অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ভালো পণ্যগুলো কীভাবে নির্বাচন করবেন
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ভালো পণ্যগুলো কীভাবে নির্বাচন করবেন এবং অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য সবার আগ্রহ আছে এমন পণ্য নির্বাচন করুন এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্নে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বর্তমান উৎপাদনব্যবস্থা
এবং অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বিশেষায়িত পণ্য নির্বাচন। এছাড়া আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের সমন্ধে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো সেইগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ভালো পণ্যগুলো কীভাবে নির্বাচন করবেন?
২০২১ সালে অনলাইন ল্যান্ডস্কেপটির এখানে একটি প্রতিরূপ তুলে ধরা হলোঃ
- ব্যাপক মাত্রার প্রতিযোগিতা
- পণ্যের বাজারগুলো সম্পৃক্ত
- গ্রাহকরা আগের চেয়ে অধিক সুবিধা দাবি করছেন
- কোনো অনলাইন স্টোর বা এমনকি আপনার সংস্থার নাম ডিজাইন
- অভিজ্ঞতা
ব্যবসার একদম শুরুতেই আপনি কোন পণ্য নিয়ে কোন উপায় অবলম্বন করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন তা নির্ধারণ করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনি কোন পণ্য নিয়ে কাজ করবেন তার ওপর আপনার ব্যবসায়ের বাকি সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করে এবং আপনার ব্যবসাকে প্রভাবিত করে। যেমনঃ
- পরিচিতিমূলক নাম,
- ওয়েবসাইট ডিজাইন,
- মার্কেটিং
- কাস্টমার লয়ালিটি প্রোগ্রাম এবং
- ভালোভাবে ক্রেতার হাতে পণ্যর ডেলিভারি
এই প্রতিটি উপাদান একটি সফল অনলাইন কৌশলের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু গ্রাহককে পরিপূর্ণ আত্মতৃপ্তি দেবার জন্য পণ্যর মান এবং তার উপস্থাপনের ওপর অনেক গুরুত্ব দিতে হবে। আসুন এবার অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ভালো পণ্যটি কীভাবে নির্বাচন করতে পারি সে সম্পর্কে একটু জানি
আমি অনলাইনে কী ধরনের পণ্য বিক্রয় করতে পারি?
আপনি যেই ইন্ডাস্ট্রিতেই থাকুন না কেন, দুটি ধরনের পণ্য আপনি বিক্রয় করতে পারবেনঃ
সাধারণ পণ্য এবং বিশেষায়িত পণ্য
সাধারণ পণ্য
অনলাইনে সব ধরনের পণ্য বা সেবা বিক্রি করা যায় যা। পণ্য ভিজ্যুয়াল হোক বা ডিজিটাল বিক্রি উপযোগী করে প্যাকিং ও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সকল ধরনের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা যায়। তার জন্য আগের থেকে মার্কেট স্টাডি করা দরকার। মার্কেট যাচাই-বাছাই করে চাহিদা অনুযায়ি প্রোডাক্ট বাছাই করলে অনলাইনে সহজেই সেল করা সম্ভব।
মার্কেট যাচাইয়ের সময় আপনি অনলাইনের জনপ্রিয় সেলিং সাইট যেমন দারাজ বা চালডালে যে সকল বড় ব্র্যান্ড রয়েছে-খাবার, জামা-কাপড়, বাচ্চাদের খেলনা ইত্যাদি সম্পর্কে চিন্তা করুন। এতে করে আপনি মার্কেট সম্পর্কে সহজেই একটা ধারণা নিতে পারবেন।
বিশেষায়িত পণ্য
বিশেষায়িত পণ্য হলো এমন পণ্য বা সেবা যা নির্দিষ্ট গ্রাহক বেস এবং পণ্য বিভাগকে কেন্দ্র করে উপস্থাপন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এ পণ্যগুলো একজাতীয় বা হাতে বানানো পণ্য হয়। বর্তমান সময় হাতে বানানো পণ্যগুলোর চাহিদা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষায়িত পণ্যগুলো সাধারণত অল্প পরিমাণে বা চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হয়।
তবে অনেক স্টোরের মালিক তাদের মুনাফার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সাধারণ পণ্য এবং বিশেষায়িত পণ্যগুলির সংমিশ্রণ করে অনলাইনে সেল করে। আপনার অনলাইন ব্যাবসাটি যদি অ্যামাজানের মতো বড় বড় অনলাইন সেলিং সাইটের পণ্যের সমজাতীয় পণ্য হয় তবে শুধু সাধারণআইটেম দিয়ে একটি নতুন ব্যবসা দাঁড় করানো একটু কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
বড় বড় অনলাইন খুচরা বিক্রেতা এবং মার্কেট প্লেসগুলো প্রচুর পরিমাণে আইটেম কিনতে পারে। তাদের ব্যবসায় প্রচুর যোগান থাকে। তারা কাস্টমারকে পণ্যের ভিন্নতা দেয় এবং সময় উপযোগী পণ্য সরবরাহ নিশ্চয়তা দেয়। তাই সাফল্যের জন্য এবং আপনার অনলাইন শপটির পরিপূর্ণ সেট আপ করার জন্য অন-ব্র্যান্ড অভিজ্ঞতা সরবরাহ করার সময় আপনার গ্রাহকদের কাছে সাধারণ পণ্য এবং বিশেষায়িত পণ্য- এ দু'ধরনের পণ্যই সরবরাহ করুন।
আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়
বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে আপনি দেখতে পারবেন তারা শুধু উৎপাদিত পোশাক বিক্রি করার মধ্যে তাদের ব্যাবসা সীমাবদ্ধ রাখেনি। তারা তাদের মূল পণ্যগুলোর সাথে নানা ধরনের বিশেষায়িতপণ্যও বিক্রি করছে। যার ফলে তাদের ব্যবসা বিশ্বজুড়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করতে সক্ষম হচ্ছে। সাধারণ পণ্য এবং বিশেষায়িত পণ্য উভয় পণ্য সরবরাহ করে, তারা তাদের অনলাইন স্টোরকে উভয় প্রকারের পণ্য ক্রয়ের জন্য একক স্টোরের খোঁজ করে এমন গ্রাহকদের কাছে সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য আপনি কী পণ্য বিক্রয় করবেন তা কীভাবে নির্বাচন করবেন?
নতুন অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগে সবার আগে আমাদের মাথায় যে প্রশ্নটি আসে সেটি হলো আমরা কী পণ্য বিক্রি করব? কী পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করব তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করার জন্য একটি পণ্য ব্রেইনস্টর্ম চেকলিস্ট দেখে নেই অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য কোনো সমস্যা সমাধান করে এমন পণ্যগুলো শনাক্ত করুন বা তৈরি করুন একটি অনলাইন ব্যবসার অনেকগুলো পার্ট থাকে যেমন: ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং, ডেলিভারি, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
এই পার্টগুলোর প্রত্যেকটির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে আপনি অনলাইনে কী বিক্রি করবেন তার সাথে। তার মানে যদি আপনার প্রোডাক্ট নির্বাচনে ভুল হয় তাহলে পরবর্তীতে প্রত্যেকটি ধাপে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন সময়। হাজারো প্রোডাক্ট থেকে আপনার জন্য কোনটা সঠিক সেটা ঠিক করা অবশ্যই অনেক কঠিন একটি কাজ।
আরো পড়ুনঃ একটি মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করা
পণ্য নির্বাচনের সময় সে পণ্যের বৈশিষ্ট্য, বাজার চাহিদা, যোগান ক্ষমতা এসব বিষয় বিবেচনা করা উচিত। প্রকৃতপক্ষে কোনো গ্রাহক কেবল মাত্র কোনো পণ্য কিনার জন্য অর্থ ব্যয় করেন না। একজন গ্রাহক কোন পণ্য দ্বারা তার কতটা চাহিদা পূরণ হয় বা সমস্যা সমাধান হয় তা বিবেচনা করে এবং সে সুবিধাটি কিনার জন্য অর্থ ব্যায় করতে রাজি হন।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য সবার আগ্রহ আছে এমন পণ্য নির্বাচন করুন
সবার আগ্রহ আছে এ জাতীয় পণ্য নির্বাচন করে ব্যবসা শুরু করলে, প্রথম থেকেই খুব ভালো সাড়া পাওয়া যায়। সবার আগ্রহ আছে এ জাতীয় পণ্যের মাধ্যমে সহজেই ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করা যায় এবং গ্রাহক ধরে রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ব্র্যান্ডিং সম্ভাবনা আছে এমন পণ্যগুলো নির্বাচন করুন
আপনি এমন একটি সম্ভাব্য পণ্য শনাক্ত করেছেন, যা গ্রাহকদের সমস্যা সমাধান করে এবং আবেগের জায়গা থেকে আসে। তো এরপর কী? এরপর আপনার প্রধান কাজ থাকবে ঐ পণ্যটির ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করা। একটি প্রতিষ্ঠান তখনই পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করতে পারে যখন তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু সৃষ্টি হয়। তাই এ বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। ব্র্যান্ড ভ্যলু সৃষ্টি হলে আপনার স্টোরের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং আপনার স্টোরেই গ্রাহক বারবার ফিরে আসবেন।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য সময়
থাকার পরও প্রতিযোগীর তুলনায় পণ্য উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ করতে অনেকে সময় দেখা যায় কোম্পানির ভালো পণ্য, ধারণা বা পর্যাপ্ত মূলধন সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সবকিছু থাকার পরও প্রতিযোগীরা বাজার দখল করে নেয়। তাই যথাযথভাবে পণ্য বিপণন করতে হলে পণ্য নির্বাচনের সময়ই এ ব্যাপারটা ভাবতে হবে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আইন
পণ্য নির্বাচন করতে গেলে সামাজিক আচার বা ধর্মীয় বিধানও মাথায় রাখতে হয়। একই সাথে খেয়াল রাখতে হয় যেন পণ্যেটি রাষ্ট্রীয় আইনের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। যেমন পরিবেশের জন্য ক্ষতির পণ্য পলিথিনের উৎপাদন, উন্নয়ন বা বিপণন আইনবিরুদ্ধ কাজ; আবার কোমল পানির নামে মদ বিক্রি করা সমাজ ও রাষ্ট্রবিরুদ্ধ কাজ।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বর্তমান উৎপাদনব্যবস্থা
বাজারে আপনার নির্বাচিত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে ভাবতে হবে তার বর্তমান উৎপাদনব্যবস্থায় পণ্যের উন্নয়ন সম্ভব কি না। অনেক সময় নির্বাচিত পণ্যের উৎপাদনসংক্রান্ত কোনো সমস্যার কারণে ব্যবসায় দারুন ধস নামতে পারে। তাই শুরুতেই পণ্যের উৎপাদন ও যোগান সম্পর্কে নিশ্চিত থাকতে হবে।
বণ্টনব্যবস্থা
নির্বাচিত পণ্যটি যদি সঠিকভাবে বণ্টনব্যবস্থা করা না যায় তাহলে চাহিদা থাকলেও পণ্যটি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাবে না। তাই পণ্য নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখতে হবে প্রচলিত বন্টনব্যবস্থা ঠিক কতটা কার্যকর। কাংখিত সব ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই পণ্য নির্বাচন করা উচিত।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বিদ্যমান বাজার কাঠামোর সাথে সামঞ্জষ্যতা
বিদ্যমান বাজার কাঠামোর বাইরে কোনো পণ্য উৎপাদন করলে সে ক্ষেত্রে ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পণ্য উৎপাদন করতে গেলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে পণ্যের উন্নয়ন করতে হবে। আবার কোন ধরনের নকশা বা আকারের পণ্য মানুষ পছন্দ করে সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য প্রচলিত ট্রেন্ড
মার্কেটে আমরা সবসময়ই দেখি পণ্যের ধরন, নকশা ও প্যাটার্ন পরিবর্তন হচ্ছে যার নাম হলো 'ট্রেন্ড'। কখনো ধীরে ধীরে আবার কখনো দ্রুত আবার কখনো একেবারেই থেমে থেমে ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়।মার্কেটে যখন একটা ট্রেন্ড শুরু হয় তখন সেটা চলতেই থাকে। তারপর একসময় ট্রেন্ডটা দুর্বল হয়ে যায় তখন রিভার্সাল মুভ শুরু করে। একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই মার্কেট ট্রেন্ড বুঝতে হবে। কারণ ট্রেন্ডের বিপরীতে আপনি কখনো টিকে থাকতে পারবেননা। ট্রেন্ডের ব্যাপারে আপনাকে সবসময় আপ টু ডেট থাকতে হবে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বিশেষায়িত পণ্য নির্বাচন
অনলাইনে বিক্রয়ের জন্য বিশেষায়িত পণ্য পণ্যগুলির একটা ধারণামূলক তালিকাঃ
- চলমান, স্বাস্থ্য-সচেতন খাবার বা ডায়েট ফুড
- বিভিন্ন ধরনের ক্রাফট পানীয়
- সাবস্ক্রিপশন বাক্স
- সিবিডি পণ্য
- কাস্টমাইজ রিং বা হ্যান্ড ব্যান্ড
- জার্নাল নোটবুক এবং ব্যক্তিগত ডায়েরি
- পোষা প্রাণীর খাদ্য
- বিউটি প্রোডাক্ট
- ক্যামেরা এবং ছবির আনুষঙ্গিক পণ্য যেমন: ড্রোন, ট্রিপড, লাইট ইত্যাদি।
- শেপওয়্যার।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য স্পট ব্যবসায়ের সুযোগ সন্ধান
বর্তমান বিশ্বে যা চলছে তার সাথে আপডেট রেখে আপনাকে নতুন অনলাইন ব্যবসায়ের সুযোগগুলো শনাক্ত করতে হবে। একজন উদ্যোক্তা হতে হলে সর্বদা আপনার কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্যের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতে এর পরিণতি সম্পর্কে ধারণা করে নিতে হবে। এ বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
আমি অনলাইনে বিক্রয় কীভাবে শুরু করব?
যেকোনো বিজনেস শুরুর আগেই স্টাডি করা প্রয়োজন আর অনলাইন বিজনেসে যেহেতু ভার্চুয়ালি হয়, তাই আরও বেশি কেয়ারফুল হতে হয়। অনলাইন বিজনেস শুরুর আগে নিজের একটা ভিশন থাকা দরকার, যেটাকে বলা হয় মাইন্ড-সেট। তাই আগে ভিশন ঠিক করে নিন।
একটি অনলাইন প্রজেক্টকে লাভজনক করার জন্য এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো ধাপ আছে, সবগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন তারপর অ্যাকশনে যান। অনলাইন বিজনেস শুরু করা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়, তবে যদি বলেন সফল হতে চান, তবে এই ৪টি বিষয়ে ফোকাস করুন।
- সঠিক পরিকল্পনা
- মার্কেট পর্যালোচনা
- বিনিয়োগ
- পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত কাজ
উপরোক্ত চারটি বিষয়কে বাস্তবে কোনো অনলাইন প্রজেক্টে কাজে লাগাতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিছু বেসিক জিনিস, আর তা হলোঃ
বিজনেস প্ল্যান করা
পণ্য বা সেবা নির্বাচন করুন। আপনি কী পণ্য বা সেবা দিতে চাচ্ছেন, কোন শ্রেণির লোক মূলত আপনার ক্রেতা হবে, তা নির্দিষ্ট করুন। কিওয়ার্ড পর্যালোচনা করুন, কী পরিমাণ সম্ভাব্য ক্রেতা আছে, কতগুলো প্রতিযোগী কোম্পানি আছে, আপনার অবস্থান, বাজেট, মার্কেটিং পলিসি কী হতে পারে তা নির্ধারণ করুন।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বিজনেস প্ল্যান লেখা
আপনার পণ্য বা সেবাকে সঠিকভাবে ক্রেতার নিকট বোধগম্য করার জন্য কন্টেন্ট লিখুন, নিয়মিত কন্টেন্ট যেমন: কী কী পণ্য বা সেবা দিচ্ছেন, এর সুবিধা কী কী, কাদের জন্য, এইরকম কন্টেন্ট আপনার কোম্পানির প্রোফাইল পেজ, কন্টাক্ট পেজ, প্রাইভেসী পেজ, টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন পেজ এবং অন্য কোনো কোম্পানির সাথে এফিলিয়েট থাকলে ডিসক্লেইমার পেজ অ্যান্ড ডিসক্লোজার পেজ তৈরি করুন। এরপর অনপেজ এসইও করে আপনার সব পেজকে সঠিক ভাবে আপনার পূর্বে নির্বাচিত কিওয়ার্ড অনুযায়ী অপ্টিমাইজেশন করে নিন।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বিজনেস, ডোমেইন নেম রেজিস্টার
ডোমেইন নাম নিবন্ধন করুন, এমন একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন, যেন নাম থেকেই আপনার বিজনেসের ধরণ বুঝা যায়, এতে করে মানুষ সহজে মনে রাখতে পারবে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি এবং ম্যানেজমেন্ট
এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন, যেন আপনার পণ্য বা সেবাকে খুব সুন্দরভাবে ক্রেতার নিকট উপস্থাপন করা যায়, আর এটিই হলো আপনার অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম। আপনার ওয়েবসাইটকে অনলাইন করার জন্য ভালো মানের একটি হোস্টিং নির্বাচন করুন।
আরো পড়ুনঃ মার্কেটিং করার কৌশল
এরপর আপনার ওয়েবসাইটের নিয়মিত নিরাপত্তা চেক করুন, আপডেট করুন, ব্যাকআপ রাখুন এবং আরওকীভাবে ভালো বিজনেস করা যায় তা পর্যালোচনা করুন।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে মার্কেটিং
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, নিয়মিত কনটেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, ও বিভিন্ন প্রকার লিংক বিল্ডাপের মাদ্ধমে ভালোভাবে অফ-পেজ এসইও করুন, ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলো ভালোভাবে পরিচালনা ও অন্যান্য কৌশলগুলো ও জানতে হবে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্ট খোলা
ব্যবসায় সফলতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন গ্রাহকের সাথে লেনদেন করতে হলে একটা আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলা ও মেইনটেইন করতে জানতে হবে। না হলে ব্যবসা বাড়ার সাথে সাথে হিসাব সংক্রান্ত নানা ঝামেলা দেখা দিতে পারে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য যোগাযোগ বৃদ্ধি
প্রথমেই আপনার অনেক ক্রেতা তৈরি হবে না। শুরুতে পরিচিতদের আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানান এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন রকমের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়লে আপনার আইডিয়া ও ক্রেতা দুটোই বাড়বে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ব্যবসায়ের আইন-কানুন
হোক তা ফিজিক্যাল ব্যবসা বা অনলাইন ব্যবসা, সবাইকে অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। অনলাই ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সাধারণ আইনের পাশাপাশি সাইবারের নানা আইন আর নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে।
অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য প্রফেশনাল কোর্স
প্রয়োজনে অনলাইন বিজনেসের ওপর একটি প্রফেশনাল কোর্স করে ঘরে বসে আয়ের একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করুন। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোর্স করায়। তাছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও এ সম্পর্কে অনেক কোর্স পেয়ে যাবেন। একটি কথা মনে রাখবেন, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত উপার্জন পেতে গেলে প্রতিটা বিষয়কে গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। আন্তরিকভাবে নিয়মিত কাজ এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যে কোনো ব্যাবসায় সফল হয় যায়।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটিতে অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য ভালো পণ্যগুলো কীভাবে নির্বাচন করবেন এবং অনলাইনে বিক্রয় করার জন্য সবার আগ্রহ আছে এমন পণ্য নির্বাচন করুন। এই উপায়গুলো অনুসরণ করে খুব সহজে আপনি বেকারত্ব দূর করে আর্থিক দিক থেকে সবল হতে পারবেন। আপনাদের এই সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং ভালো লেগে থাকলে ওয়েবসাইটটি শেয়ার করুন ধন্যবাদ।