হৃদস্পন্দক বা পেসমেকার (Pacemaker) - যান্ত্রিক পেসমেকার কার্যক্রম
বর্তমান যুগে উরাধুরা রুটিনের ফলে অনেকেই হার্ট এর সমস্যায় ভুগেন। আবার অন্যান্য কারণেও অনেকের হৃদপিণ্ড দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন করতে পারেনা। আপনার হার্ট এর সমস্যা সম্পর্কে যেন বুঝতে পারেন সেই কারণেই নিচের আর্টিকেলটি লিখা।
নিচের কারণ ও লক্ষণ পড়ে আপনার যদি মনে হয় যে আপনার হার্টের সমস্যা আছে তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন কার্ডিওলজিস্ট এর সাথে পরামর্শ করতে হবে।
হার্ট ফেইলিউর (Heart Failure) কি
হৃৎপিন্ড যখন দেহের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত রক্তের যোগান দিতে পারে না তখন এ অবস্থাকে হার্ট ফেইলিউর বলে। অনেক সময় হৃৎপিন্ড রক্তে পরিপূর্ণ হতে না পারায়, কখনওবা হৃৎপ্রাচীরে যথেষ্ট শক্তি না থাকায় এমনটি হতে পারে বলেছ ক্ষেত্রে উভয় সমস্যাই একসঙ্গে দেখা যায়। অতএব হার্ট ফেইলিউর মানে হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে গেছে, বা থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে তা নয়। তবে হার্ট ফেইলিউরকে হৃৎপিন্ডের একটি মারাত্মক অবস্থা বিবেচনা করে সুচিকি শোনে কযাওয়ার হয়েছে।
হার্ট ফেইলিউরের কারণ
বিভিন্ন কারণে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে। যেমন-
- ১. হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের জন্য।
- ২. উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের জন্য।
- ৩. হৃৎপিণ্ডের কপাটিকার রোগ হলে।
- ৪. ইসকেমিক হৃদরোগ হলে অর্থাৎ করোনারি ধমনিতে ব্লক হলে।
- ৫. হৃৎস্পন্দনের ছন্দোপতন হলে।
- ৬. অতিমাত্রায় রক্ত শূন্যতার জন্য।
- ৭. ধূমপান ও মদ্যপানের জন্য।
- ৮. অত্যধিক মানসিক চাপ, বার্ধক্যজনিত কারণে, জেনেটিক কারণে ইত্যাদি।
হার্ট ফেইলিউরের লক্ষণ
- ১. সক্রিয়, নিষ্ক্রিয় এমনকি ঘুমের মধ্যেও শ্বাসকষ্টে ভোগা এবং ঘুমের সময় মাথার নিচে দুটি বালিশ না দিলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
- ২. সাদা বা গোলাপি রঙের রক্তমাখানো মিউকাসসহ স্থায়ী কাশি বা ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস-প্রশ্বাস।
- ৩. শরীরের বিভিন্ন জায়গার টিস্যুতে তরল জমে ফুলে উঠে।
- ৪. পা, গোড়ালি, পায়ের পাতা, উদর ও যকৃত স্ফীত হয়ে যায়। জুতা পরতে গেলে হঠাৎ আঁটসাট মনে হয়।
- ৫. প্রতিদিন সব কাজে, সবসময় ক্লান্তিভাব। বাজার-সদাই করা, সিঁড়ি দিয়ে উঠা, কিছু বহন করা বা হাঁটা
- সবকিছুতেই শ্রান্তিভাব।
- ৬. পাকস্থলি সব সময় ভরা মনে হয় কিংবা বমি ভাব থাকে।
- ৭. হৃৎস্পন্দন এত দ্রুত হয় মনে হবে যেন হৃৎপিন্ড এক প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
- ৮. কাজ-কর্ম, চলনে অসামঞ্জস্যতা এবং স্মৃতিহীনতা প্রকাশ পায়।
হার্ট ফেইলিউরের প্রতিকার
অসুখের শুরুতেই হার্ট ফেইলিউরের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে এবং প্রতিকার সম্বন্ধে সতর্ক হলে রোগীর তেমন সমস্যা থাকে না, সক্রিয় জীবন যাপনেও কোনো কিছু বাধা হয় না। হার্ট ফেইলিউরে আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত ৩ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হয়।
১. জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তনঃ স্বাস্থ্যসম্মত আহার হচ্ছে রোগীদের প্রধান অবলম্বন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা দেখে নিয়মিত সুষম পানাহার করা উচিত।
২. ওষুধ গ্রহণঃ হার্ট ফেইলিউরের ধরন দেখে চিকিৎসক যে সব ওষুধ নির্বাচিত করবেন নিয়মিত তা সেবন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে।
৩. অন্যান্য চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াঃ হার্ট ফেইলিউর যেন খারাপের দিকে মোড় না নেয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে বিভিন্ন শারীরিক অব্যবস্থাপনা সারিয়ে তুলতে হবে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যেমন- শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে টিস্যুতে পানি জমে থাকা। চিকিৎসককে বলতে হবে কখন ওজন পরীক্ষা করাতে হবে এবং ওজন পরিবর্তন সম্বন্ধে ব রিপোর্ট করতে হবে।
উল্লিখিত ৩টি প্রতিকার পদ্ধতিতে কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শল্যচিকিৎসা বা অন্য কোনো ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহ (Risk Factors of Coronary Heart Disease)
১. বয়সঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ধমনির সংকীর্ণতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
২. লিঙ্গঃ পুরুষেরা সাধারণত করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে । তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোপজের পর ঝুঁড়ি বাড়ে।
৩. পারিবারিক ইতিহাসঃ হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস রোগ সৃষ্টির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত বাবা বা ভাই এর ক্ষেত্রে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তবে মা বা বোনের ক্ষেত্রে ৬৫ বৎসর বয়সের মধ্যে ঝুঁকি থাকে।
৪. ধুমপানঃ নিকোটিন রক্তনালির সঙ্কোচন ঘটায় এবং CO রক্তনালির অন্তঃপর্দাকে নষ্ট করে দেয়। ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (atherosclerosis) এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫. উচ্চ রক্তচাপঃ নিয়ন্ত্রণহীন উচ্চ রক্তচাপের কারণে রক্তনালির পুরুত্ব বাড়ে এবং ঋজুতা বৃদ্ধি পায় ফলে নালির সংকীর্ণতা ঘটে।
৬. কোলেস্টেরলের উচ্চমাত্রাঃ রক্ত কোলেস্টেরলের উচ্চমাত্রা অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (atherosclerosis) সৃষ্টি করে।
৭.ডায়াবেটিকসঃ ডায়াবেটিকস করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৮. স্থূলতাঃ স্থুলতা বা স্বাভাবিকের চেয়ে দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকি বাড়ে।
৯. শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাঃ শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকলে রোগের ঝুঁকি বাড়ে। . বিকিরণ চিকিৎসা: ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রেডিয়েশন হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
১০. হৃদরোগের চিকিৎসার ধারণা (The Concept of the Treatment of Heart Diseases)
হৃদরোগ নির্ণয়
নিচে বর্ণিত উপায়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হৃদরোগ নির্ণয় করতে পারেন।
১. চিকিৎসকগণ হার্ট বিটের হার বৃদ্ধি, হৃৎপিণ্ডের অস্বাভাবিক শব্দ, পা ফুলে যাওয়া, ঘাড়ের শিরা ফুলে যাওয়া, যকৃত বড় হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখে হৃদরোগ সহজেই নির্ণয় করতে পারেন।
২. বুকের X-ray করানোর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের অবস্থা জানা যায়।
৩. ইসিজি (Electrocardiogram) হৃৎপিণ্ডের প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে।
৪. ইটিটি (Exercise Tolerance Test)-র সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের অবস্থা বা কার্যক্ষমতা ভালোভাবে জানা যায়।
৫. রক্তের BNP (Brain Natriuretic Peptide) পরীক্ষার মাধ্যমে হার্ট ফেইলিউর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
৬. করোনারি এনজিওগ্রাম-এর সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে কোনো ব্লক আছে কিনা তা দেখা হয়।
আরো পড়ুনঃ হৃদরোগের বিভিন্ন অবস্থায় করণীয়
৭. হৃৎপিণ্ডের পেশির অবস্থা জানা যায় MRI (Magnetic Resonance Imaging) পরীক্ষার মাধ্যমে।
৮. উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করা ও চর্বির পরিমাণ নির্ণয়ের পরীক্ষা করে হৃদরোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
৯. হার্ট অ্যাটাক হলে Troponion-I পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।
আধুনিক বিশ্বে হৃদরোগের গবেষণার ফসল হিসেবে বেশ কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। নিচে এমন কয়েকটি চিকিৎসা ব্যবস্থার ধারণা সম্পর্কে আমের চিকিৎসা ব্যবস্থ
হৃদস্পন্দক বা পেসমেকার (Pacemaker)
হৃৎপিন্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম-প্রাচীরের উপর দিকে অবস্থিত, বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃদস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দোময়তা বজায় রাখে তাকে হৃদস্পন্দক বা পেসমেকার বলে। মানুষের হৃৎপিন্ডে সাইনো-অ্যাট্রিয়াল নোড (sino-atrial node) হচ্ছে পেসমেকার।
এটি অকেজো বা অসুস্থ হলে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে কম্পিউটারাইজড বৈদ্যুতিক যন্ত্র দেহে স্থাপন করা হয় তাকেও পেসমেকার বলে। অতএব, পেসমেকার দুধরনের- এ একটি হচ্ছে হৃৎপিন্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশরূপী সাইনো-অ্যাট্রিয়াল নোড (SA নোড) যা প্রাকৃতিক পেসমেকার নামে পরিচিত; অন্যটি হচ্ছে যান্ত্রিক পেসমেকার, এটি অসুস্থ প্রাকৃতিক পেসমেকারকে নজরদারির মধ্যে রাখে। প্রাকৃতিক পেসমেকারের কার্যক্রম কার্ডিয়াক চক্রের অধীনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এখানে হৃদরোগের চিকিৎসার ধারণা ব্যাখ্যায় যান্ত্রিক পেসমেকার কার্যক্রম সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
যান্ত্রিক পেসমেকার কার্যক্রম (Artificial Pacemaker Activities)
অসুস্থ ও দুর্বল হৃৎপিণ্ডে বিদ্যুৎ তরঙ্গ সৃষ্টি করে স্বাভাবিক স্পন্দন হার ফিরিয়ে আনার ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশে বুকে বা উদরে চামড়ার নিচে স্থাপিত ছোট এক বিশেষ যন্ত্রকে পেসমেকার বলে। দেহকে সুস্থ, সবল ও সক্রিয় রাখতে হলে - হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় ও নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত জরুরী। হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা পরিমাপের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে হৃৎস্পন্দনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর লয় বা দ্রুত গতিসম্পন্ন কিংবা অনিয়ত হলে অর্থাৎ অস্বাভাবিক স্পন্দন হলে তাকে অ্যারিথমিয়া (arrhythmia) বলে। এমন অবস্থায় মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় বা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। প্রচন্ড অ্যারিথমিয়ায় দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
পেসমেকার ব্যবহারে সব ধরনের অ্যারিথমিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, বাকি জীবন সক্রিয় থাকা যায়। দুজন আমেরিকান বিজ্ঞানী William Chardack এবং Wilson Greatbatch, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে দেহে স্থাপনযোগ্য পেসমেকার আবিষ্কার করেন।
যান্ত্রিক পেসমেকারের গঠন
একটি লিথিয়াম ব্যাটারি, কম্পিউটারাইজড জেনারেটর ও শীর্ষে সেন্সরযুক্ত কতকগুলো তার নিয়ে একটি পেসমেকার গঠিত। সেন্সরগুলোকে ইলেকট্রোড (electrode) বলে। ব্যাটারি জেনারেটরকে শক্তি সরবরাহ করে। ব্যাটারি ও জেনারেটর একটি পাতলা ধাতব বাক্সে আবৃত থাকে। তারগুলোর সাহায্যে জেনারেটরকে হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ইলেকট্রোডগুলো হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক কর্মকান্ড শনাক্ত করে তারের মাধ্যমে জেনারেটরে প্রেরণ করে।
পেসমেকারে অপরিরাহী আবরণযুক্ত (insulated) ১-৩টি তার থাকে। পেসমেকারের তারকে লিড (lead) বলে। হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে তার (লিড) প্রবেশের ধরন অনুযায়ী পেসমেকার নিচে বর্ণিত ৩ রকম।
১. এক-প্রকোষ্ঠ পেসমেকার (Single-chamber pacemaker): এ ধরনের পেসমেকারে একটি তার বা লিড থাকে যা জেনারেটর থেকে হৃৎপিণ্ডের শুধু ডান অ্যাট্রিয়াম (অলিন্দ) বা ডান ভেন্ট্রিকল (নিলয়)-এ বিদ্যুৎ তরঙ্গ বহন করে।
২. দ্বি-প্রকোষ্ঠ পেসমেকার (Dual-chamber pacemaker) : এ ধরনের পেসমেকারে দুটি তার (লিড) থাকে যা জেনারেটর থেকে হৃৎপিণ্ডের দুটি প্রকোষ্ঠে অর্থাৎ ডান অ্যাট্রিয়াম ও ডান ভেন্ট্রিকলে বিদ্যুৎ তরঙ্গ বহন করে।
৩. ত্রি-প্রকোষ্ঠ পেসমেকার (Triple-chamber pacemaker): এ ধরনের পেসমেকারে তিনটি তার (লিড) গায়ে যার একটি জেনারেটর থেকে ডান অ্যাট্রিয়ামে, আরেকটি ডান ভেন্ট্রিকলে এবং অন্যটি বাম ভেন্ট্রিকলে বিদ্যুৎ তরঙ্গ বহন করে। এটি অত্যন্ত দুর্বল হৃৎপেশির হৃৎপিণ্ডে স্থাপন করা হয় (না হলে হার্ট ফেইলিউরের আশয়া থাকে)। পেসমেকার এক্ষেত্রে ভেন্ট্রিকলদুটিকে সংকোচন ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে রক্তপ্রবাহে উন্নতি ঘটায়।
পেসমেকার যেভাবে কাজ করে
জেনারেটরের কম্পিউটার-চিপ এবং হৃৎপিণ্ডে যুক্ত সেন্সরবাহী তার ব্যক্তির চলন, রক্তের তাপমাত্রা, শ্বসন ও বিভিন্ন শারীরিক কর্মকাণ্ড মনিটর করে। প্রয়োজনে কর্মকান্ডের ধারা অনুযায়ী হৃৎপিণ্ডকে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে পেসমেকার ঠিক করে দেয় কোন ধরনের বিদ্যুৎ তরঙ্গ লাগবে এবং কখন লাগবে।
যেমন-পেসমেকার ব্যক্তির ব্যায়াম করার বিষয়টি বুঝতে পেরে হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এসব উপাত্ত পেসমেকারে রক্ষিত থাকে যা দেখে চিকিৎসকেরা পেসমেকারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারেন। কম্পিউটারের সাহায্যেই যেহেতু পেসমেকারের প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনা যায় তাই পেসমেকারে ছুরি-কাঁচি চালানোর প্রয়োজন পড়ে না। পেসমেকারের ব্যাটারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মেয়াদ থাকে ৭-১০ বছরের মতো।