ্যা থাকে এই অংশে।
বাজার গবেষণাঃ ব্যবসায় কার্যক্রম শুরু করার আগেই গবেষণা কাজ করতে হয়। বাজারের সামগ্রিক অবস্থা, প্রতিযোগীদের অবস্থান, গ্রাহকদের মনোভাব বুঝতে বাজার গবেষণা করা জরুরি।

সংগঠন ও ব্যবস্থাপনাঃ প্রতিটি ব্যবসায় ভিন্ন ভিন্ন ভিত্তির ওপর নির্ভরশীল। কারো সাথেই কারো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো মিলে যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। তবে এর মধ্য থেকেই একটি সেরা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থাপনা কৌশলকে বেছে নিতে হবে।
সেবা ও পণ্যঃ প্রতিষ্ঠান কি পণ্য নিয়ে কাজ করবে? এই পণ্যটি গ্রাহকদেরকে কি নতুনত্ব উপহার দেবে এবং কীভাবে উপকৃত করবে? পণ্যটির সাধারণ ব্যবহারিক মেয়াদ কত? এইসব প্রশ্নের উত্তরই ব্যবসায় পরিকল্পনার এই অংশটিতে থাকবে।
বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয়ঃ নতুন পণ্য কীভাবে বাজারজাত করা হবে সেটি বলা হয় এই অংশে। বিক্রয় কৌশল এবং বাজারে সেটির প্রভাব কীরূপ হবে সেটি উল্লেখ করতে হবে এখানে।
অর্থায়নের অনুরোধঃ ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে যদি আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হয় তার বিশদ বিবরণ এবং কোন খাতে কত ব্যয় হবে তা এখানে লিখতে হবে।
অর্থলগ্নির সম্ভাব্য ফলাফলঃ কেউ যদি ব্যবসায়ে অর্থ বিনিয়োগ করে তাহলে সেই বিনিয়োগকারীকে বুঝাতে হবে ব্যবসায়টি লাভজনক। তাই এই অংশে ব্যবসায়টি কীভাবে আর্থিকভাবে সাফল্য পাবে তার প্রামাণ্য চিত্র বুঝিয়ে দিতে হবে।

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা এখন একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কম বিনিয়োগে শুরু করা সম্ভব এবং ইন্টারনেট থাকলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। আপনার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। নিজের তৈরি পণ্য, হস্তশিল্প, জামাকাপড়, গৃহস্থালী জিনিস। 

আপনি অনলাইনে মাধ্যমে ইন্টারনেটে বিক্রয় করতে পারবেন। বিভিন্ন জিনিসপত্র পাইকারি দামে কিনে অনলাইনে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার পণ্য গুলো দারাজ, বিক্রয়, ফেসবুক পেজ, Shopify এসব প্লাটফর্মে বিক্রয় করতে পারবেন।আপনার কাছে কোনো পণ্য না থাকলেও আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 
এখানে আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সরাসরি সরবরাহকারীর মাধ্যমে পণ্য পাঠাতে পারবেন। কোনো ইনভেন্টরির প্রয়োজন নেই। এসব Shopify, WooCommerce প্লাটফর্মেও আপনার কাজ করতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করে বিভিন্ন রকম করতে পারেন এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেও আয় করতে পারেন। 

আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে সেবা প্রদান করতে পারবেন, যেমনঃ
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • শ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • Fiverr
  • Upwork
  • Freelancer।
আশা করি আপনাদের ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা এবং অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম মত ফলো করুন আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন