ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে পার্টটাইম নয় ফুলটাইম ক্যারিয়ার মনে করতে হবে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে নিম্নের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না
এই আর্টিকেলে আমরা আরো আলোচনা করছি যোগাযোগের দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে ইংরেজিতে যত ভালো হবেন, তত বেশি সফল হবেন। এছাড়া আরও আলোচনা করছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক এর সম্বন্ধে সেগুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার সূত্র


টাকা নয় কাজকে ভালোবাসতে হবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য টাকার লোভ ত্যাগ করে কাজে দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। দক্ষ লোকদের সমাদর সব জায়গার মতোই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে। সে জন্য সবার আগে বিভিন্ন রিসোর্স থেকে কাজ শিখে সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক কাজ করে দক্ষতা অর্জন করলেই অনলাইনে কাজের রেট এবং চাহিদা দুটিই বৃদ্ধি পাবে। 
এ রকম চাহিদাপূর্ণ অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছুটা সময় দিতে হবে। মনে রাখবেন, অদক্ষ ব্যক্তিদের টাকার পেছনে দৌড়াতে হয়। কিন্তু দক্ষ ব্যক্তিদের পেছনে টাকা দৌড়ায়। আর এই জন্য বেশি করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে যাতে ভালো মানের কাজ করতে পারি। যত বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করবেন তত বেশি দক্ষতা অর্জন করবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে পার্টটাইম নয় ফুলটাইম ক্যারিয়ার মনে করতে হবে

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না
সময় এসেছে ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে পার্টটাইম চাকরি না ভেবে ফুলটাইম হিসেবে নিতে হবে। তাহলে প্রত্যেকে কাজের ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হবে এবং দক্ষ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। তখন বিদেশি বায়াররা এ দেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিতে আরও বেশি স্বস্তি পাবেন। ফ্রিল্যান্সিংকে যদি পার্টটাইম কাজ হিসেবে মনে করেন, তবে দিনের সময়ের সবচেয়ে বেশি সময় ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বরাদ্দ রাখতে পারবেন না। 

সে জন্য দক্ষতা অর্জন যেমন কঠিন হবে, তেমনি বেশি কাজও করতে পারবেন না। যখন ফ্রিল্যান্সিংকে ফুলটাইম হিসেবে ভাবতে শুরু করবেন, তখন আরও বেশি মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা ঘটবে। বৈদেশিক মুদ্রা আরও বেশি দেশে ঢুকবে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে বড় সুফল নিয়ে আসবে। ফুলটাইম ভেবে শুরু করলে ফ্রিল্যান্সিং শুধু অনলাইন আয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ধীরে ধীরে এটি তখন সম্মানজনক ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হওয়া শুরু হবে। তখন প্রত্যেকের মধ্যে ভালো করার ব্যাপারে উৎসাহ আরও বাড়বে।

যোগাযোগের দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতা অনেক বাড়িয়ে দেয়

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না
এক জরিপে দেখা গেছে, যাদের যোগাযোগের দক্ষতা বেশি তারা অন্য সব জায়গার মতো ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও সফল সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকেন। যোগাযোগের দক্ষতা বলতে বোঝায় বায়ারের বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে পারা, বায়ারকে নিজের বক্তব্য সঠিকভাবে বোঝাতে পারা এবং সেই সাথে বায়ারকে কনভিন্স করতে পারাটাই হচ্ছে যোগাযোগের মৌলিক দক্ষতা।
যোগাযোগের এ মৌলিক দক্ষতা থাকলে বায়ার কাজ দিয়ে স্বস্তি পান। আর সে জন্য একবার কাজ করলে পরের কাজটির ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন, একই ফ্রিল্যান্সারকেই কাজটি দেওয়ার জন্য। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খুব দ্রুত সফল হওয়া যাবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ইংরেজিতে যত ভালো হবেন, তত বেশি সফল হবেন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না
ইংরেজি হচ্ছে যেকোনো ধরনের বায়ারের সাথে যোগাযোগের মূল ভাষা। যিনি যত ভালো ইংরেজি পারেন, তিনি তত বেশি ভালোভাবে বায়ারের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। কারণ বায়ারের নির্দেশনা বুঝতে তার অনেক বেশি সহজ হয়। বায়ারও যাকে দিয়ে কাজ করাবেন, তার কথা জড়তা ছাড়া বুঝতে পারেন। 
এ ধরনের ফ্রিল্যান্সারদের সাথে বায়ার স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন দেখে দীর্ঘদিনের কাজের সম্পর্ক বজায় রাখেন। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, শুধু ভাষাগত সমস্যার কারণে কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করার পরও বায়ার এই ফ্রিল্যান্সারের কাছে আর নতুন কোনো কাজ নিয়ে ফিরে আসেন না। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাই নিজেকে ইংরেজিতে ধীরে ধীরে দক্ষ করে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।

যেকোনো কিছুতে যত বেশি দক্ষ হবেন, সফল হতে পারবেন তত বেশি


যদি একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে একটি কাজের বাইরে অন্য আরও কাজের সাপোর্টও পাওয়া যায়, তাহলে তার সাথে বায়ারের দীর্ঘদিনের জন্য সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য সব কাজেই দক্ষতা তৈরি করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করা যায়। এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, সব কাজে সমান দক্ষতা অর্জন করাটা অনেক বেশি কষ্টকর। যেটা করতে হবে, কোনো একটিতে ভালো দক্ষ হতে হবে, বাকিগুলোতে মোটামুটি দক্ষ হলেই চলবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের আরও বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নেশা থাকতে হবে


ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বায়ারদের কাছে নিজের চাহিদা ধরে রাখার জন্য সব সময় নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ধরি, কেউ যদি এসইওর কাজের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় এসইও-সম্পর্কিত লেখা পাওয়া যায়, এ রকম ব্লগগুলোর পোস্ট নিয়মিত পড়া উচিত। নতুন যত আপডেট আসছে, সবকিছু জেনে সেগুলোতে নিজেকে দক্ষ করতে হবে।

গুগলের ওপর নির্ভরশীলতা ও সফলতার সম্ভাবনা

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না
কোনো সমস্যায় পড়লে সে বিষয়ে জানার জন্য কোনো ব্যক্তির কাছে প্রশ্ন না করে, সে বিষয়ে গুগলকে প্রশ্ন করা উচিত। গুগলের ওপর এ নির্ভরশীলতা জানার পরিধি অনেক বাড়িয়ে দেয়। গুগলে খোঁজ করলে অনেক উত্তর পাওয়া যাবে, যা চিন্তাশক্তিকে বাড়াবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফলতার জন্য শুরু থেকেই গুগলের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে।

ইন্টারনেটে নির্ভরশীলতায় ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা


ইন্টারনেটের ওপর জীবনকে যত বেশি নির্ভরশীল করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেই কাজ পাওয়া যায় না। এ রকম সফলতার জন্য শুরুর দিকে কষ্ট অনেক বেশি করতে হয়। আর এ জন্য ইন্টারনেটে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করা উচিত। 
শুধু ফেসবুকে সময় ব্যয় না করে, বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম, ভিডিও কিংবা অনলাইনের অন্য জায়গাগুলোয় প্রতিদিনের বড় একটা সময় ব্যয় করার অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এসব জায়গায় সারা বিশ্বের বড় বড় ফ্রিল্যান্সার তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করেন। এগুলো সত্যিকারভাবে নতুন অনেক কিছু শিখতে এবং সবকিছুর বিষয়ে আরও অ্যাডভান্স হতে সহযোগিতা করে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না

ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না
যেকোনো কাজের সফলতার জন্য যেমন সবার প্রথমে দরকার ইচ্ছাশক্তি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমনি। ইচ্ছাশক্তি থাকলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হওয়ার ব্যাপারে যত প্রস্তুতিমূলক পরিশ্রম করা দরকার, সবকিছু করার আগ্রহ থাকতে হবে। সুতরাং কারও কথা শুনে হালকাভাবে লক্ষ্য নিয়ে নামলে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাটা ৯৫ শতাংশ। কিন্তু যদি নিজের তীব্র ইচ্ছা থাকে এবং একাগ্রতা থাকে, তাহলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হবেন।

ধৈর্যশক্তি এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ


ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে ধৈর্যশক্তি বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। কাজ শিখতেও ধৈর্য নিয়ে শিখতে হবে। শুরুতে কাজ পাওয়ার জন্য বহুদিন ধৈর্যসহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। এমনও হতে পারে, কাজ শেখার পর প্রথম কাজের অর্ডার পেতে এক বছরও লেগে যেতে পারে। কিন্তু তারপরও ধৈর্য হারালে চলবে না। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, নিজেকে দক্ষ করতে হবে, বায়ারের কাছে কাজ চাওয়ার ধরনে পরিবর্তন এনে দেখা যেতে পারে। হতাশ না হয়ে কাজ পাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে ওপরের বিষয়গুলো নিজের ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জে জিততে হলে নিজের মধ্যে বিশেষ কিছু থাকতেই হবে। কাজের দক্ষতার পাশাপাশি অধ্যবসায়, ধৈর্য এবং নতুন কিছু শেখার নেশা সফলদের কাতারে পৌঁছে দেবে।

আশা করি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ছাড়া কিছুতেই সফল হওয়া যায় না এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে পার্টটাইম নয় ফুলটাইম ক্যারিয়ার মনে করতে হবে এ সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম মত ফলো করুন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন