ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায় কিনা এ বিষয়টি নিয়ে বেশিরভাগ সময়ে আমরা কনফিউশনে থাকি। মজার বিষয় হল বর্তমানে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের পাশাপাশি এমন অনেক কিছু কাজ রয়েছে যা মোবাইল দিয়ে ইজিলি করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ক্যারি করার ঝামেলা থাকে না। 
ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অনেক কাজ রয়েছে সেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার পাশাপাশি আরো যে ধরনের কাজ করা যেতে পারে সেগুলো জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন অথবা এখানে ক্লিক করুন।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়টি জানার পাশাপাশি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে অন্যান্য যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছেন সেগুলো হল ফেসবুক মার্কেটিং কি ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার, কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয়, ফেসবুক মার্কেটিং a to z সম্পর্কে জানতে পারবেন। সুতরাং ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানার জন্য অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।

ফেসবুক মার্কেটিং কি


ফেসবুক মার্কেটিং মূলত একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় অংশ হিসেবে অভিহিত করা যায়। আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কমবেশি সকলেই ধারণা রাখি। ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় সেক্টর যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কেননা বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প অন্য কিছু আর নেই। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি মূল বিষয় হলো ফেসবুক মার্কেটিং। 

একজন ডিজিটাল মার্কেটার তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করে। উক্ত ব্যবসায়ীর বা নিজস্ব ব্যবসার পণ্য বিক্রি এবং প্রচার প্রচারণা নিশ্চিত করে থাকে। কেউ যদি নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত করতে চায় তাহলে অবশ্যই কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখা প্রয়োজন। 

সাধারণত ফেসবুক মার্কেটিং একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অনলাইনে যেসকল ফেসবুক ইউজার রয়েছে সেই সকল টার্গেটেড ক্রেতাদের হোমপেজে অন্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন পৌঁছানোই ফেসবুক মার্কেটিং হিসেবে পরিচিত। তবে একজন ডিজিটাল মার্কেটের ফেসবুক মার্কেটিং সম্পূর্ণভাবে করার জন্য।
অবশ্যই টার্গেটেড অডিয়েন্স এবং লোকেশন সহ আরো অন্যান্য জটিল বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়। যাদের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার নেই তারা মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারবেন কিনা সেটাও আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। সুতরাং ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং এর আদ্যপ্রান্ত সকল বিষয় জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের কোন অংশ স্কিপ করবেন না।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার

ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন
ফেসবুক মূলত একটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হলেও। বর্তমান সময়ে এটি একটি ব্যবসায়ী প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২০২২ সালের একটি হিসেবে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা ৩ বিলিয়নের বেশি উল্লেখ করা হয়েছিল। যেহেতু ফেসবুকে একটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও যেমন সবার কাছে জনপ্রিয়। 

ঠিক তেমনি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক উন্নতিও করা সম্ভব হচ্ছে। তবে ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার হয় এই বিষয়টি একজন ফ্রিল্যান্সার বা ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে জানা খুবই জরুরী। একজন ডিজিটাল মার্কেটার সাধারণত দুই ভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করে থাকেন। তাহলে আমরা বলতে পারি ফেসবুক মার্কেটিং মূলত ২ প্রকার। প্রথমটি হল অর্গানিক উপায়ে এবং আরেকটি হল পেইড বিজ্ঞাপন উপায়। অর্গানিক উপায় পেইড বিজ্ঞাপন


ফেসবুক মার্কেটিং a to z

ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে মূল বিষয়বস্তু হিসেবে রেখেছি ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করা যাবে এই বিষয়টি নিয়ে। আমরা আজকে এখানে ফেসবুক মার্কেটিং a to z সম্পূর্ণভাবে দেখানোর চেষ্টা করব। অর্থাৎ কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় সে বিষয়টি নিয়ে যেন আর কোনরকম কনফিউশন না থাকে সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেল লেখা। 
আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ফেসবুক মার্কেটিং মূলত ২ ধরনের হয়ে থাকে। তাহলে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া গেল যে ফেসবুক মার্কেটিং ২ ভাবে পরিচালিত হয়েই মূলত সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছায়। সুতরাং একজন ডিজিটাল মার্কেটার যদি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি অথবা প্রচার করতে চায় তাকে ফেসবুক মার্কেটিং যে ২ ধরনের রয়েছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

চলুন তাহলে এবার ফেসবুক মার্কেটিং a to z বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখে ফেসবুক মার্কেটিং যে ২ ভাবে করা যাচ্ছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক।

অর্গানিক উপায়


ফেসবুক মার্কেটিং অর্গানিক উপায় বিষয়টি হলো সাধারণত ফেসবুকের পেজে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে এনগেজমেন্টের বিষয়টিকে অর্গানিক উপায় হিসেবে বলা হচ্ছে। আবার ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং ও অনেকটা অর্গানিক উপায়ের মধ্যেই পড়বে। ধরুন আপনি যে পণ্য অথবা সার্ভিসের মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কিত সার্ভিস অথবা পণ্যের গ্রুপে এড হয়ে সেখানে নিয়মিত পোস্ট করে পণ্য বিক্রি এবং প্রচার-প্রচারণার কাজ করা হয়ে থাকে। এই বিষয়টিও অর্গানিক উপায় এর মধ্যেই আসবে। সাধারণত অর্গানিক উপায়ে সেল করার বিষয়টি খুব একটা জনপ্রিয় না।

বর্তমান সময়ে এটির খুব একটা ফলাফল ভালো হিসেবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ ২০২৪ সালে এসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো চেঞ্জ করার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে পেইড বিজ্ঞাপন ব্যতীত অর্গানিক উপায়ে খুব কম সংখ্যক ক্রিয়েটর তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে। 

যারা নতুন ব্যবসায়ী তাদের ক্ষেত্রে অর্গানিক উপায়ে পণ্য অথবা সার্ভিস বিক্রি করা খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। অর্গানিক উপায় এর মূল মন্ত্র হচ্ছে ফেসবুক ফলোয়ার। কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় বা পরিচালিত হবে এ বিষয়টি অনেকটা নির্ভর করে ফেসবুক পেজের কতগুলো লিগ্যাল ফলোয়ার রয়েছে।
তবে যারা মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অর্গানিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। 
কেননা মোবাইল দিয়ে অর্গানিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং খুব ভালোভাবে করা সম্ভব। কিন্তু পেইড বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার দিয়ে এড রান অথবা পোস্ট বুস্টিং করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় বলে অনেকে দাবি করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে অনেক এডভান্স লেভেলের মোবাইল ফোন রয়েছে যেগুলো দিয়ে এড ম্যানেজার এর মাধ্যমে সকল ধরনের এড সেটআপ পরিচালনা করা যাচ্ছে।

পেইড বিজ্ঞাপন


অর্গানিক পোস্টে যেমন অডিয়েন্স এর কাছে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপনটি পৌঁছানোর জন্য কোন রকম অর্থ খরচ করতে হয় না। কিন্তু পেইড বিজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি অর্থ প্রতিদিন খরচ করতে হয়। পেইড বিজ্ঞাপনের মধ্যে সাধারণত পোস্ট বুষ্টিং, ফেসবুকে অ্যাড, রি টার্গেটিং অ্যাড এগুলো পরিচালনা করা হয়ে থাকে। 

পোস্ট বুষ্টিং হল ফেসবুকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আরো বেশি বেশি মানুষের কাছে পণ্যটির বিজ্ঞাপন তুলে ধরা। facebook অ্যাড হল নির্দিষ্ট পণ্যকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পরিচালনা করা এবং সঠিক অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো।

আবার রি টার্গেটিং এড হল যারা আপনার পেজে অলরেডি এনগেজ হয়েছে। তাদেরকে আবার পুনরায় টার্গেট করে ফেসবুকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সেই সকল অডিয়েন্সকে পুনরায় বিজ্ঞাপন দেখানো। যে সকল ব্যবসায়ী নতুন তাদের ব্যবসা অনলাইনে প্রচার অথবা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রে পেজ বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা অথবা বিক্রির সেরা মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে অ্যাডভান্স লেভেলের মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং খুব সহজেই করা যাচ্ছে।

সুতরাং ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং কত প্রকার হয়ে থাকে সেই বিষয়টি যেমন বুঝা গেল। ঠিক তেমনি ব্যবসা পরিচালনা অথবা বিক্রি-বৃদ্ধি করার জন্য অর্গানিক উপায়ের চেয়ে, পেইড বিজ্ঞাপন পদ্ধতিতে বেশি সেল এবং প্রচার প্রচারণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। চলুন তাহলে এবার কেন ফেসবুক মার্কেটিং শিখবেন সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।


কেন ফেসবুক মার্কেটিং শিখবেন

ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন


আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে একটি বিষয় নিশ্চিত হতে পেরেছেন যে ফেসবুক মার্কেটিং এর ডিমান্ড বর্তমান সময়ে কতটা রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে শুধুমাত্র কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন। 
তাহলে আমরা মনে করি মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসে বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও পূর্বে মানুষ ফেসবুক সাধারণত যোগাযোগের মাধ্যম অথবা রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহ অন্যান্য সকল বিষয় জানার জন্য ব্যবহার করে থাকত। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম টি বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষদের কাছে পৌঁছানো শুরু করলো। 

আর এই বিপ্লবের কারণেই বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবসায়ীরা ফেসবুক মার্কেটিং কে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে নিয়েছে। ফেসবুক এমন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে সকল বয়সী মানুষ অডিয়েন্স হিসেবে পাওয়া যায়। সুতরাং আপনি যেই অন্য অথবা সার্ভিস বিক্রি করতে চাচ্ছেন না কেন সেই সার্ভিস অথবা পণ্যের সঠিক অডিয়েন্স আপনি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখেন তাহলে পণ্য বিক্রি করার জন্য ফেসবুকের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ট্রাফিক এবং অ্যাপ ইন্সটল বাড়ানোর মত বিভিন্ন কাজ নিমিষেই করা সম্ভব। যদি কারো একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেক্ষেত্রেও ভিউ বাড়ানোর জন্য ফেসবুকের শরণাপন্ন হওয়া যায়। সুতরাং বলা বাহুল্য যে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ডিজিটাল মার্কেটাররা ফেসবুককে মার্কেটিং এর একটি অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে ধরে নিয়েছে।

যদি কারো ওয়েবসাইটের ট্রাফিক, ভিজিটর এবং প্রোডাক্ট, সার্ভিসের বিক্রয় বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় সে বিষয়টি জেনে উক্ত প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস খুব সহজেই বিক্রি নিশ্চিত করা যায়।

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং


মোবাইল এর মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে পরিচালনা করা যাবে অথবা মোবাইল দিয়ে ভালো ফলাফল আসবে কিনা এ নিয়ে আমরা কনফিউশনে থাকি। চলুন তাহলে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে এবং সঠিক উপায়ে করা যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যেহেতু অনেকেরই ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকেনা। 

কিন্তু তারা চায় মোবাইল দিয়ে কিভাবে সঠিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং করা যাবে এই বিষয়টি। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে একটি প্রফেশনাল মানের ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ বলতে ফেসবুক পেজের কভার ফটো এবং প্রোফাইল পিকচার অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে। 

বিশেষ করে প্রোফাইল ফটো ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলের উপরের অংশ পড়ে থাকেন তাহলে আমরা উল্লেখ করেছিলাম ফেসবুক মার্কেটিং সাধারণত ২ ভাবে করা যায়। অর্গানিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং খুব সহজভাবেই মোবাইল দিয়ে পরিচালনা করা যাবে। 
অর্গানিক উপায়ে ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট এবং শেয়ারের মাধ্যমে উক্ত কোম্পানির পণ্য বিক্রি অথবা সার্ভিস প্রচার প্রচারণার কাজটি ইজিলি করা যাবে। আর এ সকল কাজের জন্য কোন রকম চার্জ ফেসবুকে দিতে হবে। কিন্তু পেইড মার্কেটিং অর্থাৎ টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন পরিচালনা করানোর জন্য অবশ্যই একটি ল্যাপটপের বা কম্পিউটার প্রয়োজন হতে পারে। 

অনেক সময় শুধুমাত্র পোস্ট বুস্টিং করার ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব। আপনি আপনার পেজে ঢুকলে পোষ্টে নিচে ডানদিকে কর্নারে "Bost' নামের অপশন পেয়ে যাবেন। তবে পোস্ট বুষ্টিং করার জন্য মোবাইল এর ব্যবহার করার পাশাপাশি অবশ্যই ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকতে হবে যেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হবে।

তবে যারা নতুন ব্যবসায়ী রয়েছেন যদি ধৈর্য ধরতে না পারেন তাহলে সরাসরি পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন। যদি আপনি ধৈর্য সহকারে ফ্রি মার্কেটিংগুলো নিয়মিত করে যান তাহলে একসময় দেখা যাবে অর্গানিকভাবে আপনার প্রচুর পরিমাণ সেল আসতেছে।

ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স


ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে কেউ যদি সম্পূর্ণ ধারণা নিতে চায় অর্থাৎ কিভাবে একজন এক্সপার্ট লেভেলের ফেসবুক মার্কেটার হওয়া যাবে এ বিষয়টি জানার জন্য অবশ্যই ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করার প্রয়োজন। আর এ ধরনের কোর্স করার জন্য অর্থাৎ মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স খুব সহজেই শিখতে পারবেন। 
ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানুন
যেকোনো একটি ভালো মানের আইটি সেন্টার থেকে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স ইনরোল করে মোবাইলে ভিডিও গুলো দেখে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। সে সকল আইটি সেন্টার বেসিক লেভেলে ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং কত প্রকার সে বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশাপাশি আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলের উপরের অংশে লক্ষ্য করেন আমরাও ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে সর্ব প্রথমে বেসিক লেভেলের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

এর পরের অংশগুলোতে মার্কেটিং এর ভিত্তিতে ফেসবুক কিভাবে কাজ করে সেগুলো জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স সাধারণত ৩ মাস থেকে ৪ মাস মেয়াদী হয়ে থাকে। আপনি যদি একটি ভাল মানের আইটি সেন্টার থেকে কোর্স ক্রয় করেন অথবা ভর্তি হন তাহলে এই সময়ের মধ্যে আপনি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার বা ফেসবুক মার্কেটার হতে পারবেন।

বর্তমানে 10 Minute School, Ordinary IT, CBA IT তারা খুব ভালোভাবে শিক্ষার্থীদের কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় এই বিষয়টি শিখিয়ে দিচ্ছে। আপনারা চাইলে এ সকল ভাল মানের আইটি সেন্টারে দেখে শুনে ভর্তি হতে পারেন।

শেষের কথা


বন্ধুগণ আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে আজকে যে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করা যাবে সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। 

এরপরেও ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আপনাদের যদি কোন রকম কনফিউশন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ের অনেক আর্টিকেল ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে। ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। পাশাপাশি আজকের আর্টিকেলটি অর্থাৎ কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয় এই বিষয়বস্তুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন